E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

সিলেটে দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত হত্যার রহস্য উদঘাটন 

২০২৪ মে ২৫ ১৮:৫৫:৪৪
সিলেটে দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত হত্যার রহস্য উদঘাটন 

সিলেট প্রতিনিধি : সিলেটের চাঞ্চল্যকর দৈনিক উত্তরপূর্ব পত্রিকার কম্পিউটার ইনচার্জ অমিত দাস শিবু (৩৬) হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। দুই আসামি আদালতে জবানবন্দিতে চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজাবাহর আলী শেখ।

জবানবন্দি দেওয়া আসামিরা হলেন, ব্রাক্ষণবাড়িয়া জেলার সরাইল থানার কালিগচ্ছ (ধরন্তি) মৃত জামাল ভূঁইয়ার মেয়ে সুমাইয়া আক্তার সুমি (২০) এবং সিলেট নগরীর সাগরদিঘীরপাড় এলাকার আব্দুস সালামের ছেলে তাহমিদ আহমদ (২৬)। তারা নগরীর আরামবাগ এলাকার ভাড়াটিয়া।

সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-পুলিশ কমিশনার ও অতিরিক্ত ডিআইজি আজাবাহর আলী শেখ বলেন, সুমাইয়া আক্তার সুমি ও তাহমিদ আহমদকে মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার কোতোয়ালি থানা এলাকা থেকে আটক করা হয়। “সন্ধ্যায় আসামিরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। পরে বিচারক তাদের কারাগারে পাঠিয়েছেন।”

এর আগে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে নগরীর ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ থেকে আব্দুল মুকিতের ছেলে ফয়ছল আহমদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ফয়ছলের বিরুদ্ধে চুরি ছিনতাই ডাকাতিসহ নানা অভিযোগে বিভিন্ন থানায় মামলা রয়েছে।

তাদের দেওয়া জবানবন্দিতে জানা যায়, অমিতের সাথে সুমাইয়ার ফোনে যোগাযোগ হয় এবং তারা হোয়াটসঅ্যাপে কয়েকবার কথা বলেছে। কথা বলার এক পর্যায়ে তারা একে অপরের সাথে দেখা করতে চায়। তবে অমিত বারবার ফোন করে ডিস্টার্ব করার কারণে সুমাইয়া তার উপর বিরক্ত ছিল। সেজন্য সুমাইয়া তার পাড়ার প্রভাবশালী বড়ভাই ফয়সালকে বিষয়টা জানায়। যার কারণে অমিতকে ফোন করে হাজারীবাগ এলাকায় নিয়ে আসতে বলে ফয়সাল। ২৬ এপ্রিল রাত সাড়ে ৮টার দিকে অমিত শাহী ঈদগাহ এলাকাস্থ মিনার গেটের নিচে সুমাইয়ার সাথে দেখা করে। সেখান থেকে মোটরসাইকেলের করে হাজারীবাগ এলাকায় যায় তারা।

সেখানে আগে থেকে থাকা ফয়সাল ও তার ৪/৫ জন সাথীর সাথে অমিতের কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে তারা হাতাহাতি করে। হাতাহাতির একপর্যায়ে ফয়সলসহ অন্যান্য আসামীরা অমিতের মোটরসাইকেলের হেলমেট দিয়ে তাকে আঘাত করে এবং এলোপাথারি কিল ঘুষি মারতে থাকে। তখন সুমাইয়ার বয়ফ্রেন্ড তাহমিদ ঘটনাস্থলে আসে মারামারিতে অংশগ্রহণ করে। মারামারির একপর্যয়ে অমিত ঘটনাস্থলে মারা গেলে তার লাশ এয়ারপোর্ট থানাধীন হোসনাবাদ এলাকায় ফেলে চলে যায়।

উল্লেখ্য, গত ২৫ এপ্রিল রাত আড়াইটায় নগরীর এয়ারপোর্ট থানার শাহী ঈদগাহ এলাকার হাজারিবাগ দলদলি চা বাগান সংলগ্ন মাঠ থেকে অমিত দাস শিবুর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। তিনি সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার এলেংজুড়ি গ্রামের মৃত গৌর চাঁদ দাসের ছেলে। দুই সন্তানের জনক অমিত সপরিবারে নগরীর কানিশাইল এলাকায় বসবাস করতেন। এ ঘটনায় ২৭ এপ্রিল অমিত দাসের বড় ভাই অনুকূল দাস বাদী হয়ে এয়ারপোর্ট থানায় অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন।

(এলএন/এসপি/মে ২৫, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

১৭ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test