E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

রছুল্লাবাদের নামকীর্তন অঙ্গণ যেন হিন্দু মুসলমানের মিলনমেলা

২০২৩ জানুয়ারি ০৯ ১৫:৫০:৩৯
রছুল্লাবাদের নামকীর্তন অঙ্গণ যেন হিন্দু মুসলমানের মিলনমেলা

বিশেষ প্রতিনিধি, ব্রাহ্মণবাড়িয়া : ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার রছুল্লাবাদ গ্রামে প্রতি বছরের মতো এবারও পঞ্চগ্রামের সনাতনী সম্প্রদায়ের উদ্যোগে ২৮-তম বার্ষিকীতে নামকীর্তন মহাযজ্ঞের আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামের সার্বজনীন রাখাকৃষ্ণ মন্দির প্রাঙ্গণে গত এক সপ্তাহ ধরে ভগবৎ পাঠ চলে। এরপর ৩২ প্রহরব্যাপী চলা হরিনামকীর্তন অঙ্গনটি এখন যেন এক হিন্দু মুসলমানের মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে। প্রতিদিনই কীর্তন চলাকালে সনাতনী সম্প্রদায়ের পাশাপাশি মুসলমান সম্প্রদায়ের লোকজনও সেখানে কীর্তন শুনতে আসছেন। 

২৮তম বার্ষিকীতে নামসুধা চলাকালীন তৃতীয় রজনীতে গতকাল রবিবার রাতে কীর্তন অঙ্গণটি আকস্মিকভাবে পরিদর্শন করেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (নবীনগর সার্কেল) মো. সিরাজুল ইসলাম ও নবীনগর থানার ওসি মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন আনোয়ার। এসময় তাঁদের সঙ্গে ছিলেন নবীনগর উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক ও বর্তমান সহ সভাপতি দৈনিক বাংলা ৭১ এর বিশেষ প্রতিনিধি ও কীর্তন কমিটির উপদেষ্টা, সিনিয়র সাংবাদিক গৌরাঙ্গ দেবনাথ অপু, রছুল্লাবাদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও স্থানীয় যুবলীগ সভাপতি খন্দকার মনির হোসেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সদস্য টিটন চন্দ্র পাল প্রমুখ।

রাত ৮টার দিকে কীর্তন অঙ্গণে পৌঁছার পর পুলিশের এই দুই উর্ধতন কর্মকর্তাকে স্বাগত জানান রছুল্লাবাদ কীর্তন উদযাপন কমিটির সভাপতি বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সঞ্জিত কুমার পাল, সাধারণ সম্পাদক বাদল দাস, স্থানীয় অধিবাসী আবদুল হক বেদন, খন্দকার শাহীন, ৬ নং ওয়ার্ড মেম্বার এনামুল বাসার, ৫ নং ওয়ার্ড মেম্বার মোঃ জালাল, অহিন্দ্র চৌধুরী, দিলীপ ধর, মধু সূদন পালসহ স্থানীয় হিন্দু নেতৃবৃন্দ।

এ সময় কীর্তন অঙ্গণে কমিটির সদস্য, টিভি ওয়ানের নিউজ এডিটর ও বাচিকশিল্পী প্রদীপ আচার্যের পরিকল্পনা ও সঞ্চালনায় সংক্ষিপ্ত এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনায় এডিশনাল এসপি সিরাজুল ইসলাম এবং ওসি সাইফুদ্দিন আনোয়ার তাঁদের বক্তব্যে কীর্তন চলাকালে রসুল্লাবাদের কীর্তন অঙ্গণের সার্বিক আইন শৃংখলা রক্ষায় সেখানকার দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তাদেরকে যথাযথ নির্দেশনা দেন।

পাশাপাশি কীর্তন চলাকালে কীর্তনের সামগ্রিক পরিবেশ দেখে তাঁরা সন্তোষ প্রকাশ করেন। পরে অতিথিদ্বয় স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বেশ কিছুটা সময় কীর্তন প্রাঙ্গণে অবস্থান করে নামকীর্তন উপভোগ করেন।

(জিডি/এসপি/জানুয়ারি ০৯, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০১ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test