সাপাহার সীমান্তে মেজর পরিচয়ে প্রতারণা

নওগাঁ প্রতিনিধি : নওগাঁর সাপাহার উপজেলার কলমুডাঙ্গা সীমান্তে নিখোঁজ গরু ব্যবসায়ী নুরুল ইসলাম উদ্ধারকে কেন্দ্র করে সাজানো এক নাটকে নগদ ৩০হাজার টাকা প্রতারণার ঘটনা ঘটেছে। প্রতারণা করে টাকা হাতিয়ে নিয়েছে মেহেদী হাসান নামে এক প্রতারক। সে নিজেকে দৌলতপুর বিজিবির টুআইসি  (মেজর) পরিচয় দিয়ে এই প্রতারনা করে।  সোমবার সকালে এ প্রতারনার ঘটনাটি ঘটে।

জানা গেছে, শুক্রবার রাতে উপজেলার কলমুডাঙ্গা গ্রামের আজাদ রহমানের পুত্র নুরুল ইসলাম (৩৮) এলাকার বেশ কিছু গরু ব্যবসায়ীর সঙ্গে ভারতে গরু আনতে গিয়ে নিখোঁজ হয়। এ বিষয়ে উভয় দেশের বিজিবি-বিএসএফের মধ্যে কয়েক দফা পতাকা বৈঠক অনুষ্টিত হয়। বার বার বিএসএফের পক্ষ থেকে বাংলাদেশী কোন লোককে আটক কিংবা নির্যাতনের কথা তারা অস্বীকার করে এসেছে।

সোমবার সকালে কুষ্টিয়া দৌলতপুর বিজিবির ৩২ ব্যাটালিয়নের টুআইসি মেজর মেহেদী হাসান নামে নিজেকে পরিচয় দিয়ে মোবাইল থেকে সাপাহার থানার ওসি নুর ইসলামকে জানায়, কলমুডাঙ্গা গ্রামের আজাদ রহমানের পুত্র নুরুল ইসলামকে দৌলতপুর বিজিবি সদস্যরা সীমান্ত এলাকা থেকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। বিষয়টি ওসি নুর ইসলাম তাৎক্ষনিক কলমুডাঙ্গা বিওপিকে জানালে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। বিজিবির পক্ষ থেকেও নিশ্চিত করে বিষয়টি জানার জন্য বিভিন্ন এলাকায় খোঁজ খবর নেয়া শুরু হয়। পরে নিখোঁজ নুরুল ইসলামের পরিবারের পক্ষ থেকে ওই নম্বরে ফোন করে কথা হলে ওই মেজর তড়িৎ গতিতে আহত নুরুল ইসলামের অপারেশানের জন্য ৩০হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠাতে বলে।

সরল বিশ্বাসে নুরুল ইসলামের পিতা আজাদ রহমান ছেলেকে অক্ষত অবস্থায় ফিরে পেতে কষ্ট করে তাৎক্ষনিক ৩০ হাজার টাকা জোগাড় করে ওই নম্বরে সোমবার সকাল ৯টার দিকে বিকাশ করে টাকা পাঠান। সেইসঙ্গে ঘটনাস্থলে যাওয়ার জন্য মাইক্রোবাস ভাড়া করেন। কিন্তু একটু পরেই ওই মেজরের ওই নম্বর ও বিকাশ নম্বরে ফোন করলে নম্বর দু’টি বন্ধ পাওয়া যায়। সে সঙ্গে বিজিবির পক্ষ থেকেও কোন সংবাদ না পাওয়ায় তারা ঘটনাস্থলে যাওয়া স্থগিত করে দেন। স্থানীয় বিজিবি ও পুলিশের মতে কোন প্রতারক ভুয়ার মেজর পরিচয় দিয়ে প্রতারনা করে টাকাটা হাতিয়ে নিয়েছে। বর্তমানে ছেলেকে হারিয়ে এবং প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিখোঁজ নুরুল ইসলামের পরিবারটি এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে।

(বিএম/এএস/সেপ্টেম্বর ২২, ২০১৪)