E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

বালিয়াকান্দিতে জনশুমারি প্রশিক্ষণার্থীদের বরাদ্দের খাবারে অনিয়মের অভিযোগ

২০২২ জুন ১১ ১৬:০৩:১২
বালিয়াকান্দিতে জনশুমারি প্রশিক্ষণার্থীদের বরাদ্দের খাবারে অনিয়মের অভিযোগ

মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির বিভিন্ন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে জনশুমারি প্রশিক্ষণার্থীদের বরাদ্দের খাবারে অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, সারাদেশে ১৫ ই জুন থেকে ২১ জুন অনুষ্ঠিতব্য প্রথম ডিজিটাল জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ উপলক্ষে ৪ জুন থেকে ৭ ও ৯ জুন থেকে ১২ জুন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি বিভিন্ন ইউনিয়নের গণনাকারী সুপারভাইজার ও আইটি সুপারভাইজারগণ অংশগ্রহণ করেন।

অভিযোগ রয়েছে বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রশিক্ষনার্থীদের বরাদ্দের চেয়ে নিম্নমানের ও কম খাবার দেওয়া হয়েছে। জনপ্রতি ২৫০ টাকার খাবার প্রতিদিন বরাদ্দ থাকলেও প্রশিক্ষনার্থীদেরকে ১০০-১২০ টাকার খাবার সরবরাহ করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।

অন্যদিকে উপজেলার জামালপুর ইউনিয়নের প্রশিক্ষণ শেষ হলেও প্রশিক্ষণ ভাতা পাননি প্রশিক্ষনার্থীরা। সেখানেও শুভংকরের ফাঁকি! নাস্তায় মেলেনি নির্দেশিত খাবার, দুপুরের খাবারে মেলেনি পানি। শেষদিনে কাচ্চি বিরিয়ানি দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে সাদা ভাত আর মুরগির রোষ্ট। সাথে পানি ও কোল্ড ড্রিংকস রয়ে গেছে অধরা।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রশিক্ষনার্থী জানান, আমাদের বরাদ্দ রয়েছে ভালো মানের খাবার। কিন্তু দেওয়া হয়েছে নিম্নমানের। সকালের নাস্তায় যেসব খাবার দেওয়ার কথা তা দেওয়া হয় নাই। বিকালের নাস্তা একদিনও পাই নাই। ভয়ে কিছু বলি নাই। যদি কাজটা চলে যায়।

আরেক প্রশিক্ষনার্থী বলেন, নাস্তার পাশাপাশি দুপুরের খাবার ছিলো খুবই খারাপ। কম দামি খাবার দেখেই বুঝা যাচ্ছিলো। প্রথম দিন তো খাবারের সাথে পানিই দেয় নাই। ওইদিন অনেকে বলার পরে দ্বিতীয় দিন পানি দিয়েছে। আবার শেষের দিনেও পানি দেয় নাই। বলেছে পানির পরিবর্তে কোল্ড ড্রিংকস। কিন্তু কোল্ড ড্রিংকসের পাশাপাশি পানি দেওয়ার কথাও ছিলো।

বহরপুর ইউনিয়নের প্রশিক্ষনার্থীদের সাথে কথা বলে জানা যায় দুপুরের খাবার ঠিক থাকলেও সকালের নাস্তা ও বিকালের নাস্তায় ছিলো গরমিল। বিকালে কোন নাস্তা তাদেরকে দেওয়া হয় নাই।

জঙ্গল ও নারুয়া ইউনিয়নের প্রশিক্ষনার্থীরাও একই অভিযোগ তোলে।

এ বিষয়ে উপজেলা পরিসংখ্যান কর্মকর্তা হারুন অর রশিদ বলেন, এমনটি হওয়ার কথা না। আমরা বালিয়াকান্দি সব থেকে ভালো হোটেলের খাবার দিয়েছি প্রশিক্ষনার্থীদের। আমার কাছে কোন প্রশিক্ষনার্থী অভিযোগ করে নাই। তবে আপনার মাধ্যমে জানতে পারলাম।

এদিকে রাজবাড়ী পরিসংখ্যান অফিসের উপপরিচালক জাহাঙ্গীর আলমের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, আমি সব খানেই খাবারগুলো দেখার চেষ্টা করেছি। ভালো ছিলো মোটামুটি। আর নিম্নমানের খাবার সম্বন্ধে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি। তবে নাস্তায় কিছু ত্রুটি ছিলো।

(এমজি/এসপি/জুন ১১, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test