E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি

২০২৫ মে ১৬ ১৮:৪৩:২১
পদ্মার দুই ইলিশ সাড়ে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি

একে আজাদ, রাজবাড়ী : পদ্মা নদীর সাড়ে তিন কেজি ওজনের দুটি ইলিশ মাছ সাড়ে ১৪ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। আজ শুক্রবার দুপুরে রাজবাড়ীর গোয়ালন্দ উপজেলার দৌলতদিয়া ঘাট থেকে ইলিশ দুটি কেনেন এক প্রবাসী। তার আগে সকালে দৌলতদিয়া ঘাট বাজারে এক জেলের কাছ থেকে নিলামে ইলিশ দুটি কেনেন স্থানীয় মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ।

স্থানীয় মৎস্যজীবীরা জানান, পদ্মা নদীতে পানি কমতে থাকায় মাছের বিচরণ কমে যায়। পদ্মা থেকে পানি নেমে নালায় পরিণত হয়। সেখানে নালা বা খারায় মাছের দেখা যায়। কয়েক দিন পর আবার পানি বাড়তে শুরু করে। ফলে বিভিন্ন ধরনের মাছের বিচরণ শুরু হওয়ায় রুই, কাতলা, পাঙাশের পাশাপাশি মাঝেমধ্যে দু-একটি বড় ইলিশের দেখাও পাওয়া যায়।

সকালে বাহির চর দৌলতদিয়া ছাত্তার মেম্বার পাড়ার জেলেরা জেলার সীমান্তবর্তী চর করনেশনা এলাকায় জাল ফেলেন। অনেকক্ষণ পর এক জেলে জাল গুটিয়ে নৌকায় তুলতেই দুটি বড় ইলিশের দেখা পান। বিক্রির জন্য নিয়ে আসেন দৌলতদিয়া বাজার হালিম মণ্ডলের আড়তে। সেখানে ওজন দিয়ে দেখতে পান বড় ইলিশটির ওজন প্রায় দুই কেজি এবং অন্যটির ওজন ছিল দেড় কেজি। পরে বিক্রির জন্য নিলামে তুললে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ফেরিঘাট এলাকার মৎস্য ব্যবসায়ী শাহজাহান শেখ কেনেন।

শাহজাহান শেখ বলেন, সকালে হালিম মণ্ডলের আড়তঘরে অন্যান্য মাছের সঙ্গে পদ্মার কয়েকটি ইলিশ মাছ দেখতে পান। এর মধ্যে সবচেয়ে বড় ইলিশটির ওজন ছিল ১ কেজি ৯৩০ গ্রাম এবং অন্যটির ওজন ছিল দেড় কেজি। নিলামে তোলা হলে সর্বোচ্চ দরদাতা হিসেবে ৩ হাজার ৯০০ টাকা কেজি দরে ইলিশ দুটি ১৩ হাজার ৬৫০ টাকায় কেনেন। পরে নিজের শাকিল-সোহান মৎস্য আড়তঘরে ফিরে বিক্রির জন্য ইলিশের ছবি তুলে ফেসবুক পেজে পোস্টের পাশাপাশি মুঠোফোনে পরিচিতদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। দুপুর ১২টার দিকে টাঙ্গাইলের এক প্রবাসী ইলিশ কিনতে যোগাযোগ করেন। কেজিপ্রতি ২০০ টাকা লাভে ৪ হাজার ১০০ টাকা দরে মোট ১৪ হাজার ৩৫০ টাকায় ইলিশ দুটি কেনেন। দুপুরেই দূরপাল্লার পরিবহনে টাঙ্গাইলে পাঠিয়ে দেন।

শাহজাহান শেখ বলেন, বর্তমানে পদ্মা নদীতে ইলিশের তেমন দেখা মিলছে না। মাঝেমধ্যে এক-দুটি ইলিশ পাওয়া গেলেও চাহিদা অনেক থাকায় দাম অনেক বেশি। স্থানীয়ভাবে বিক্রির সুযোগ কম থাকলেও বিভিন্ন অঞ্চলের ব্যক্তিরা মুঠোফোনে যোগাযোগ করে কিনে নিচ্ছেন। এ ধরনের ইলিশ যাঁরা শিকার করছেন, সেসব জেলের পাশাপাশি ব্যবসায়ীরাও লাভবান হচ্ছেন।

(একে/এসপি/মে ১৬, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test