E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ঈশ্বরদীর বৃহত্তম পশুর হাটে

২০২৪ নভেম্বর ২২ ১৭:৫৫:২৭
উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি ঈশ্বরদীর বৃহত্তম পশুর হাটে

ঈশ্বরদী প্রতিনিধি : উত্তরাঞ্চলের অন্যতম বৃহত্তম পশুর হাট বসে ঈশ্বরদী পৌর এলাকার অরণকোলায়। প্রচীন এই পশুর দেশের বিভিন্ন এলাকা হতে পশু ক্রয়-বিক্রয়ের জন্য বেপারী, ক্রেতা ও বিক্রেতারা এখানে আসেন। এছাড়াও খামারি, পশু পালনকারী কৃষকরা গরু ক্রয়-বিক্রয় করতে আসেন এই হাটে। বিপুল লোক সমাগমের এই হাটে দীর্ঘদিনেও উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি।

জানা গেছে, সপ্তাহের প্রতি মঙ্গলবার পৌর এলাকার অরণকোলায় গরুর হাট বসে। প্রতি বছর ঈশ্বরদী পৌরসভা কর্তৃপক্ষ হাট ইজারা দিয়ে থাকেন। কর্তৃপক্ষ এবারেও অরণকোলা পশুরহাট ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য ইজারা দিয়েছেন। কিন্তু হাটে কোন দৃশ্যমান উন্নয়ন নেই। সামান্য বৃষ্টিতে হাটের ভেতরে চলাচল করা মুশকিল হয়ে পড়ে।

গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) গরু বিক্রয় করতে আসা রহমত আলী জানান, এই হাটে আমাদের ব্যক্তিগত কোন সমস্যা নেই। হাটের ইাজারাদাররা আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করে থাকেন। হাটে কোন চাঁদাবাজি নেই। গরু বিক্রি করে টাকা নিয়ে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারি। তবে সামান্য বৃষ্টি হলেই কাঁদায় ভরে যায়। দাঁড়ানোর মতো জায়গা থাকে না। আমাদের কাপড়-চোপড় কাদামটিতে নষ্ট হয়ে যায়। হাটের মধ্যে গরু রাখার সেড নেই। বৃষ্টি এলে গরু এবং আমরা নিজেরাও ভিজতে থাকি। পৌর কর্তৃপক্ষ আমাদের কথা চিন্তা করে হাটে চলাচলের জন্য পাকা রাস্তা ও কয়েকটি সেড নির্মাণ করলে সবচেয়ে ভালো হয়।

ঈশ্বরদী পশু হাটের ইজাদারের অংশীদার আলহাজ্ব মিজানুর রহমান রুনু মন্ডল জানান, আমরা বিপুল টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য এই হাট ইজারা নেই। সামান্য বৃষ্টি হলেই হাটে চলাচল করা মুশকিল হয়ে যায়। এছাড়াও হাটে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা নেই। কর্তৃপক্ষ প্রতি বছর ইজারা মূল্যের ১০ ভাগ টাকা হাটের জন্য খরচ করতে পারে। তাহলে রাস্তা-ঘাট থেকে শুরু করে বৈদ্যুতিক সমস্যার সমাধান অনেক আগেই হয়ে যেত। কিন্তু পৌর কর্তৃপক্ষ ইজারার টাকা নেয়ার পর হাটের দিকে কোন নজর দেন না।

পৌরসভার সচিব জহুরুল ইসলাম জানান, ২ কোটি ৮ লাখ ৫০ হাজার টাকায় এক বছরের জন্য অরণখোলা পশুর হাট ইজারা দেয়া হয়েছে। ইজারার টাকার নয় শতাংশ ভূমি উন্নয়ন এবং মুক্তিযোদ্ধা তহবিলে যায়। এই নয় শতাংশ বাদে যে অবশিষ্ট টাকা থাকে, তার ৪৫ ভাগ টাকা হাট-বাজারের উন্নয়নে খরচ করা হয়। তিনি আরও বলেন, এবছর টোল আদায়ের একটি সেড, হাটের পাশে ড্রেন নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়াও হাটের ভেতরে খোয়া এবং রাবিস দেয়া হয়েছে। এতে প্রায় দশ লাখ টাকার মতো খরচ হয়েছে।

(এসকেকে/এসপি/নভেম্বর ২২, ২০২৪)

পাঠকের মতামত:

০১ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test