E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

বরগুনায় সাংবাদিকের বৃদ্ধ পিতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

২০২৩ ফেব্রুয়ারি ০৩ ১৭:১৬:৩৮
বরগুনায় সাংবাদিকের বৃদ্ধ পিতাকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ

আসাদ সবুজ, বরগুনা : বরগুনার বেতাগীতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে এক সাংবাদিকের বৃদ্ধ পিতাকে পিটিয়ে জখম করার অভিযোগ উঠেছে প্রতিবেশীর বিরুদ্ধে। গুরুতর আহত অবস্থায় ওই সাংবাদিকের বৃদ্ধ পিতাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় প্রেরণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) সকাল সাড়ে ৯ টার দিকে বরগুনার বেতাগী উপজেলার ০৬নং কাজিরাবাদ ইউনিয়নের পূর্ব বকুলতলী গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। আহত ৭০ বছর বয়সী ওই বৃদ্ধ পূর্ব বকুলতলী গ্রামের মৃত আর্শ্বেদ মোল্লার ছেলে আলতাফ মোল্লা।

আহত বৃদ্ধ আলতাফ মোল্লার মেয়ে সাংবাদিক কাকলী আক্তার বলেন, আমি ঢাকায় সাংবাদিকতা করি, আমি দৈনিক একুশে সংবাদ পত্রিকায় কাজ করি। আমার পিতা আলতাফ মোল্লা একজন শান্ত মানুষ। প্রায় ২০ বছর আগে আমাদের প্রতিবেশী মান্নান মোল্লা (মনা মোল্লা) আমার পিতাকে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে একটি ফাকা দলিল দেয়। কিছুদিন পূর্বে আমার পিতা বিষয়টি জানতে পেরে জমি অথবা টাকা ফেরৎ চায়। সেই থেকেই অভিযুক্ত একই বাড়ির প্রতিবেশী মনা মোল্লা ও তার ছেলে কবির মোল্লা ও বাবুল মোল্লা আমার পিতার প্রতি ক্ষিপ্ত হইয়া থাকে। এর আগেও আমার পিতাকে আরো তিনবার মারধর করেছে অভিযুক্তরা। বৃহস্পতিবার (০২ ফেব্রুয়ারী) সকালে আমার পিতা ও মাতা উঠানে ধান গুছানোর সময় অযথা তর্কের সৃষ্টি করে আমার পিতাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মনা মোল্লার ইন্ধনে তার ছেলে কবির মোল্লা একটি মাডাম (কাঠের টুকরো) দিয়ে আমার পিতার কপালের উপরে স্বজোরে আঘাত করে। এতে আমার পিতার কপালের উপরিভাগে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়, আমার পিতার মাথায় আটটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। আমার পিতা বর্তমানে ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও আহত আলতাফ মোল্লার স্ত্রী বলেন, আমার সামনেই সামান্য ধান উরানোর মত তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার ঘর ও আমার স্বামীর কপালে আঘাত করে। আমি এলাকার লোকজনের সহায়তায় আমার স্বামীকে বরগুনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করাই। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নিউরো সাইন্স হাসপাতালে প্রেরণ করে। আমি এ ঘটনার বিচার চাই।

আরেক প্রত্যক্ষদর্শী রাকিব বলেন, কবির আর বাবুল আলতাফ কাক্কুরে উডানে বইয়া মারছে। কবির মাডাম দিয়া আলতাফ কাক্কুর মাথায় পিঠান দিয়া মাথা ফাঠাইয়া হালাইছে, অনেক রক্ত পরছে।

অভিযুক্তদের বাড়িতে গিয়ে তাদের ঘরে পাওয়া যায়নি বা কোন ভাবে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।

এ বিষয়ে চান্দখালী পুলিশ ফাড়ির ইনচার্জ আনোয়ার হোসেন বলেন, এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ দেওয়া হয়েছে, বেতাগী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এর সাথে আমার মুঠোফোনে কথা হয়েছে। এস আই রুহুল আমিনকে ঘটনার তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

(এএস/এসপি/ফেব্রুয়ারি ০৩, ২০১৩)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test