E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

স্পিডবোট ও ট্রলারের সংঘর্ষে জেলে নিহত

২০২৫ মার্চ ০৪ ১৭:৪১:১৬
স্পিডবোট ও ট্রলারের সংঘর্ষে জেলে নিহত

আঞ্চলিক প্রতিনধি, বরিশাল : জেলার মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলার শ্রীপুর এলাকায় কালাবদর নদীতে মৎস্য বিভাগের স্পিডবোটের সাথে মাছ ধরার ট্রলারের সংঘর্ষে মিরাজ ফকির (৩০) নামের এক জেলে নিহত হয়েছেন। সোমবার দিবাগত রাতে গুরুত্বর আহত মিরাজকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা তাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

নিহত দুই সন্তানের জনক জেলে মিরাজ ফকির মেহেন্দীগঞ্জের শ্রীপুর ইউনিয়নের মিয়ারচর এলাকার বাসিন্দা ফখরুল ইসলাম ফকিরের ছেলে। মঙ্গলবার সকালে মেহেন্দিগঞ্জ উপজেলা মৎস্য বিভাগের মেরিন ফিসারিজ অফিসার সুকান্ত কুমার রায় বলেন, মাছ শিকারের জন্য কালাবদর নদীর শ্রীপুর এলাকায় নিষিদ্ধ বাধা জাল ফেলেন জেলেরা। এ খবর পেয়ে মৎস্য বিভাগের আট সদস্যর একটি দল স্পিডবোট নিয়ে সেখানে অভিযানে যায়। নদী থেকে জাল তোলার সময় ৮/১০টি জেলে ট্রলার থেকে অভিযানিক দলের ওপর হামলা চালানো হয়। এসময় একটি ট্রলার এসে তাদের স্পিডবোটের ওপর উঠিয়ে দিলে একজন জেলে নদীতে পরে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পর চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষনা করেন। অপরদিকে ঘটনার পর পরই কোস্টগার্ডের সাথে সংঘর্ষে জেলে নিহত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পরলেও পরবর্তীতে জানা গেছে ওইদিন কোস্টগার্ডের কোন অভিযানই ছিলোনা। মূলত অভিযান পরিচালনা করেছে মৎস্য বিভাগ।

মেহেন্দিগঞ্জের কালিগঞ্জ নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির পরিদর্শক এনামুল হক বলেন, খবর পেয়ে ওইদিন রাতেই নৌ-পুলিশের সদস্যরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। জেলেদের পক্ষ থেকে কোন হামলার ঘটনা ঘটেনি দাবি করে ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী জেলে কামাল হোসেন জানিয়েছেন, মিরাজের ছোট ভাই রবিউলকে আটক করে অভিযানিক দলের সদস্যরা বেধম মারধর করেন। এসময় মিরাজ ৪/৫ জন জেলেকে নিয়ে আটক রবিউলকে ছাড়িয়ে আনতে যায়। তখন অভিযানকারী দলের থেমে থাকা স্পিডবোটটি দ্রুতগতিতে চালু করে জেলে নৌকায় উঠিয়ে দিলে মিরাজ গুরুত্বর আহত হয়। পরে তাকে চিকিৎসা না দিয়ে বোটে ফেলে রেখে অন্যান্য জেলেদের মারধর করা হয়। পরে মামলায় জড়ানোর ভয় দেখিয়ে অভিযানিক দলের সদস্যরা তাদের (জেলে) কাছ থেকে নগদ অর্থ ও তিনটি মোবাইল ফোন নিয়ে যায়।

তিনি আরও বলেন, পরে গুরুত্বর অবস্থায় বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নিয়ে আসলে চিকিৎসকেরা মিরাজ ফকিরকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। নিহত মিরাজের স্ত্রী রোজিনা বেগম বলেন, আমার স্বামী অপরাধ করলে আইন অনুযায়ী তাকে শাস্তি দেওয়া হতো। বিনাচিকিৎসায় তাকে কেন মেরে ফেলে আমার দুই সন্তানকে এতিম করা হলো। আমি এ ঘটনার বিচার দাবি করছি।

(টিবি/এসপি/মার্চ ০৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test