E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমান

‘কলিজা টানি ছিড়ি ফেলবো, একবারে টানি ছিড়ি ফেলবো, চেনো বিএনপিক’

২০২৫ এপ্রিল ৩০ ১৯:২৯:২৪
‘কলিজা টানি ছিড়ি ফেলবো, একবারে টানি ছিড়ি ফেলবো, চেনো বিএনপিক’

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : “কলিজা টানি ছিড়ি ফেলবো-একবারে টানি ছিড়ি ফেলবো তোমার, চেনো তুমি-এ চেনো! খুব পাওয়ার দেখাও, একবারে নিশ্চিহ্ন করে দেবো তোমাক, চেনো বিএনপিক। এ বার তোমার নামে আমি মামলা দেবো। আমি থানা যায়া ওখানে লিখবো, উয়াক এ্যারেস্ট করি দিয়ো তারপরে আমি আসবো।”

রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমানের এসব কথার ৩৮সেকেন্ডের একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। আজ বুধবার সকাল থেকে ছড়িয়ে পড়া এই ভিডিও নিয়ে চলছে সামাজিক মাধ্যমে আলোচনা-সমালোচনা।

এই বিষয়ে বাংলাদেশ শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশন রাজারহাট শাখার বায়তুলমাল সম্পাদক ও রাজারহাট স্কুল এন্ড কলেজের আইসিটির সহকারি শিক্ষক রুবেল মিয়া বলেন, (২৯ এপ্রিল) মঙ্গলবার দুপুরে চান্দামারী দ্বি-মুখি উচ্চ বিদ্যালয়ে কমিটি নিয়ে অভিভাবক সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় বিদ্যালয়ের কমিটির সভাপতি পদের জন্য রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমান তিন জনের নাম প্রস্তাব করেন।

তারা হলেন, রাজারহাট উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক রুশো চৌধুরী, যুগ্ম আহবায়ক বাদশা মিয়ার ছোট ভাই শাহ আলম মাস্টার এবং উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহবায়ক ওয়াজেদ আলীর সহধর্মিনী রহিমা বেগম। এই তালিকা নিয়ে আমি প্রতিবাদ জানিয়ে রাজারহাট উপজেলা জামায়েতের সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট আহমদ আলীর নাম প্রস্তাব করি। সেখানে বাকবিতন্ডা হয়। পরে বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে রাজারহাট বাজারে থানা মোড়ে আনিছুর রহমানের নেতৃত্বে কয়েকজন আমাকে পথরোধ করে থানা মোড়ে মুকুল মিয়া ফার্মেসীতে নিয়ে যায়। সেখানে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চড়, থাপ্পড় মেরে লাঞ্চিত করে এবং গালিগালাজ করে। বিষয়টি আমার দলের উদ্ধর্তন নেতৃবৃন্দকে জানিয়েছি। নিরাপত্তা জনিত কারণে মামলা করিনি বলেও জানান তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা কফিল উদ্দিন বলেন, আমি এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। দলীয় কর্ম পরিষদের সদস্যদের নিয়ে মিটিং করে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।

এই বিষয়ে রাজারহাট উপজেলা বিএনপির আহবায়ক আনিছুর রহমান বলেন, রুবেল মিয়া শিবিরের করে। সে বিএনপিকে নিয়ে মিথ্যা কথা ফেসবুকে ছড়িয়ে দিয়ে ছিল। এই বিষয়ে তাকে বলা হলে সে ভুল স্বীকার করে ক্ষমা চায়। পরে তাকে নিয়ে ছাত্রদল ও যুবদলের ছেলেরা চা-নাস্তা করে। সুন্দর ভাবে তারা সেখান থেকে বিদায় নিয়ে চলে যায়। কিন্তু সে ওই ঘটনার পুরো ভিডিও না দিয়ে শুধুমাত্র আমার কথার অংশটুকু অন্য একজনের ফেসবুক থেকে ছড়িয়ে দিয়েছে।

রাজারহাট থানার অফিসার ইনচার্জ মো. তছলিম উদ্দিন বিষয়টি অবগত নন বলে জানান।

(পিএস/এসপি/এপ্রিল ৩০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০১ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test