E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ২৪ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা

২০২৪ অক্টোবর ১৮ ১৯:০৭:০১
ঢাকা-বরিশাল মহাসড়কে ২৪ কিলোমিটার খানাখন্দে ভরা

আঞ্চলিক প্রতিনিধি, বরিশাল : সড়কের কার্পেটিং উঠে গিয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। কোথাও তৈরি হয়েছে কাদা। আবার কোথাও দীর্ঘদিন ধরে সড়কের একপাশ মেরামতের জন্য খুঁড়ে ফেলে রাখা হয়েছে। সরেজমিনে দেখে বোঝার কোন উপায় নেই এটা ব্যস্ততম ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক।

খানাখন্দে ভরা এসব স্থানে ছোট-বড়, মাঝারি ও ভারী যানবাহন চলতে গিয়ে অহরহ ঘটছে দুর্ঘটনা, বিকল হচ্ছে গাড়ি, সৃষ্টি হচ্ছে দীর্ঘ যানজটের। সড়কটির বেহাল দশায় প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন দক্ষিণাঞ্চলের কয়েক লাখ মানুষ। শুক্রবার মহাসড়কের বরিশালের প্রবেশদ্বার গৌরনদী উপজেলার ভুরঘাটা বাসস্ট্যান্ড থেকে উজিরপুরের জয়শ্রী বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত ২৪ কিলোমিটার সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অসংখ্যস্থানে বিটুমিন (পিচ) আর পাথরের কার্পেটিং উঠে কাঁদা মাটির সড়কে পরিণত হয়েছে। সড়কটির দুই পাশে ঢালের মাঝে সৃষ্টি হয়েছে অসংখ্য গর্ত।

এছাড়া সড়ক প্রসস্তকরণের নামে কোথাও কোথাও দুই পাশে কেটে ফেলে রাখায় প্রতিনিয়ত ঘটছে ছোট-বড় দুর্ঘটনা। সড়কের এ অবস্থায় একটি গাড়ি আরেকটিকে পাশ কাটিয়ে যেতে পারছে না। ফলে ব্যস্ততম ঢাকা-বরিশাল রুটে চলাচলকারী বিভিন্ন ভারী যানবাহন, ইজিবাইক, মাহিন্দ্রা, মোটরসাইকেল, ব্যাটারি চালিত ভ্যান ও রিসকা গর্তের কারণে ধীরগতিতে চলাচল করতে গিয়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি করছে। পাশাপাশি দুরপাল্লার পরিবহনের ওভারটেকিংয়ের কারণে ছোট যানবাহনের দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে।

মহাসড়কের গৌরনদীর মাহিলাড়া এলাকার বাসিন্দা ফারুক হোসেন বলেন, মহাসড়কটি প্রসস্তকরণের জন্য সড়কের দুই পাশ দীর্ঘদিন পূর্বে কেটে ফেলে রাখা হয়েছে। এতে করে প্রতিনিয়ত এ মহাসড়কে দুর্ঘটনা লেগেই রয়েছে। খানাখন্দে ভরা এ মহাসড়কে অত্যন্ত ঝুঁকি নিয়ে হেলে-দুলে হাজার হাজার যানবাহনসহ জনসাধারণ চলাচল করছে।

ভুরঘাটা এলাকার বাসিন্দা বাবুল বেপারী বলেন, অনেকদিন ধরেই সড়কের বেহাল দশা। সড়কের কোথাও খানাখন্দ আবার কোথাও ঢেউয়ের মতো উঁচু-নিচু। সড়কটি একেবারে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পরেছে। তিনি আরও বলেন, পদ্মা সেতু উদ্বোধনের আগে এ সড়কটি ছয়লেন করা উচিত ছিলো। তা না করে সেতু চালু করায় পরিবহনসহ অন্যান্য যানবাহনের চাঁপ পূর্বের তুলনায় বহুগুন বেড়ে যাওয়ায় সরু সড়ক এখন মৃত্যুপুরিতে পরিনত হয়েছে।

জয়শ্রী এলাকার বাসিন্দা কামাল হোসেনসহ একাধিক ব্যবসায়ীরা বলেন, বর্তমানে খানাখন্দের সড়কে যেমন যানবাহনের ক্ষতি হচ্ছে, তেমনি সময় যাচ্ছে দ্বিগুণ। ভাঙাচোরা রাস্তার জন্য সময়মতো বাজারে পণ্য আনা নেওয়া যায় না। তাছাড়া ভাঙাচোরা সড়কের কারণে ভ্যান চালকদের মালামাল পরিবহনে বেশি ভাড়া দিতে হচ্ছে।

এ রুটে চলাচলকারী একাধিক পরিবহন ও ট্রাকের চালকরা জানান, মালবাহী পরিবহন, যাত্রীবাহী পরিবহনের চাকা গর্তের মধ্যে পড়ে ইঞ্জিন ও টায়ার-টিউবে সমস্যা হচ্ছে। এতে প্রতিটি ট্রিপ শেষে কোনো না কোনো যন্ত্রাংশের ক্ষতি হচ্ছে। পাশাপাশি যাত্রীদেরও চরম ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। তাছাড়া একটু বৃষ্টি হলেই মহাসড়কের গর্তে পানি জমে থাকে। ফলে ঠিকমতো গর্ত দেখা যায় না। ভুক্তভোগীরা গুরুত্বপূর্ণ এ মহাসড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের কাছে জোর দাবি করেছেন।

এ ব্যাপারে সড়ক ও জনপথ (সওজ) বরিশালের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, গত জুন মাস থেকে চলমান বৃষ্টি ও কয়েকটি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে রাস্তার বেশ ক্ষতি হয়েছে। বৃষ্টিপাত শেষ হলেই আবার সংস্কার কাজ শুরু করা হবে।

(টিবি/এসপি/অক্টোবর ১৮, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test