E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

বিয়ের চার মাস পর সন্তান প্রসব: লোক লজ্জার ভয়ে নবজাতককে হত্যার চেষ্টা, মা-বাবা গ্রেফতার

২০২১ নভেম্বর ১৬ ১৮:০১:২১
বিয়ের চার মাস পর সন্তান প্রসব: লোক লজ্জার ভয়ে নবজাতককে হত্যার চেষ্টা, মা-বাবা গ্রেফতার

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা, কেন্দুয়া (নেত্রকোণা) : বিয়ের ৪ মাস পর সন্তান প্রসব হওয়ায় লোক লজ্জার ভয়ে নবজাতক ছেলে শিশুকে হত্যার চেষ্টা মামলায় ওই শিশুর মা বাবাকে গ্রেফতার করে মঙ্গলবার দুপুরে নেত্রকোণা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় থানা পুলিশের এস.আই শফিউল আলম বাদী হয়ে সোমবার রাতে শিশুর প্রতি অমানবিক আচরন ও হত্যার চেষ্ঠার ঘটনায় নবজাতক শিশুর মা, বাবা ও দাদি, নানি সহ চারজনকে আসামী করে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। 

মামলার এজাহার ভুক্ত আসামীদের মধ্যে রয়েছে উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের গোগ গ্রামের আব্দুল হকের ছেলে কথিত নবজাতকের বাবা মোঃ আল মোমেন (২৪), মোমেনের স্ত্রী জান্নাত আক্তার শিলা (১৯), মোমেনের মা শারমিন আক্তার, ও জালালপুর গ্রামের খোকন মিয়ার স্ত্রী মোমেনের শাশুরি শিল্পি আক্তার।

গত ৭ নভেম্বর জান্নাত আক্তার শিলার প্রসব ব্যাথা হলে শিলা তার শাশুরি ও মাকে সঙ্গে নিয়ে উপজেলা হাসপাতালে যায়। সেখানে নাম ঠিকানা পরিবর্তন করে হাসপাতালের প্রসুতি বিভাগে ভর্তি হলে শিলার ছেলে সন্তান প্রসব হয়। পরে লোক লজ্জার ভয়ে শিশুটিকে হত্যার চেষ্টায় হাসপাতাল থেকে পালিয়ে এসে হাসপাতাল সন্নিকটে একটি ধান ক্ষেতে উলঙ্গ অবস্থায় ফেলে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন শিশুর কান্না শুনে ধান ক্ষেত থেকে উদ্ধার করে উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে। এ ঘটনায় কেন্দুয়া থানা পুলিশ একটি জিডি করে। ওই জিডির সূত্র ধরেই অনুসন্ধান চালিয়ে ১৫ নভেম্বর সোমবার রাতে নবজাতকের মা ও কথিত বাবাকে গ্রেফতার করে। জান্নাত আক্তার শিলা পুলিশের নিকট তার সন্তান প্রসব ও ফেলে দেয়ার কথা স্বীকার করে। তবে মা বাবা সহ কেউ সন্তানকে নিতে রাজি হয়নি। এদিকে শিশুটি উপজেলা সমাজসেবা বিভাগের তত্বাবধানে উপজেলা হাসপাতে পরিচর্যা চলছে। উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা ইউনুস রহমান মঙ্গলবার জানান, যেহেতু শিশুটির মা বাবা শিশুটিকে হত্যার চেষ্টা করেছে এবং ভরন পোষন করতে রাজি হননি, সেজন্যে উপজেলা কল্যান কমিটির সিদ্ধান্ত মোতাবেক শিশুটিকে ঢাকা আজিমপুরে ছোটমনি নিবাসে পাঠানো হবে।

কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ কাজী শাহ নেওয়াজ এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, শিশুর বাবা কে তা নির্ণয় করার জন্য ডিএনএ টেস্টের জন্য পাঠানো হবে। এছাড়া গ্রেফতারকৃত মা ও কথিত বাবাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্যদের গ্রেফতারের চেষ্ঠা চলছে।

(এসবি/এসপি/নভেম্বর ১৬, ২০২১)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test