E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

ঘিকমলা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বেহাল, গুরুত্ব নেই কর্তৃপক্ষের 

২০২২ জুন ১৬ ১৭:১৮:০৫
ঘিকমলা বিদ্যালয়ের খেলার মাঠ বেহাল, গুরুত্ব নেই কর্তৃপক্ষের 

মিঠুন গোস্বামী, রাজবাড়ী : কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মানুষিক বিকাশের জন্য প্রতিটি শিক্ষাঙ্গনে থাকে খেলার মাঠ। রাজবাড়ী বালিয়াকান্দি উপজেলার ঘিকমলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে রয়েছে ছাত্রছাত্রীদের জন্য খেলার মাঠ। তবে এই মাঠে নেই খেলার পরিবেশ। 

মহামারী সংক্রান্ত করোনাভাইরাস এর প্রাদুর্ভাব কিছুটা কমলে বিদ্যালয়ে আসতে থাকে শিক্ষার্থী। তবে তারা হঠাৎ করেই চিনতে পারে না তাদের চিরচেনা খেলার মাঠটি। কেনো না পুকুরে যেমন বছরের প্রায় সবসময় জল থাকে ঠিক তেমনি অবস্থা এই খেলার মাঠেরও।

গতে বছরের বালিয়াকান্দি থেকে পাংশা অব্দি রাস্তার কাজ শুরু হলে স্থানীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে কয়েকজনের যোগসাজশের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান স্কুলের মাঠ ব্যবহার করে। এই মাঠেই রাখা হয় রাস্তার কাজে ব্যবহার করা ইটের খোয়া ও বালু।

এই সব খোয়া, ইট ও বালু আনা-নেওয়া করার জন্য ভাড়ি ভাড়ি গাড়ি নামতে থাকে খেলার মাঠে। এতে করে মাঠের বিভিন্ন স্থান দেবে যায়। এছাড়াও মাঠ থেকে ইটের খোয়া নেওয়ার সময় মাঠের মাঝখানের অংশের মাটি ও কেটে নেওয়া হয়। এতে করে বৃষ্টির পানি জমি থাকে সব সময় মাঠে।

এখানেই শেষ নয়, মাঠের চতুর পাশেই রয়েছে ছোট ছোট ইটের খোয়া ও ভাড়ি গাড়ির দেবে যাওয়া চাক্কার নিচু অংশ। এতে করে মাঠে খেলতে গেলেই যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।

করোনা মহামারী পরিস্থিতি কাটিয়ে নিয়মিত স্কুলে আসতে শুরু করেছে শিক্ষার্থীরা। তবে তারা এখন আর মাঠে খেলাধুলা করে না। তারা তাদের সময় কাটায় মোবাইল ফোন অথবা পাশের চায়ের দোকানে।

ঘিকমলা উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষার্থী বলেন, আমরা বিদ্যালয়ের এসে টিপিন আওয়ারে মাঠে খেলতাম। শুধু তাই নয় প্রতিবছর ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান হয়। করোনার জন্য গত বছর হয় নাই। এখন আর মনে হয় আমাদের বিদ্যালয়ে কোন দিন ক্রিড়া প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠান হবে না। শুধু তাই নয় প্রতি বছর বিদ্যালয়ের সকল শ্রেণীর ছাত্রীদের অংশ গ্রহণে ফুটবল টুর্নামেন্ট অনুষ্ঠিত হতো সেটাও আর হচ্ছে না। মাঠের বেহাল দশার কারণে।

বিদ্যালয়ের অভিভাবক সদস্য মুকুল সরদার বলেন, আমরা বার বার প্রধান শিক্ষক কে মাঠের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি পাশ কেটে যায়। প্রধান শিক্ষক বড় ধরনের আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান কে মাঠ ব্যবহার করতে দিয়েছে।

ঘিকমলা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুবাস মন্ডল বলেন, করোনাভাইরাসের সময় স্কুল বন্ধ ছিলো। এ সময় স্থানীয় মেম্বার লোকমান ও ঠিকাদার খেলার মাঠে ইট বালু রাখে। তবে আমার সাথে কথা ছিলো ৩ মাসের মধ্যে ইট বালু নিয়ে যাবে এবং আগের মতো করে রেখে যাবে খেলার মাঠ। তবে ৩ মাস পর আর ইট বালু নেয় না ঠিকাদার। দীর্ঘদিন ধরে ইট বালুর সাথে মাটিও নিয়ে যাওয়ায় এখন মাঠে পানি জমে আছে৷

উপজেলা শিক্ষা অফিসার কাজী ইজাজ কায়ছার বলেন, বিদ্যালয়ের মাঠের যে এখন অবস্থা আমার জানা ছিলো না। আমি ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

(এমজি/এসপি/জুন ১৬, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

১৮ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test