E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ভৈরবে মেঘনার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষ

২০২৪ সেপ্টেম্বর ১০ ১৮:২৬:০২
ভৈরবে মেঘনার ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করলেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষ

সোহেল সাশ্রু, কিশোরগঞ্জ : ভৈরবে মেঘনা নদী ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ড ও বিএডিসি কর্তৃপক্ষ।

আজ মঙ্গলবার সকালে ভৈরব মেঘনা ডিপোঘাট এলাকায় ভাঙন পরিদর্শন করেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান, বিএডিসি প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুজ্জামান।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদোয়ান আহমেদ রাফি, ভৈরব সেনা ক্যাম্পের মেজর সানজিদুল ইসলাম, বিএডিসি সহকারী পরিচালক নজরুল ইসলাম ভূঁইয়া, বিএডিসি ভৈরব গোদাম সহকারী পরিচালক শিপন চন্দ সরকার, উপ-সহকারী পরিচালক আতাউর রহমান প্রমুখ।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কেন্দ্রীয় অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, এ মুহুর্তে নদী ভাঙ্গনের কারণ হিসেবে আমরা ধারণা করছি জায়গাটি শহর রক্ষা বাঁধের বাইরে। এখানে একটি পৌরসভার রাস্তা হয়েছিল যা অপরিকল্পিতভাবে তৈরি করা হয়েছে। এ রাস্তার ব্যাপারে পৌরসভার প্রকৌশল বিভাগ পানি উন্নয়ন বোর্ডের সাথে কোন ধরনের যোগাযোগ না করে রাস্তাটি নির্মাণ করেছে। আমাদের সাথে যোগাযোগ করে যদি এই রাস্তার অবকাঠামো তৈরি করা হতো তাহলে আজকের এই দুর্ঘটনা নাও ঘটতে পারতো। তাছাড়া এ ভাঙ্গন নদীতে অতিরিক্ত স্রোত ও ঘূর্ণিপাকের ফলে সৃষ্টি হতে পারে। ভাঙ্গনরোধে ২৫ হাজার জিও ব্যাগ ফেলতে হবে। প্রাথমিকভাবে ৫ হাজার জিও ব্যাগ দিয়ে কাজ চালানো হচ্ছে। দ্রুত সময়ের মধ্যে ভাঙন রোধে নদীতে জিও ব্যাগ ফেলে প্রাথমিকভাবে স্থাপনাগুলো রক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪ ধাপে ৭ দিনের মধ্যে পুরো মেজারম্যান্ট করে ভাঙ্গনের সমাধানের চেষ্টা করা হবে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সাথে কথা বলে স্থায়ী সমাধানের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার চেষ্টা করা হবে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সদস্যরা সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নিয়ছেন নদী থেকে কোন রকম অবৈধভাবে বালু উত্তোলণ করা যাবে না। এ বিষয়ে সকলকে সুদৃষ্টি রাখার আহ্বান জানান তিনি।

এ সময় বিএডিসি প্রধান কার্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুজ্জামান জানান, ভৈরবের মেঘনা নদীর তীরবর্তী এলাকা একটি গুরুত্বপূর্ণ জায়গা। এখানে একটি সড়ক সেতু ও ২টি রেল সেতু, মেঘনা ডিপো, পদ্মা ডিপো ও যমুনা ডিপো নামে ৩টি ডিপো ও বিএডিসির ২টি গোদাম রয়েছে। গোদামে প্রায় ৯ হাজার মেট্রিক টন সার মজুদ রয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সেনাবাহিনীর ভৈরব ক্যাম্পের সদস্যদের তত্ত্বাবধানে কিছু সার এখান থেকে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। রাস্তাটি ভেঙ্গে যাওয়ায় বিএডিসি গোদামের সাথে বিকল্প একটি রাস্তা তৈরির জন্য ঊর্ধ্বতন কর্র্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হবে। এছাড়াও গোদাম দুটি ক্ষতি হলে ভৈরবের অপূরণীয় ক্ষতি হয়ে যাবে। ফলে কমান্ডার এরিয়ার ৫ জেলার সার সরবরাহ ও মজুদ করা বিঘ্নিত হবে।

এ সময় উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ভারপ্রাপ্ত) রেদোয়ান আহমেদ রাফি বলেন, মেঘনা নদীর এ ভাঙ্গনে নদীর তীরবর্তী এলাকায় থাকা ১৮টি পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তারা এখানে অবৈধভাবে বসবাস করতো, তারপরও তারা ভৈরবের মানুষ। তাদের জন্য পুনর্বাসনের চেষ্টা করা হচ্ছে। এখানে যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন তাদের মধ্যে যাদের জমি রয়েছে তাদের গৃহনির্মাণের জন্য টিন ও আর্থিক সহায়তা করা হবে। ইতিমধ্যে ভৈরবের বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক-সাংস্কৃতিক সংগঠন খাদ্য সামগ্রী ও আর্থিক সহায়তা নিয়ে এগিয়ে এসেছে। প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে।

(এসএস/এসপি/সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test