E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

কোটালীপাড়ায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফেসবুকে ফাঁস, পরীক্ষা বাতিল

২০২৫ মে ০৭ ১৯:৪২:২৮
কোটালীপাড়ায় পরীক্ষার প্রশ্নপত্র ফেসবুকে ফাঁস, পরীক্ষা বাতিল

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এক শিক্ষক প্রশ্নফাঁস করেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। শিক্ষকের এমন ঘটনায় উপজেলাব্যাপী আলোচনা সমালোচনার ঝড় বইছে। অভিযুক্ত ওই শিক্ষকের শাস্তি দাবি জানিয়েছে উপজেলার সচেতন মহল।

জানা গেছে, গত মঙ্গলবার উপজেলার রাধাগঞ্জ ইউনিয়নের ১৭২ নং খাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানদা চাঁদ উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে চতুর্থ শ্রেণির ইংরেজি বিষয়ের প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে তার অফিসের টেবিলে রাখে। এই প্রশ্ন দেখার কথা বলে ওই বিদ্যালয়ের সহকারি শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে পোষ্ট দেয়। এই পোষ্ট মূহুর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়।

উপজেলার কান্দি গ্রামের সমাজ সেবক রফিকুল ইসলাম বলেন, শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ প্রশ্নপত্র মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছে। এই প্রশ্নপত্র উপজেলাব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে। প্রশ্নপ্রত্রের মতো একটি গুরুপ্তপূর্ণ বিষয় নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দেওয়া তার মোটেও ঠিক হয়নি। আমরা তদন্ত পূর্বক ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রশাসন কে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার অনুরোধ করছি।

১৭২ নং খাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মানদা চাঁদ বলেন, গত মঙ্গলবার উপজেলা শিক্ষা অফিস থেকে ইংরেজি বিষয়ে চতুর্থ শ্রেণির প্রথম সাময়িক পরীক্ষার প্রশ্নপত্র এনে আমার অফিসের টেবিলে রাখি। এই টেবিল থেকে প্রশ্নপত্র দেখার কথা বলে আমার অজান্তে এই বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রঞ্জিত কুমার ঘোষ প্রশ্নপত্র মোবাইলে ছবি তুলে ফেসবুকে পোস্ট দেয়। অনেকে ফেসবুকে এই প্রশ্নপত্র দেখে আমাকে জানিয়েছে। আমি বিষয়টি আমার উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি।

বুধবার (৭ মে) ইংরেজি বিষয়ে এই প্রশ্নপত্র দিয়ে চতুর্থ শ্রেণির পরীক্ষা নেওয়া হয়। পরবর্তিতে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে পরীক্ষা বাতিল করা হয়।

১৭২ নং খাগবাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রঞ্জিতকুমার ঘোষ বলেন, মোবাইলে প্রশ্ন পত্রের ছবি তুলতে গিয়ে ভুলবসত এটি আমার ফেসবুক আইডি থেকে পোস্ট হয়ে যায়। বিষয়টি আমি জানার পরে ফেসবুক থেকে প্রশ্নপত্রটি ডিলেট করে দিয়েছি।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার(অতিরিক্ত দায়িত্ব) মো.মঈনুল হক বলেন, যদি কেউ আইন বহির্ভূত কোন কর্মকান্ডে জড়িত হয় তার বিরুদ্দে আমরা আইনানুগ ব্যবস্থা নিবো। উপজেলা প্রশাসন কোন ধরণের দূর্নীতিকে প্রশ্রয় দেয় না, দিবেও না। দোষীদের বিরুদ্ধে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্তকে আহবায়ক করে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

(টিবি/এসপি/মে ০৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৮ মে ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test