মাদারীপুরে ক্লিনিক মালিকের বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টা ও নির্যাতনের অভিযোগে বিক্ষোভ, জুতা মিছিল 

মাদারীপুর প্রতিনিধি : মাদারীপুর শহরের কলেজ রোড এলাকার প্লানেট হাসপাতালের মালিক লোকমান মোল্লার বিরুদ্ধে জোড় করে জমি দখলের চেষ্টা ও নারীদের নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। 

আজ শনিবার দুপুরে এই ঘটনায় বিক্ষুব্ধ নারীরা মাদারীপুর পুলিশ সুপার কার্যালয়ের সামনে লোকমান মোল্লার বিচারের দাবীতে জুতা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছে। এছাড়াও তার বিচার দাবী করে পুলিশ সুপার এবং ওসি বরারর একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। এসময় বিক্ষুদ্ধ নারীরা জুতা হাতে নিয়ে লোকমান মোল্লার বিচার দাবী করে বিভিন্ন স্লোগান দেন।

এসময় বিক্ষুব্ধ নারীরা জানায়, পৈত্রিক সূত্র ধরে শহরের কলেজ রোড এলাকার উজ্জ্বল মৃধা, ইকবাল মৃধা, তুহিন মৃধাসহ তার বংশের লোকজন বসবাস করে আসছেন। কয়েক বছর আগে কলেজ রোড এলাকাতে লোকমান মোল্লা প্লানেট হাসপাতাল নামে একটি ক্লিনিক প্রতিষ্ঠা করেন। এরপরই ইকবাল মৃধা ও তার বংশের লোকদের জমির উপর নজর পড়ে লোকমান মোল্লার। পরবর্তীতে ক্লিনিক সম্প্রসারণের জন্য বিভিন্ন কৌশলে জমি দখলের চেষ্টা করেন।

ইকবাল মৃধার পরিবারের দাবী, শনিবার সকালে লোকমান মোল্লা ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীদের দিয়ে জমি দখলের চেষ্টা করেন। এসময় বাধা দিলে অনি আক্তার (২৬), আকাশ মৃধা (৩৩)সহ কয়েকজনকে কুপিয়ে জখম করে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। এছাড়াও এলাকায় উত্তেজনা থাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।

বিক্ষোভে অংশ নেয়া পাপড়ি আক্তার বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের পৈত্রিক জমি দখলের পায়তারা করছেন লোকমান মোল্লা। বাঁধা দিতে আসলে হামলা করে তার সন্ত্রাসী বাহিনী। মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করেন। আমরা এর বিচার চাই।

আরেকজন রুপা মৃধা বলেন, লোকমান মোল্লা তার লোকজন নিয়ে শনিবার সকালে আমাদের বাড়িতে হামলা করেছেন। তার ভয়ে বাড়ির পুরুষ মানুষ নিজ বাড়ি থেকে পালিয়ে আছেন। মিথ্যা মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানী করছেন। এমনকি আমাদের বাড়ির শিশু বয়স্ক সব বয়সের নারীর উপর হামলা করেছেন। এই ঘটনার বিচার চাই। তাই তার বিচারের দাবীতে আমরা জুতা হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করেছি।

অপর বাসিন্দা ইকবাল মৃধা বলেন, লোকমান মোল্লা তার ক্লিনিক বড় করার জন্য আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করছেন। আমাদের মামলা দিয়ে হয়রানি করছেন। আমাদের নারীদের উপর হামলা করেছেন। আমরা এই ঘটনার তদন্ত করে সুষ্ঠু বিচার চাই।

অভিযুক্ত লোকমান মোল্লা সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমার ক্রয় করা জমিতেই আমি ক্লিনিক করেছি।

মাদারীপুরের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আন্দোলনকারী নারীদের সাথে আমরা কথা বলেছি। এই ঘটনায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আমরা আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হবে।

(এএসএ/এসপি/এপ্রিল ১২, ২০২৫)