E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

শেখ হাসিনার গাড়ি বহরে হামলা মামলা 

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, ২৯ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক

২০২০ ডিসেম্বর ২২ ১৭:২১:০৯
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার সাক্ষ্য শেষ, ২৯ ডিসেম্বর যুক্তিতর্ক

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী দলীয় নেতা থাকাকালে কলারোয়ায় তার গাড়ি বহরে হামলা মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা কলারোয়া থানার তৎকালিন পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান মঙ্গলবার সাতক্ষীরার মুখ্য বিচারিক হাকিম আদালতে সাক্ষী দিয়েছেন। এ নিয়ে এ পর্যন্ত ২০ জন সাক্ষীর জবানবন্দি ও জেরা শেষ হলো। আগামি ২৯ ডিসেম্বর আসামীদের ৩৪২ ধারায় মতামত গ্রহণের পাশপাশি যুক্তিতর্ক উপস্থাপনের জন্য দিন ধার্য করেছেন বিচারক মোঃ হুমায়ুন কবীর।

রাষ্ট্রপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন অতিরিক্ত এটর্ণি জেনারেল এসএম মুনীর, ডেপুটি এটর্ণি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জী, সহকারি এটর্ণি জেনারেল শাহীন মৃধা ও সাতক্ষীরা জজ কোর্টের পিপি অ্যাড. আব্দুল লতিফ, অ্যাড. তপন কুমার দাস, সাবেক পিপি অ্যাড. ওসমান গনি, অ্যাড. ইউনুস আলী, অ্যাড. মোজাহার হোসেন কান্টু, অ্যাড. আজাহার হোসেন অ্যাড তামিম আহম্মেদ সোহাগ, অ্যাড. শহীদুল ইসলাম পিন্টু, অ্যাড. ওকালত আলী প্রমুখ।

আসামীপক্ষে শুনানীতে অংশ নেন বাংলাদেশ হাইকোর্টের অ্যাড.শাহানারা আক্তার বকুল, অ্যাড. আব্দুল মজিদ(২), অ্যাড. মিজানুর রহমান পিন্টু, অ্যাড তোজাম্মেল হোসেন তোজাম প্রমুখ।

২০০২ সালের ৩০ আগষ্ট সকাল ১০টার দিকে তৎকালিন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার চন্দনপুর ইউনিয়নের হিজলদি গ্রামের এক মুক্তিযোদ্ধার ধর্ষিতা স্ত্রীকে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে দেখে মাগুরায় ফিরে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে সকাল ১১টা ৪০ মিনিটের দিকে কলারোয়া উপজেলা বিএনপি অফিসের সামনে রাস্তার উপর জেলা বিএনপি’র সভাপতি ও তৎকালিন সাংসদ হাবিবুল ইসলামের হাবিবের নির্দেশে বিএনপি ও যুবদলের নেতা কর্মীরা দলীয় অফিসের সামনে একটি যাত্রীবাহি বাস রাস্তার উপরে আড় করে দিয়ে তার গাড়ি বহরে হামলা চালায়। হামলায় তৎকালিন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রকৌশলী শেখ মুজিবুর রহমান ও সাংবাদিকসহ কমপক্ষে এক ডজন দলীয় নেতা কর্মী আহত হয়।

এ ঘটনায় থানা মামলা না নেওয়ায় ওই বছরের ২ সেপ্টেম্বর কলারোয়া মুক্তিযোদ্ধা কমাণ্ডার মোসলেমউদ্দিন বাদি হয়ে যুবদল নেতা আশরাফ হোসেন, আব্দুল কাদের বাচ্চুসহ ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৭০/৭৫ জনকে আসামী করে সাতক্ষীরা নালিশী আদালত ‘ক’ অঞ্চলে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলাটি বিভিন্ন আদালত ঘুরে মহামান্য হাইকোর্টের নির্দেশে ২০১৪ সালের ১৫ অক্টোবর মামলাটি এজাহার হিসেবে গণ্য করা হয়। পরবর্তীতে মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক শফিকুর রহমান ৫০ জনের নাম উল্লেখ করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলাটি তিনটি ভাগে ভাগ হয়ে এসটিসি ২০৭/১৫, এসটিসি ২০৮/১৫ দু’টি অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতে বিচারাধীন।

২০১৭ সালের ৯ ও ২৩ আগষ্ট আসামীপক্ষ মামলা তিনটির কার্যক্রম হাইকোর্টে স্থগিত করেন। দীর্ঘ তিন বছর পর আসামী পক্ষের মিসকেস খারিজ করে দিয়ে হাইকোর্ট পেনালকোর্ডের মামলাটি(টিআর-১৫১/১৫) ৯০ কার্যদিবসের মধ্যে নিষ্পত্তি করার জন্য সংশ্লিষ্ট নিম্ন আদালতকে নির্দেশ দেন। বিষ্ফোরক দ্রব্য আইন ও অস্ত্র আইনের মামলা দু’টি গত ১৭ ডিসেম্বর বিচারপতি মোস্তফাজামান ইসলাম ও বিচারপতি কামরুল ইসলাম মোল্লার সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ আসামীপক্ষের স্থগিতাদেশ ও আপিল খারিজ করে দেয়।

অতিরিক্ত এটর্ণি জেনারেল এসএম মুনীর বলেন, মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তার সাক্ষ্য গ্রহণ শেষ হওয়ার পর আর কোন সাক্ষী আদালতে উপস্থাপন করা হবে না মর্মে আদালতকে অবহিত করলে ২৯ ডিসেম্বর মামলার যুক্তিতর্কের দিন ধার্য করা হয়। সেক্ষেত্রে মহামান্য হাইকোর্টের দেওয়া তিন মাসের মধ্যে রায় ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে। মামলার সাক্ষীরা যেভাবে সাক্ষী দিয়েছে তাতে সাবেক সাংসদ হাবিবুল ইসলাম হাবিবসহ আসামীদের সর্বোচ্চ ১০ বছর সাজা হতে পারে। মঙ্গলবার আদালতের কাঠগোড়ায় ৩৭ জন আসামী উপস্থিত ছিলেন।

আসামীপক্ষের আইনজীবী অ্যাড. আব্দুল মজিদ বলেন, মামলার যে সমস্ত দুর্বল জায়গা রয়েছে তাতে সকল আসামী বেকসুর খালাস হবে বলে তিনি আশাবাদি।

(আরকে/এসপি/ডিসেম্বর ২২, ২০২০)

পাঠকের মতামত:

০১ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test