E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ভোলার তজুমদ্দিনে ডিপ্লোমা ডাক্তারকে হেনস্থার অভিযোগ

২০২২ মে ২৯ ১৬:২৯:২০
ভোলার তজুমদ্দিনে ডিপ্লোমা ডাক্তারকে হেনস্থার অভিযোগ

চপল রায়, তজুমদ্দিন : ভোলার তজুমদ্দিনে বিএমডিসি রেজিষ্টার্ড ডি এম এফ ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র দাস কে হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কবির সোহেল এর বিরুদ্ধে।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, বুধবার দুপুরে শম্ভুপুর ইউনিয়নের দাসেরহাট বাজারের হরেকৃষ্ণ মেডিকেল এর চেম্বারে প্রবেশ করেন ডাঃ কবির সোহেল। এ সময় ডি এম এফ ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র কে ডাক্তার পদবি ব্যবহার করতে নিষেধ করেন উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ কবির সোহেল সেইসাথে আলট্রাসাউন্ড করতেও নিষেধ করে তুই তোকারি ভাষা প্রয়োগ করেন।বিষয়টির প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করলে ডাঃ কবির সোহেল এ প্রতিবেদককে জানান, ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর অনুমোদন না থাকায় এবং বিএমডিসি নীতিমালা অনুযায়ী এমবিবিএস ব্যাতিত আল্ট্রাসাউন্ড করার নিয়ম নেই বিধায় তিনি নিষেধ করেন।

ভুক্তভোগী ডি এম এফ ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র দাস জানান, তিনি মেডিকেল আলট্রাসাউন্ড এর উপর কোর্স সম্পন্ন করেছেন বিধায় রোগীর সর্বোচ্চ কল্যাণে প্রযোজ্য ক্ষেত্রে নিজস্ব মেশিনে বিনামূল্যে আলট্রাসাউন্ড এর মাধ্যমে যথাযথ রোগ নির্ণয় করার মাধ্যমে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। শুধু তা-ই নয়, অস্বচ্ছল রোগীদের তিনি বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানান, রাজধানী ঢাকায় ট্রমা ম্যাটস, সাইক ম্যাটস সহ অনেক প্রতিষ্ঠান সি এম ইউ কোর্সে ডি এম এফ পাশকৃতদের ভর্তি করছে এবং সনদ প্রদান করছে তাহলে আলট্রাসাউন্ড করতে বাঁধা কোথায়?

স্থানীয়রা জানান, ডাঃ নারায়ণ চন্দ্র বিনামূল্যে ও নামমাত্র অর্থে রোগীদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে যাচ্ছেন। করোনাভাইরাস মহামারিকালীন নিরলস চিকিৎসা সেবা প্রদান করে তিনি নিজে ও তার স্ত্রী ডাঃ রিক্তা মন্ডল দুজনেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। যখনই প্রয়োজন তখনই ডাঃ নারায়ণ চন্দ্রর কাছ থেকে চিকিৎসা সেবা পাচ্ছেন বলে জানান এলাকার বাসিন্দারা। ডাঃ নারায়ণ নামমাত্র অর্থে রোগীদের চিকিৎসা করেন এবং অখ্যাত কোম্পানির ঔষধ প্রেসক্রাইব করেননা বিধায় স্বার্থান্বেষী মহলের কুনজর পরেছে বলে জানান তারা।

এদিকে তজুমদ্দিন উপজেলার ডি এম এফ ডিগ্রীধারী কয়েকজন ডাক্তার জানান, বিগত আট বছর ধরে সরকারি হাসপাতালে শূন্য পদে নিয়োগ না হওয়ায় পরিবার পরিজন নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তাঁরা। অনেক আশা নিয়ে পরিবারের শেষ সম্বল জায়গা জমি, পূর্বপুরুষের ভিটেমাটি বিক্রি করে ডি এম এফ কোর্স সম্পন্ন করেছেন। নিয়োগ বন্ধ থাকায় আজ আত্নসন্মান নিয়ে বেঁচে থাকা অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে তারা নির্বিঘ্নে রোগীদের চিকিৎসা সেবা প্রদানের নিশয়তা চেয়ে অবিলম্বে শূন্য পদে সরকারি হাসপাতালে নিয়োগ এর দাবি জানান সংশ্লিষ্ট কতৃপক্ষের কাছে।

(সিআর/এসপি/মে ২৯, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test