E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

সুবর্ণচরে হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ 

২০২০ ডিসেম্বর ১৫ ১৩:৫১:৩৫
সুবর্ণচরে হত্যা মামলার পলাতক আসামিদের গ্রেফতারের দাবিতে বিক্ষোভ 

নোয়াখালী প্রতিনিধি : সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বার ইউনিয়নের চর পানা উল্যাহ গ্রামের বাসিন্ধা স্থানীয় ঈমান আলী বাজারের বিশিষ্ঠ ব্যবসায়ী হাজী আবুল কাশেমের হত্যার ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও এজাহার ভুক্ত আসামী সফিকুল ইসলাম মিজির পুত্র মোঃ চৌধুরী (২৮) এবং বাহার(২৫)কে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। এজাহার ভুক্ত উক্ত দুই আসামিকে কে দ্রুত গ্রেফতার করে শাস্তির দাবী জানিয়ে বিক্ষোভ এবং প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে ঈমান আলী বাজারের ব্যবসায়ী ও স্থানীয় এলাকাবাসী।

মঙ্গলবার সকাল ১০ টায় সুবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের ঈমান আলী বাজারের উক্ত সমাবেশের আয়োজন করে বাজারের ব্যবসায়ী ও এলাকাবাসী।

বক্তারা বলেন, জায়গাজমি বিরোধকে কেন্দ্র করে চরজব্বার ইউনিয়নের চর পানা উল্যাহ গ্রামের মৃত ফজলে রহমান মিজির পুত্র সফিকুল ইসলাম মিজি (৫০) তার স্ত্রী রহিমা খাতুন (৪০) এবং তার দুই সন্তান বাহার(২৫) এবং চৌধুরী (২৮) পূর্বপরিকল্পিত ভাবে গত ২ ডিসেম্বর নিহতের পুত্র শাকিবকে মারধর করে, খবর পেয়ে হাজি আবুল কাশেম ছেলেকে বাঁচাতে এলে উপরোক্ত আসামীরা তাকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করে তার শৌরচিৎকারে এলাকাবাসী এসে কাশেমকে জেলা শহর মাইজদী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে কর্মরত কিচিৎসক তাকে মৃত ঘোষনা করে। খবর পেয়ে চরজব্বার থানা পুলিশ হত্যার প্রধান আসামি সফিকুল ইসলাম মিজি এবং তার স্ত্রী রহিমা খাতুনকে গ্রেফতার করে।

পর দিন ৩ ডিসেম্বর নিহতের পুত্র মোঃ আরিফ হোসেন (২৬) বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন মামলা নং ১-০৩/১২/২০২০।

হত্যার ১৪ দিন পার হয়ে গেলেও হত্যা মামলার ৩ নং আসামি চৌধুরী এবং ৪ নং আসামি বাহারকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ, এদিকে হত্যাকারির ৩ মেয়ে মামলার বাদিকে মামলা তুলে নেয়ার হুমকি দিচ্ছে বলে প্রতিবাদ সভায় অভিযোগ করেন মামলার বাদী আরিফ হোসেন। তিনি বলেন"গ্রেফতারকৃত প্রধান আসামি সফিকুল ইসলাম মিজির ৩ মেয়ে মামলা তুলে নিতে আমাকে হুমকি দিচ্ছে, আমি যদি মামলা না তুলে নেয় তাহলে তারা আমাকে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করবে বলে প্রতিনিয়ত প্রকাশ্য হুমকি দিচ্ছে" পলাতক আসামি চৌধুরী এবং বাহার বিভিন্ন অপরিচিত নাম্বার থেকে আমাকে হত্যার করে লাশ গুম করারও হুমকি দিয়ে যাচ্ছে আমি পলাতক আসামিদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানাই"।

প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, নিহত আবুল কাশেমের পুত্র আরিফ হোসেন, ঈমাম আলী বাজারের সাধারণ সম্পাদকসহ, স্থানীয় এলাকাবাসী।

বক্তারা হত্যার সাথে জড়িত সবাইকে দ্রুত গ্রেফতার করে ফাঁসির দেয়ার জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

উল্লেখ্য, গত ২ ডিসেম্বর নোয়াখালীর সুবর্ণচর উপজেলায় জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কাশেম মাঝি নামের এক বৃদ্ধকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষ সফিক মিজি এবং তার স্ত্রীসহ তার দুই ছেলে।

নিহত কাশেম মাঝি (৬০) উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের চর পানা উল্যা গ্রামের মৃত ওয়াহেদ আলীর ছেলে।

এ ঘটনায় পুলিশ তাৎক্ষণিক অভিযুক্ত শফিক মিজি (৬৫) আটক করে। সে একই এলাকার মৃত ফজলের রহমানের ছেলে।

বুধবার (২ ডিসেম্বের) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার চরজব্বর ইউনিয়নের ইমানআলী বাজারে জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে কাশেম মাঝি মসজিদ থেকে নামাজ পড়ে যাওয়ার পথে নিহতের বাড়ির সামনে পৌঁছালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে একটি গাছের আড়ালে চুরি নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে সফিক মিজি ও তার ছেলে চৌধুরী এবং বাহার কাসেম সামনে আসা মাত্রই বাহার এবং চৌধুরী কাশেম মাঝিকে জড়িয়ে ধরে এবং সফিক মিজি কাশেমকে বুকের মাঝে চুরি ডুকিয়ে দেয়।

ঘাতকরা দৌঁড়ে যাওয়ার সময় পথচারীরা তাদের ধরার চেষ্টা করে বাহার এবং চৌধুরী পালিয়ে যেতে সক্ষম হলেও শফিক মিজিকে আটক করে এলাকাবাসী পরে থানায় খবর দিলে চরজব্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘাতক সফিক মিজিকে গ্রেফতার করে থানায় নিয়ে আসে।

পরে গুরুত্বর আহত অবস্থায় কাশেম মাঝিকে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করে।

নিহতের পরিবার জানান জায়গা জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কাশেম মাঝিকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করে শফিক মিজি ।

চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.জিয়াউল হক জানান, নিহতের পুত্র আরিফ বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করে, ঘটনারদিন ২ জনকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে পাঠানে হয়েছে, বাকি আসামিদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

(এস/এসপি/ডিসেম্বর ১৫, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test