E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

রাজবাড়ীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ১

২০২৫ মে ০৩ ২৩:৫৮:১৯
রাজবাড়ীতে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে যুবককে কুপিয়ে হত্যার অভিযোগ, আটক ১

একে আজাদ, রাজবাড়ী : রাজবাড়ীর পাংশায় প্রতিপক্ষের হামলায় রাশিদুল ইসলাম (৩৫) নামে এক যুবক নিহত হয়েছে। শনিবার (৩ মে) বেলা ১২ টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

শনিবার (৩ মে) সকাল ৯ টার দিকে উপজেলার পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামে তাকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে গুরুতর আহত করে প্রতিপক্ষের লোকজন।

রাশিদুল পাংশা উপজেলার পাট্টা গ্রামের কিয়ামদ্দিন মণ্ডলের ছেলে। পেশায় তিনি একজন কৃষক ছিলেন। তার ৬ মাস বয়সী এক ছেলে ও ৫ বছর বয়সী এক মেয়ে রয়েছে।

রাশিদুলের ভগ্নিপতি ফজলুর রহমান বলেন, ‘দুই বছর আগে পাট্টা ইউনিয়নের নিভা গ্রামের সুদের কারবারি ইসলামের কাছ থেকে আমার শ্যালক রাশিদুল সাত হাজার টাকা নেন। তবে দেড় বছর আগে ইসলামকে সমস্ত টাকা সুদসহ ফেরত দেয়া হয়। তবে এরপরও আরও টাকা দাবি করেন ইসলাম।

তিনি আরও বলেন, টাকার দাবিতে ইসলাম আমার শ্যালক রাশিদুলের পাট্টা বাজারে অবস্থিত চায়ের দোকানে ভাঙচুর ও লুটপাট চালায়। একই সঙ্গে আমার শ্যালকের বাড়িতেও ভাঙচুর ও লুটপাট চালানো হয়। এরপর ইসলামের ভয়ে আমার শ্যালকসহ তার পরিবারের সব লোকজন মাগুরার শ্রীপুর থানার চণ্ডিবর গ্রামে আমার বাড়িতে আশ্রয় নেন।

ফজলুর রহমান বলেন,৭ মাস আগে আমার শ্যালকসহ তার পরিবারের লোকজন আবারো তাদের বাড়িতে ফেরেন। বাড়ি ফিরে আমার শ্যালক তার স্বাভাবিক কাজকর্ম চালিয়ে যেতে থাকেন। তবে এরমধ্যেও ইসলাম ও তার লোকজন আমার শ্যালককে কয়েকবার হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

তিনি জানান, ২২ দিন বরিশালে ধান কাটা শ্রমিকের কাজ করে শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে বাড়ি ফেরেন। তারা ১৮ থেকে ২০ জন শ্রমিক একসঙ্গে কাজ করে মজুরি হিসেবে এক ট্রাক ধান নিয়ে আসেন। ধানগুলো তারা রুপিয়াট গ্রামে সঙ্গীয় এক শ্রমিকের বাড়িতে রাখেন। শনিবার সকাল ৯টার দিকে আমার শ্যালক ওই ধান ভাগ করার জন্য রুপিয়াট যাচ্ছিলেন।

পথে নিভা গ্রামে পৌঁছালে আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা ইসলাম, রফিক, খালিদ, সিন্টু, সুমন, সাদ্দাম ও ইকবালসহ ২০ থেকে ২৫ জন তার পথরোধ করেন। এ সময় তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে পাংশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ১২টার দিকে রাশিদুল মারা যান।

ফজলুর রহমান আরও বলেন, কুপিয়ে আমার শ্যালকের হাতের ও পায়ের রগ কেটে দেয়া হয়েছে। পিটিয়ে তার হাত-পা ভেঙে গুঁড়ো করে দিয়েছে। খুব নির্মমভাবে নির্যাতন করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। আমরা এ ঘটনায় মামলা করবো। আমরা হত্যার বিচার চাই।

পাংশা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সালাউদ্দিন জানান, এ ঘটনায় খালিদ নামে একজনকে আটক করা হয়েছে। নিহতের পরিবারের সদস্যদের মামলা দায়েরের পরিপ্রেক্ষিতে এ ব্যাপারে পরবর্তী আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।

(একে/এএস/মে ০৩, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৪ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test