E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

নওগাঁয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদ নিয়ে দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

২০১৪ সেপ্টেম্বর ২০ ১৭:০৫:০২
নওগাঁয় মাদ্রাসার অধ্যক্ষ পদ নিয়ে দু’গ্রুপের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁ সদর উপজেলার গোয়ালী আলিম মাদ্রাসায় অধ্যক্ষের পদ নিয়ে এলাকাবাসীর দু’টি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ ও চরম উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়েছে। শনিবার দুপুরে এ ব্যাপারে উচ্চতর পর্যায়ের তদন্ত চলাকালে উভয়পক্ষের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ওই মাদ্রাসার পড়াশুনা মারাত্মকভাবে বিঘ্নিত হচ্ছে।

জানা গেছে, গোয়ালী মাদ্রাসাটি দাখিল পর্যায়ে থাকাকালীন প্রতিষ্ঠার সময় থেকে মহাতাব হোসেন সুপারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। সহকারী সুপারের দায়িত্বে ছিলেন মো. ছাইফুল ইসলাম। ওই মাদ্রাসাটি আলিম পর্যায়ে এমপিওভুক্তির প্রক্রিয়া হাতে নেয়া হয়। এ সময় সুপার মহাতাব উদ্দিনের একাধিক পরীক্ষায় তৃতীয় বিভাগ থাকার কারণে তৎকালীন পরিপত্র অনুযায়ী অধ্যক্ষের পদে অযোগ্যতার কারণে সে সময়ের কার্যনির্বাহী কমিটির সভাপতি সদরের ইউএনও হুমায়ুন কবীর সহকারী সুপারকে অস্থায়ীভাবে অধ্যক্ষ পদে দেখিয়ে আলিম ক্লাশ অনুমতি প্রার্থনা করেন।

গত ১৯-০৯-২০১১ তারিখের ৩৬/১১ পত্র মোতাবেক প্রতিষ্ঠানে আলিম ক্লাশের পাঠদানে অনুমতি পাওয়া গেছে। আলিম ক্লাশে অনুমোদনপ্রাপ্তির পর পুনরায় মহাতাব হোসেনকে স্বপদে ফিরিয়ে আনার কথা থাকলেও পরবর্তীতে সুপারের পদ শুন্য না দেখিয়েই সহকারী সুপার ছাইফুল ইসলামকে অধ্যক্ষে পদে নিয়োগ প্রদান করা হয়।

মহাতাব উদ্দিন দাবি করেছেন, তাঁকে কার্যকরী পরিষদ প্রতারনা করে সুপার পদ থেকে সরিয়ে সহকারী সুপারকে অধ্যক্ষের পদে বহাল করেছেন। পরবর্তীতে শিক্ষাগত যোগ্যতার শর্ত শিথিল হলে মাহতাব হোসেনের অধ্যক্ষের পদে থাকার কোন বাধা নাই বলে পুনরায় সে পদ ফিরে পেতে বিভিন্নভাবে চেষ্টা করতে থাকেন।

এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকার অভিভাবক এবং স্থানীয় জনগন দু’টি ভাগে বিভক্ত হয়ে পড়েন। এ নিয়ে উভয়পক্ষের মধে চরম উত্তেজনা সৃষ্টি হয়। মহাতাব হোসেনের আবেদনের প্রেক্ষিতে জাতীয় মাদ্রাসা বোর্ডের উপ-পরিদর্শক মো. হোসেন শনিবার বিষয়টির তদন্তে আসেন। তদন্ত চলাকালীন সময়ে উভয়পক্ষের লোকজনের মধ্যে চরম উত্তেজনা, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া এবং এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। সংবাদ পেয়ে নওগাঁ সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নয়ন্ত্রনে আনে।

এ ব্যপারে বর্তমান দায়িত্বপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলামের সঙ্গে মোবাইল ফোনে বার বার যোগায়োগের চেষ্টা করে তাঁর ফোন বন্ধ থাকায় তাঁকে পাওয়া যায় নি। তদন্তের সর্বশেষ ফলাফল জানতে তদন্তকারী কর্মকর্তা মাদ্রাসা বোর্ডের উপ-পরিদর্শক মো. হোসেনের মোবাইল ফোনে একাধিকবার ফোন করেও তিনি কল রিসিভ করেন নি। এব্যাপারে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

(বিএম/এএস/সেপ্টেম্বর ২০, ২০১৪ )



পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test