E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

অপেক্ষার পালা শেষ

দৃষ্টিনন্দন ৬ লেনের মধুমতি সেতুর দ্বার খুলছে ১০ অক্টোবর

২০২২ অক্টোবর ০৭ ১৬:৪৫:২১
দৃষ্টিনন্দন ৬ লেনের মধুমতি সেতুর দ্বার খুলছে ১০ অক্টোবর

রূপক মুখার্জি, লোহাগড়া : অপেক্ষার পালা শেষ হতে যাচ্ছে । নড়াইলের লোহাগড়ার মধুমতি নদীর কালনা পয়েন্টে ৬ লেনের দৃষ্টিনন্দন মধুমতি সেতুর দ্বার খুলতে যাচ্ছে আগামী ১০ অক্টোবর। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভার্চুয়ালি সেতুর উদ্বোধন করবেন বলে নিশ্চিত করেছেন সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রকল্পের পরিচালক (পিডি) শ্যামল ভট্টাচার্য।

এর আগে গত ২২ সেপ্টেম্বর সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের ওই সেতু পরিদর্শনে এসে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে সেতুমন্ত্রী বলেছিলেন, অক্টোবরের যে কোন দিন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেতুটি উদ্বোধন করবেন। গত ২৫ জুন পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর যশোর ও নড়াইলসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কাছে কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতু নিয়ে উৎসাহ-উদ্দিপনা তথা আগ্রহ বেড়েছে।

পদ্মা সেতু পার হয়ে দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রবেশদ্বার হবে মধুমতি নদীর কালনা পয়েন্টে মধুমতি সেতু। এ অঞ্চলের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে সেতুটি উদ্বোধনের প্রহর গুনে আসছে। দৃষ্টিনন্দন এ সেতু হতে যাচ্ছে দেশের প্রথম ছয় লেনের সেতু। এ সেতুর পূর্বপাড়ে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা এবং পশ্চিম পারে নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলা।

কালনা সেতুর প্রকল্প ব্যবস্থাপক ও সওজ নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.আশরাফুজ্জামান বলেন, সেতুতে ল্যাম্পপোস্টের কাজ এবং টোলপ্লাজাসহ যাবতীয় কাজ শেষ হয়েছে। গাড়ি চলার জন্য পুরোপুরি প্রস্তুত সেতুটি। শুধু মাত্র উদ্বোধন অপেক্ষা।

সওজের ক্রস বর্ডার রোড নেটওয়ার্ক ইমপ্রুভমেন্ট প্রজেক্টের আওতায় জাইকার অর্থায়নে এ সেতু নির্মিত হয়েছে। জাপানের টেককেন করপোরেশন ও ওয়াইবিসি এবং বাংলাদেশের আবদুল মোনেম লিমিটেড যৌথভাবে এ সেতুর ঠিকাদার।

প্রকল্পের কর্মকর্তারা জানান, সেতুর মাঝখানে বসানো হয়েছে ১৫০ মিটার স্টিলের দীর্ঘ স্প্যান। নেলসন লোস আর্চ টাইপের (ধনুকের মতো বাঁকা) এ স্প্যানটি তৈরি হয়েছে ভিয়েতনামে। ওই স্প্যানের উভয় পাশের অন্য স্প্যানগুলো পিসি গার্ডারের (কংক্রিট)। ছয় লেনের এ সেতু হবে এশিয়ান হাইওয়ের অংশ। চারটি মূল লেনে দ্রুতগতির ও দুটি লেনে কম গতির যানবাহন চলাচল করবে।

সেতুর দৈর্ঘ্য ৬৯০ মিটার ও প্রস্থ ২৭ দশমিক ১০ মিটার। উভয় পাশে সংযোগ সড়ক ৪ দশমিক ২৭৩ কিলোমিটার, যার প্রস্থ ৩০ দশমিক ৫০ মিটার। সেতু নির্মাণে মোট ব্যয় হয় ৯৫৯ দশমিক ৮৫ কোটি টাকা। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৫ সালের জানুয়ারি মাসে সেতুর কাজের ভিত্তিপ্রস্তর উদ্বোধন করেন।

২০১৮ সালের ২৪ জুন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সেতু কর্তৃপক্ষের কার্যাদেশ চুক্তি হয়। একই সালের ৫ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ দেওয়া হয়। তখন থেকে ৩৬ মাস ছিল মেয়াদকাল। পরে প্রকল্পের মেয়াদ ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে।

সওজ ও পরিবহনসংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, এ সেতু চালু হলে নড়াইল, যশোর, বেনাপোল স্থলবন্দর ও খুলনা থেকে ঢাকায় যাতায়াতকারী পরিবহন মাগুরা-ফরিদপুর হয়ে যাতায়াতের পরিবর্তে কালনা হয়ে যাতায়াত করতে পারবে। এতে বেনাপোল ও যশোর থেকে ঢাকার দূরত্ব কমে আসবে, সময়ও কমবে ।

এদিকে, শুক্রবার বিকালে রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের মাজার জিয়ারত শেষে নবনির্মিত মধুমতি সেতু করবেন বলে জানা গেছে।

(আরএম/এসপি/অক্টোবর ০৭, ২০২২)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test