E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সুন্দরবনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান

২০২৩ নভেম্বর ২৫ ১৯:১১:২৮
সুন্দরবনে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান

সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জে বঙ্গোপসাগর পাড়ে দুবলার চরের আলোরকেলে শনিবার থেকে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান। রবিবার সন্ধ্যায় আলোরকোলে অস্থায়ি মন্দিরে রাস পূর্ণিমা পূজার মধ্য দিয়ে শুরু হবে সুন্দরবনের সাগর পাড়ে ২০০ বছর ধরে চলে আসা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানের প্রাথমিক পর্র্ব। সোমবার ভোরে দিনের প্রথম জোয়ারে সমুদ্রের লোনা পানিতে সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের পুণ্যস্নানের মধ্যদিয়ে শেষ হবে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নান।

আজ শনিবার সকাল থেকে বাগেরহাট. খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার পাঁচটি নৌরুট দিয়ে রাস পুণ্যস্নানে যোগ দিতে নৌপথে সুন্দরবনের আলোরকেলে যেতে শুরু করেছে পূর্নার্থীরা। বিগত দিনে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে সব ধর্মবর্ণের মানুষদের মিলন মেল বা উৎসব এবার হবেনা। এবার রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যেতে পারছেন শুধুমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা। এজন্য তাদের সুন্দরবন বিভাগ থেকে পাশ-পারমিট নিতে হয়েছে। সাথে রাখতে বলা হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র ও অপ্রাপ্তবয়স্কদের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের দেয়া নাগরিকত্বের সনদপত্র। সাগর পাড়ে রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে যাওয়া-আসা নির্বিঘ্ন করতে নেয়া হয়েছে চারস্তরের কঠোর নিরাপত্তা।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) কাজী মোহাম্মদ নূরুল করিম জানান, সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীদের ঐতিহ্যবাহী রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানে আগে প্রতি বছর লক্ষাধিক লোক অংশ নিলেও এবার কোন মেল হবেনা। এবার সুন্দরবন বিভাগের অনুমতিপত্র নিয়ে শুধুমাত্র সনাতন হিন্দু ধর্মালম্বীরা রাস পূর্ণিমা পূজা ও পুণ্যস্নানের অংশ নিতে পারবে। অন্য ধর্মের কাউকে রাস পুণ্যস্নান চলাকালে সুন্দরবনে যেতে দেয়া হচ্ছেনা। বনরক্ষী, পুলিশ, কোস্টগার্ড ও র‌্যাব সদস্যদের নিয়ে নেয়া হয়েছে চারস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।

সুন্দরবনের বিভিন্ন স্থানে বসানো হয়েছে চেকপোষ্ট। আলোরকেলে রাস পুণ্যস্নানে যেতে বাগেরহাট. খুলনা ও সাতক্ষীরা জেলার পাঁচটি নৌরুট নির্ধারন করে দেয়া হয়েছে। এক একটি নৌযানে সবোর্চ্চ ৫০জন পূণ্যার্থী যেতে অনুমতি দেয়া হয়েছে। তারা সাথে করে কোন ধরনের মাংস নিতে পারবেনা। রাস পুণ্যস্নানে অংশ নেয়া কেউ হরিণসহ কোন প্রকার বন্যপ্রাণী শিকার, খাওয়া ও সংরক্ষণ এবং গাছপালা কাটতে পারবেনা। আসা-যাওয়াসহ আলোরকোলে অবস্থনকালে পূণ্যার্থীরা সুন্দরবনের অভ্যন্তরে প্রবেশ করতে পারবেনা। এজন্য সুন্দরবনের বিভিন্ন পয়েন্টে চেকপোষ্টসহ নজরদারি বৃদ্ধি করা হয়েছে। সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য সুরক্ষায় এসব সিদ্ধান নেয়া হয়েছে বলে জানান এই বন কর্মকর্তা।

(এস/এসপি/নভেম্বর ২৫, ২০২৩)

পাঠকের মতামত:

০৯ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test