কর্ণফুলীতে ব্যাঙের ছাতার মতো গজাচ্ছে স্কুল-কলেজ!
জে.জাহেদ, চট্টগ্রাম : চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার আনাচে-কানাচে ব্যাঙের ছাতার মতো গড়ে উঠছে একের পর এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। সরকারি অনুমোদন ছাড়াই অধিকাংশ স্কুল-কলেজ চলছে পাড়া-মহল্লার অলিগলি ও ভাড়া বাসায়। প্লে-গ্রুপ থেকে অষ্টম, উচ্চ মাধ্যমিক পর্যন্ত পাঠদান করা হচ্ছে এসব প্রতিষ্ঠানে। স্বল্প জায়গায় গড়ে ওঠা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের মানসিক ও শারীরিক বিকাশ।
উপজেলার বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ইউনিয়নের অলিগলিতে, পাড়া-মহল্লায়, প্রধান সড়কের ওপর বিভিন্ন ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অধিকাংশেরই নেই কোনো অনুমোদন। শিক্ষার পরিবেশ, ভালো মানের শিক্ষক ছাড়াই চলছে এসব প্রতিষ্ঠান। এলাকার গৃহিণী ও শিক্ষার্থীদের দিয়ে চলছে পাঠদান। নাম মাত্র বেতনে তারা সেখানে শিক্ষকতা করেন। এর বাইরে শিক্ষার্থীদের কোচিং করিয়ে বাড়তি আয় করেন।
দেখা যায়, অনুমোদনহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অন্ধকার রুমে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। দিনেও সূর্যের আলো পৌঁছায় না এসব শ্রেণিকক্ষে। তার ওপর স্কুল কর্তৃপক্ষ বাড়তি আয় করতে শিক্ষার্থীদের নিম্নমানের প্রকাশনীর মানহীন বই কিনতে বাধ্য করে। প্রতি মাসে একাধিক কিন্ডার গার্ডেন স্কুলে পরীক্ষার পর পরীক্ষা। এসব স্কুলে পাঠ্য বইয়ের কোনো গুরুত্ব না থাকলেও জোর করে সেগুলো পড়তে বাধ্য করা হচ্ছে।
বছরের পর বছর অনুমোদনহীন এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান চললেও কেউ তদারকি করতে আসেনি। তবে নিজেদের অনুমোদন না থাকায় এসব স্কুল-কলেজগুলো অন্য কোনো অনুমোদিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে শিক্ষার্থীদের রেজিস্ট্রেশন করিয়ে পাবলিক পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ করে দেয়। এরমধ্যে রয়েছে নানা বিচিত্র নামে মাদরাসা ও হেফজ খানা। যে সব প্রতিষ্ঠানে ছাত্র-ছাত্রী রয়েছে নামে মাত্র ১৫/১২ জন। এসব প্রতিষ্ঠানের মান ও পরিবেশ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে।
কর্ণফুলী উপজেলার চরপাথরঘাটা, ইছানগর, খোয়াজনগর, চরলক্ষ্যা ইউনিয়নের সৈনেরটেক, কুইদ্দ্যারটেক, শিকলবাহার মাষ্টারহাট, কলেজবাজার, বড়উঠানের ফকিরনিরহাট, জুলধার পাইপের ঘোড়া বাজারসহ একাধিক জায়গায় গড়ে উঠেছে নানা অবৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নেই কোন পরিচালনা কমিটি, যিনি শিক্ষক তিনিই আবার কমিটি। কিছু কিছু স্কুল পরিচালনা কমিটিতে নামকেওয়াস্তে এলাকার প্রভাবশালীদের নাম জড়িয়েছেন। যাতে কৌশলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ব্যবসা নিরাপদে চালানো যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে খোয়াজনগরের এক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান নাম না প্রকাশ করা শর্তে বলেন, আমাদের জায়গা সংকটের কারণে খেলার মাঠ নেই। জাতীয় সংগীত পড়ানোর জায়গা নেই। তা সত্য। তবে আমরা চেষ্টা করছি। ভালো কিছু করার। এমনকি অভিভাবকদের জন্য ছাউনি করা যাচ্ছে না। সে কারণে কিছুটা ঝুঁকি নিয়ে শিক্ষার্থীদের যাতায়াত করতে হচ্ছে। পড়তে হচ্ছে।
জানতে চাইলে আলমগীর নামক এক শিক্ষক বলেন, অনুমোদনের জন্য আবেদন করে এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা হচ্ছে। অনুমোদনের জন্য অপেক্ষা করেনি আর। ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে ওঠা এসব মাদরাসা, হেফজখানা, স্কুল-কলেজ, মান-পরিবেশ নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এইসব স্কুলে পড়া এক ছাত্র রিপন বলে, স্কুলের কাছে বাসা হওয়ায় আম্মু এখানে ভর্তি করিয়েছে। ক্লাসে অনেক অন্ধকার। খেলার জায়গা নেই। বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দেওয়ার জায়গা নেই। স্যার-ম্যাডাম পড়ানোর সময় সবাই হইচই করে বলে ঠিকমতো পড়া বুঝতে পারি না। সে কারণে নিয়মিত স্কুলে আসতে ইচ্ছা করে না।
জানতে চাইলে কর্ণফুলী উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বাবুল চন্দ্র নাথ বলেন, ‘উপজেলার আনাচে-কানাচে অননুমোদিত অনেক স্কুল গড়ে উঠেছে। এসব স্কুলের পাশে বসবাস করা অনেকেই তাদের সন্তানদের সেখানে পড়াচ্ছেন। অনুমোদন না থাকলেও এসব স্কুল হরহামেশা চলছে, কোনোভাবেই বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। বদ্ধ এবং সংকীর্ণ স্থানে গড়ে ওঠা এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের জন্য কোনো ধরনের সুযোগ-সুবিধার ব্যবস্থা নেই। শুধু বাণিজ্যিক কারণে এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা হয়েছে। আমরা চেষ্টা করতেছি এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে একটা নিয়মে আনা যায় কিনা। কারণ এভাবে ছেড়ে দেওয়া যায় না। বাড়তি চাপ পড়ছে উপজেলার অন্যান্য বৈধ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের উপরও।’
শিক্ষা সচেতন অভিভাবকরা বলেছেন, এদের রোধ করতে আইন না থাকায় কোনো পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। তবে শিক্ষা আইনে এসব স্কুলের বিষয়ে সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে। অনুমোদন ছাড়া কোনো ধরনের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যাবে না। এ আইন বাস্তবায়ন হলে অনুমোদন ছাড়া কেউ আর শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারবে না।বর্তমানে যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে, সেগুলোকে তাদের পার্শ্ববর্তী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত করে দেওয়া হলে নিয়মে আসতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন অনেক অভিভাবক।
(জেজে/এসপি/জুলাই ১৮, ২০২৩)
পাঠকের মতামত:
- কুমিল্লা ও লাকসামে তুমুল যুদ্ধ চলে
- নগরকান্দায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া ও মিলাদ মাহফিল
- ৭ ডিসেম্বর সাতক্ষীরা মুক্ত দিবস
- গৌরবোজ্জ্বল ‘কলারোয়া মুক্ত’ দিবস পালিত
- ঝিনাইদহে পরিবার কল্যাণ সেবা সপ্তাহের শুরু
- ঝিনাইদহে বেড়েই চলেছে খুনোখুনি, নিরপত্তাহীনতায় জনজীবন
- লোহাগড়ায় খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় বিশেষ দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
- ১০ জেলায় ২শ’ অভয়াশ্রম, জলাশয়ে ফিরছে দেশীয় মাছ
- ভূমধ্যসাগরে নিখোঁজ রাজৈরের যুবক, পরিবারে মাতম
- ‘লন্ডনে দিল্লিতে, পিন্ডিতে বসে রাজনীতি চলবে না'
- সালথায় মাছ ব্যবসায়ীকে কুপিয়ে হত্যা মামলার এক আসামী গ্রেপ্তার
- চিৎমরম ঐতিহ্যবাহী বৌদ্ধ বিহারে অষ্টপরিস্কার দান ও সংঘদান উৎসবে হাজারো ভক্তের ঢল
- বাগেরহাটে দুস্থ মায়েদের সরকারি চাল দিতে অর্থ আদায়
- গোপালগঞ্জে ভ্যানচালক ও পথচারীদের মাঝে কম্বল বিতরণ
- কোটালীপাড়ায় এক মাসে ১৯ অবৈধ ড্রেজার জব্দ
- ৭ ডিসেম্বর গোপালগঞ্জ মুক্ত দিবস
- বিপ্লবী বাঘা যতীন : অরক্ষিত পৈতৃকভিটায় বিস্মৃত এক বিপ্লবী
- কেশবপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে আটক যুবদল নেতা উজ্জ্বলের মৃত্যু
- সোনাতলায় কিন্ডার গার্টেন অ্যাসোসিয়েশন এর বৃত্তিতে ১২'শ ২৭জন পরীক্ষার্থীর অংশগ্রহণ
- ‘নড়াইল-লোহাগড়ার মানুষের সেবক হতে চাই’
- শ্বশুরবাড়ির আত্মীয়-স্বজনকে হয়রানি অভিযোগ পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে!
- নড়াইল-২ আসনে মনিরুল মনোনয়ন পাওয়ায় নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা একাট্টা, কঠিন লড়াইয়ের আভাস
- আইজিপি বাহারুলের বরখাস্ত চেয়ে প্রধান উপদেষ্টার কাছে আবেদন
- ‘ক্ষমতায় গেলে জনগণের সেবক হবো’
- রাজশাহীতে সারজিস আলমকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা
- প্রাণ
- উখিয়ার লাল পাহাড়ে র্যাবের অভিযান, আগ্নেয়াস্ত্রসহ আটক ২
- বিবস্ত্র করে মারপিট, লজ্জায় কলেজছাত্রীর আত্মহত্যা
- ভণ্ডামি আর নাটক থেকে মুক্তি চান আঁখি আলমগীর
- নরসিংদীতে ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত ৫
- ‘ক্ষমতা ছেড়ে দিন, এক বছরের মধ্যে পরিবর্তন করে দেবো’
- ভোলায় ১৩ জেলে নিয়ে ট্রলারডুবি, নিখোঁজ ৮
- কক্সবাজারে পাহাড় ধসে শিশুসহ ৪ মৃত্যু
- বরাদ্দ সংকটে বরগুনার ৪৭৭ কি.মি. সড়ক, চরম দুর্ভোগে স্থানীয়রা
- আবদুল হামিদ মাহবুব'র একগুচ্ছ লিমেরিক
- বরগুনায় আওয়ামীলীগের ২৪ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা
- সিলেটে কমছে বন্যার পানি, দেখা মিলেছে রোদের
- শেখ হাসিনার সাথে মুঠোফোনে কথা বলায় গ্রেফতার আ.নেতা জাহাঙ্গীর
- পঞ্চগড়ে ভাষা সৈনিক সুলতান বইমেলায় নতুন তিনটি বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
- মহম্মদপুরে শহীদ আবীর পাঠাগারসহ মুক্তিযোদ্ধাদের স্থাপনা পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবি
- একদিনে ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু
- সন্ত্রাসীদের ঠাঁই নাই
- বই পড়ার অভ্যাসে তলানিতে বাংলাদেশ, বছরে পড়ে ৩টিরও কম
- 'নির্লজ্জ বেহায়া হতেই কী আমরা তোমাকে খুন করেছি কিংবা তোমাকে রক্ষা করিনি?'
- 'তোমার নৃশংস হত্যাকাণ্ডের পর প্রথম যে ব্যক্তিটি খুনি মোশতাককে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন, তিনি মাওলানা হামিদ খান ভাসানী, যাকে তুমি পিতৃজ্ঞানে শ্রদ্ধা করতে'
-1.gif)








