E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

রমজানে সাড়া ফেলেছে ন্যায্য মূল্যের দোকান

২০২৫ মার্চ ০৪ ১৭:৩৩:১৭
রমজানে সাড়া ফেলেছে ন্যায্য মূল্যের দোকান

আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে বরিশালের গৌরনদীতে ন্যায্যমূল্যে ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকানে পণ্য বিক্রি শুরু হয়েছে। খুচরা বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য বিক্রি শুরু করায় নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। 

জানা গেছে, উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে “মানুষ মানুষের জন্য যুবসঙ্ঘের” সহায়তায় কম দামে ইফতার পণ্য সামগ্রী ক্রেতাদের কাছে বিক্রয়ের লক্ষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি গৌরনদী পৌর বালুর মাঠে ন্যায্যমূল্যে ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকান উদ্বোধন করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক মো. আবু আবদুল্লাহ খান ও সহকারী কমিশনার মো. রাজিব হোসেন। সকল পণ্য বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করায় দোকানটি উদ্বোধনের পর থেকেই ক্রেতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলে।

সরেজমিন আজ মঙ্গলবার সকালে দোকান ঘুরে দেখা গেছে, ন্যায্যমূল্যে ইফতার সামগ্রী বিক্রির দোকানে চার প্রকারের ডাল, আলু, পিয়াজ, আদা, ভ্যাসন, চিনি, মুড়ি, খেজুর, তরমুজ, আনারস, মাল্টাসহ ২০ প্রকারের পণ্যের পশরা সাজানো হয়েছে দোকানে। দোকানের সামনেই পণ্য ক্রয়ের জন্য ভীর করছেন নিন্ম ও মধ্যবিত্ত পরিবারের সদস্যরা। ক্রেতারা তাদের পছন্দমত পণ্য ক্রয় করে নিয়ে যাচ্ছেন। একাধিক পণ্য ক্রেতারা জানিয়েছেন, খুচরা বাজারের চেয়ে ন্যায্যমূল্যের দোকানে সব পণ্যের দাম কম রাখা হচ্ছে। যে কারণে অল্প কয়েকদিনের মধ্যে ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে দোকানটি। এরকম দোকান সাড়া বছর থাকলে সিন্ডিকেট ব্যবসা ধ্বসে পরবে।

মানুষ মানুষের জন্য যুবসঙ্ঘের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম লিমন জানান, উপজেলা নির্বাহী অফিসারের অনপ্রেরণায় রমজানের এক মাস সকাল নয়টা থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ক্রেতাদের মধ্যে স্বস্তি দিতে ন্যায্যমূল্যের দোকানটি স্থাপন করা হয়। দোকানে যে সকল পণ্য বিক্রি করা হচ্ছে তা খুচরা বাজারের চেয়ে কম মূল্যে বিক্রি হচ্ছে। যেমন- গৌরনদীতে বিভিন্ন ফলের দোকানে মাল্টা ৩৪০ টাকা বিক্রি হলেও ন্যায্যমূল্যের দোকানে ২৮০ টাকায় বিক্রি করা হচ্ছে, খেজুর খুচরা বাজারের চেয়ে প্রকার ভেদে ৫০/২০০ টাকা কম দামে বিক্রি করা হচ্ছে। খুচরা বাজারে তরমুজ ৬০ টাকা কেজি বিক্রি করা হলেও আমরা ৫ কেজি ওজনের তরমুজ ২০০ টাকা দরে বিক্রি করে যাচ্ছি। চিনি খুচরা বাজারে ১২৫ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে আমরা ১২০ টাকা দরে বিক্রি করে আসছি, মুড়ি খুচরা বাজারে ৯০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে, সেখানে আমরা ৭০ টাকা দরে বিক্রি করে আসছি। এভাবেই অন্যান্য পণ্য খুচরা বাজারের চেয়ে কম দামে বিক্রি করে আসছি। ফলে ক্রেতাদের ভীর সামলাতে হিমসিম খাচ্ছি।

তিনি আরও জানান, মূলধন সংকটের কারনে ইচ্ছা থাকা সত্বেও দোকানে বেশি মালামাল উঠাতে পারছিনা। যে কারনে প্রতিদিন ১০০/১৫০ জন ক্রেতাদের চাহিদাপূরণ করতে সক্ষম হচ্ছে ন্যায্যমূল্যের দোকান।

গৌরনদী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. আবু আবদুল্লাহ খান বলেন, রমজান আসলেই এক ধরনের ব্যবসায়ীরা পণ্যের দাম বৃদ্ধি করে সাধারণ মানুষের কষ্ট বাড়িয়ে দেয়। সেই দিকবিবেচনা করে এবছর রমজানের শুরুতেই সাধারণ মানুষ যাতে রমজানের ইফতার পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে ক্রয় করতে পারেন সেই লক্ষে “ন্যায্যমূল্যের ইফতার সামগ্রী” দোকানটি উদ্বোধন করা হয়। দোকানটি উদ্বোধনের পর থেকে সাধারণ মানুষ খুচরা বাজারের চেয়ে কম দামে পণ্য ক্রয় করে স্বস্তিবোধ করছেন।

(টিবি/এসপি/মার্চ ০৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test