E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সাতক্ষীরায় ভূমিহীন জনপদ আবারো উত্তপ্ত, আহত ১০ অপহৃত ২

২০২৫ মে ২০ ২২:২৬:০৮
সাতক্ষীরায় ভূমিহীন জনপদ আবারো উত্তপ্ত, আহত ১০ অপহৃত ২

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : বাংলাদেশের সপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আদেশে স্বত্বহীন হয়ে যাওয়া কথিত জমির মালিকরা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাদের ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনীর সদস্যরা যেথৈ চুক্তিপত্রের মাধ্যমে পুলিশের সহায়তায় জবরদখলে থাকা আরিজুল বাহিনীর ভাড়াটিয়াদের শনিবার ভোরে উচ্ছেদ করে ওই জনপদ আবারো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। শুরু হয় হামলা ও পাল্টা হামলা। এরই ধারাবাহিকতায় দু’পক্ষের সংঘর্ষে কমপক্ষে ১০জন আহত হয়েছে। অপহরণ করা হয়েছে দুইজনকে। ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে কমপক্ষে ২০টি বাড়িতে। আহতদের সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।

দেবহাটার বেজরাটি গ্রামের ভূমিহীন নেতা রফিকুল ইসলাম জানান, ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আদেশে স্বত্বহীন হওয়া আইডিয়ালের পরিচালক ডাঃ নজরুল ইসলাম, গোলাম কাজী, সুরুজ কাজী, আহছানিয়া মিশনের ইকবাল মাসুদ, সখীপুরের আব্দুল আজিজসহ একটি জালিয়াতি চক্র কৌশলে খলিষাখালির ১৩১৮ বিঘা জমি নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আরিজুল ইসলাম, পারুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলামসহ কয়েকজনের পক্ষে চুক্তিপত্র করে দেন। এরপর থেকে হামলা ও পাল্টা হামলার মধ্য দিয়ে তিনিসহ ভ‚মিহীনদের বেশ কয়েকটি পরিবার খলিশাখালিতে বসবাস করে আসছিলো। ওই জমি থেকে ভ‚মিহীনদের যাতে প্রশাসন উচ্ছেদ করতে না পারে সেজন্য ভ‚মিহীন নেতা আনারুল ইসলামের হাইকোর্টে দায়েরকৃত ১৫০০/২২ নং রিট দায়ের করার পর বর্তমানে স্থিতাবস্থা(স্টাটাস- কো) জারির নির্দেশ রয়েছে।

রফিকুল ইসলাম আরো জানান, ভূমিহীন হত্যা মামলায় চেয়ারম্যান আরিজুল ইসলাম আসামী হওয়ার পর তিনি ওই জমির কোন সুবিধা ভোগ করেন না। চলতি বছরের ১২ ফেব্রæয়ারির পর থেকে ভ‚মিহীনদের একটি অংশ ঘর বেঁধে ও মাছ চাষ করে সেখানে বসবাস করে আসছেন। ভ‚মিহীনরা কিভাবে কোন অধিকার নিয়ে সেখানে অবস্থান করছে তা খোঁজ নিতে সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত খান গত ৭ মে খলিষাখালিতে আসেন। ৯ মে তাদেরকে তার (মুকিত) অফিসে কাগজপত্রসহ দেখা করতে বলেন।

সে অনুযায়ি তারা সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির আদেশ ও ভ‚মিহীনদের পক্ষে স্টাটাসকো আদেশ তাকে দেখান। এরপরও ওই জমির মালিক স্বত্বহীন জমির মালিক দাবিদারদের বলে উল্লেখ করেন। একপর্যায়ে তারই নির্দেশনায় পুলিশি সহায়তায় গত শনিবার ভোরে ওইসব কথিত মালিকরুপী ভ‚মিদস্যুরা তাদের প্রতিপক্ষ ভ‚মিহীনদের সঙ্গে একটি চুক্তিপত্র করে ভাগ বাটোয়ারার মাধ্যমে মাছ চাষ করার শর্তে ওই জমিতে অবস্থানকারি ভ‚মিহীনদের উচ্ছেদ করে। উচ্ছেদের সময় তারা কয়েকটি বাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট শেষে আগুন দেয়।

একইভাবে ওই কথিত জমির মালিক ও তাদের সঙ্গে চুক্তি হওয়া ভ‚মিহীন নেতা আকরাম, কালু ডাকাত, সাইফুল, ইসমাইল হোসেন,মোকরেম শেখ, রিয়াজুল ইসলাম, ফিরোজুলসহ ৫০ জনেরও বেশি লেঅক মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে খলিষাখালীর রাস্তার পাশে নোড়ার চকের বাসিন্দা আবুল হোসেন, তার ছেলে রাজু, অরিফ, রিপন, রিয়াজুল, রবিউল, তোকাম, তৈমুর, চালতে তলার মজিদসহ কমপক্ষে ২০টি বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। হামলায় আবুল হোসেনের স্ত্রী ভাদ্দুরী, কামরুল হত্যা মামলার আসামী রবিউলের মা খাদিজা, তার ভাই তৈমুরের স্ত্রী তুলি , চালতেতলার মজিদের স্ত্রী সখিনাসহ কয়েকজনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করে। এদের মধ্যে ভাদ্দুরি, তুলি ও খাদিজাকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও কয়েকজনকে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খবর পেয়ে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সেনাাবাহিনীর সদস্য্যরা খলিষাখালিতে যায়।

এদিকে খলিষাখালির ভ‚মিহীন নেতা সাইফুল ইসলাম জানান, সেনাবাহিনী চলে যাওয়ার পরপরই আরিজুল চেয়ারম্যানের কাছের লোক বলে পরিচিত কামরুল হত্যা মামলার আসামী আনারুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম, শহীদুল ইসলাম, রবিউল ইসলাম বুল্লা, পাখরা হালিম, রিপন, রাজু, আরিফ, রফিকুলসহ শতাধিক ভ‚মিহীন নামধারী সন্ত্রাসী চালতেতলার মজিদের বাড়িতে ভাংচুর ও লুটপাট করে। নোড়ারচকের রিয়াজের বাড়ি ভাংচুর ও লুটপাট শেষে তারে স্ত্রী আনোয়ারাকে পিটিয়ে জখম করে। নোড়ার চকের শাহজাহানের ছেলে তোকাম, আবুল হোসেনের ছেলে হাফিজুল ইসলাম রাজু ও তার ভাই রিপন নিহত কামরুল ও তার ভাই মিজানুরের বাড়িতে হামলা চালায়। হামলায় কামরুলের স্ত্রী মর্জিনা বেগম, তার ছেলে আব্দুল ওহাব ও দেবর মিজানুর জখম হয়। মর্জিনা বেগম, আইয়ুব আলী ও আনোয়ারাকে সখীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। হামলাকারিরা খলিষাখালি থেকে নাংলার কালু গাজীর ছেলে আব্দুল গফুর ও আকরামের বড় দুলাভাই আতিয়ার ওরফে আকাশকে হাত মুখ বেঁধে নির্যাতনের পর তুলে নিয়ে যায়। রাত ৮টা পর্যন্ত তাদেরকে চালতেতলায় মজিদের বাড়ির পাশে ভ্যানের উপর বেঁধে ফেলে রাখা ছিল বলে তারা জানতে পেরেছেন। তারা পুলিশকে অবহিত করেও কোন সহায়তা পাননি।

ভুমিহীন নেতা নিহত কামরুলের ছেলে আব্দুল ওদুদ জানান, তার মা মর্জিনা বেগম বাড়ির পাশে কলে পানি আনতে গেলে রিপন, তোকাম ও হাফিজুল ইসলাম রাজুর মা ও ভাই আব্দুল ওহাবকে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে জখম করে। একইভাবে তার চাচা মিজানুরকে মারপিট করে ঘর থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করে। বিষয়টি তিনি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়াকে জানিয়েছেন। তিনি আহতদের হাসপাতালে ভর্তি করানোর পরামর্শ দিয়েছেন।

এ ব্যাপারে দেবহাটা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম কিবরিয়া জানান, তিনি সারাদিন পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে অবস্থান করেছেন। যে কারণে তিনি খলিষাখালির পরিস্থিতি সম্পর্কে অবহিত নন।
সাতক্ষীরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) মুকিত খান বলেন, তিনি বিশেষ কাজে যশোরে ছিলেন।

তবে খলিষাখালির জমি নিয়ে দেবহাটা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও জমির মালিক দাবিদারদের সাথে কথা বলে জেনেছেন যে, ১২ একর জমি রাস্তা ও খাল। এ ছাড়া ভ‚মিহীনদের পক্ষে রফিকুল ইসলাম, ইসমাইল ও ফিরোজুল শহীদুল ইসলাম নামের একজন আইনজীবীকে নিয়ে তার অফিসে এসেছিলেন। তারা জমির বিষয়ে যথাযথ বলতে পারেননি। সে কারণে ওই জমি নজরুল ইসলাম, আব্দুল আজিজ,ইকবাল মাসুদ ও গোলাম কাজীসহ কয়েকজনের মনে হয়েছে। তাই সঙ্গত কারণে ওই জমির মালিকদের জমি ফিরে পাওয়ার ব্যাপারে সমর্থন করেছেন। তবে মঙ্গলবার খলিষাখালিতে সহিংসতার খবর পেয়েছেন জানিয়ে বলেন, জমির মালিক দাবিদারদের পক্ষের দুজনকে অপহরণ করা হয়েছে বলে তার কাছে অভিযোগ করা হয়েছে। তাদেরকে খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।

প্রসঙ্গত, জাল জালিয়াতের মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরী করে দেবহাটার শিমুলিয়ার কাজী গোলাম ওয়ারেশ, সখিপুরের আব্দুল আজিজ ও একই এলাকার বেসরকারি সংস্থা আইডিয়ালের পরিচালক নজরুল ইসলাম, পারুলিয়ার ইকবাল মাসুদসহ বেশ কয়েকজন ভূমিদস্যূ জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কাগজপত্র তৈরি করে চণ্ডিচরণ ঘোষের ফেলে যাওয়া সম্পত্তি দখল করে আসছিলো। ২০২১ সালে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ওই জমি লাওয়ারিশ হিসাবে ঘোষনা করে। এরপর ২০২১ সালের ১০ অক্টোবর থেকে সাপমারা খালের দুই ধার থেকে উচ্ছেদ হওয়া প্রায় ৮০০ পরিবার সেখানে বসবাস করে আসছিলো। প্রশাসন যাতে তাদের উচ্ছেদ না করতে পারে সেজন্য ভ‚মিহীনদের পক্ষ থেকে মহামান্য হাইকোর্টে ২০২২ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি ১৫০০/২২ নং রিট পিটিশন দাখিল করা হয়। বিভাগীয় কমিশনার, সাতক্ষীরা জেলা প্রশাসকসহ আটজনকে বিবাদী করা হয়। আদালত ভ‚মিহীনদের বসবাসের সুবিধার্থে স্থিতাবস্থা জারি করে। যাহা আজও চলমান। স্থিতাবস্থা জারি থাকার পরও ২০২২ সালের ১৫ নভেম্বর তৎকালিন পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামানের সহায়তায় ভ‚মিদস্যুরা ভ‚মিহীনদের ৭৮৫টি বাড়িতে ভাংচুর, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগ করে। এরআগে ভ‚মিদস্যূদের দায়েরকৃত মামলায় খালাস পাওয়া আসামী শরিফুল, কামরুল (শুক্রবার নিহত) ও মুর্শিদকে আদালত থেকে ধরে এনে ডাকাতির চেষ্টা ও অস্ত্র মামলায় কোর্টে পাঠায় পুলিশ। পুলিশের বিরুদ্ধে নিপীড়ন ও নির্যাতনের খবর প্রকাশ করায় সাংবাদিক রঘুনাথ খাঁকে ২০২৩ সালের ২৩ জানুয়ারি শহরের পিএন হাইস্কুল এর পাশ থেকে তুলে নিয়ে তাকে গোয়েন্দা পুলিশ হেফাজতে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন চালান তৎকালি পুলিশ সুপার কাজী মনিরুজ্জামান। এ সময় রঘুনাথ খাঁর নামে একটি নাশকতা ও একটি চাঁদাবাজির মামলা দেওয়া হয়। একই দিনে ভূমিহীন ইউনুসকে বদরতলা মাসের সেট থেকে তুলে এনে অস্ত্র ও গুলিসহ গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠায় পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের আদেশের বিরুদ্ধে জমির মালিক দাবিদাররা মহামান্য সুপ্রিম কোর্টে সিভিল রিভিউ পিটিশন দাখিল করলে চলতি বছরের ২৫ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি ওই রিভিশন খারিজ করে দেন। এরপরও তারা নলতার চেয়ারম্যান আরিজুল ইসলাম, আনারুল ইসলাম, পারুলিয়ার চেয়ারম্যান গোলাম ফারুক বাবু, সাবেক চেয়ারম্যান সিরাজুল ইসলাম, নওয়াপাড়ার সাবেক চেয়ারম্যান রেজাউল ইসলাম সহ একটি স্বার্থান্বেষী মহলের সঙ্গে সমঝোতা করে ভ‚মিহীনদের উচ্ছেদ করার জন্য দফায় দফায় হামলা চালিয়ে আসছিলো। গত ১৩ সেপ্টেম্বর ও ২৩ সেপ্টেম্বর তারা বোমা ও গুলি ছুঁড়ে ভ‚মিহীনদের উচ্ছেদ করার চেষ্টা করে। গুলিতে মনিরুল ও আল আমিন জখম হন। এ ছাড়া কমপক্ষে ৩০ জন ভ‚মিহীনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে জখম করা হয়। নোড়ার চকের আবুল হোসেনসহ কমপক্ষে ৩০ টি ভ‚মিহীনের বাড়ি ভাঙচুর ও লুটপাট শেষে অগ্নিসংযোগ করা হয়।

এ ঘটনায় নলতা ইউপি চেয়ারম্যান আরিজুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে তিনি ও আবুল হোসেনের স্ত্রী থানায় একটি এজাহার দিলেও মামলা নেয়নি পুলিশ। ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বাধীন ৫ সদেস্যর বিচারপতিদের বেঞ্চ প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের বিচারকের বেঞ্চ ওই জমি লাওয়ারিশ ঘোষণা করে জেলা প্রশাসককে নিয়ন্ত্রণে নিয়ে খাস করার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবসা নেওয়ার নির্দেশ দিলেও গত নয় মাসে তা কার্যকর না করায় শুক্রবার কামরুলকে পিটিয়ে হত্যা সহ ২০ জনকে পিটিয়ে জখম করতে সাহস পায় আরিজুল বাহিনী।

এই বিষয়ে ভূমিহীনরা গত বছরের ৩ অক্টোবর জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও সেনা ক্যাম্পে স্মারকলিপি দেয়। এরপরও সেনাবাহিনীকে মিথ্যা তথ্য দিয়ে খলিষাখালিতে অভিযান পরিচালনা শেষে চেয়ারম্যান আরিজুল, গোলাম ফারুক বাবু, আইডিয়ালের নজরুল, সুরুজ কাজী, মাছ আনারুল ও ইকবাল মাসুদের নেতৃত্বে ভ‚মিহীনদের উপর হামলা চালানো হয়। হামলায় ভ‚মিহীন নেতা কামরুল ইসলাম নিহত হন। তিনিসহ কমপক্ষে ২০ জন নারী ও পুরুষ ভ‚মিহীন জখম হন। আহত ছয়জন ভ‚মিহীনকে হামলাকারিরা তাদের মজুত করা অস্ত্র দিয়ে প্রশাসনের হাতে তুলে দেয়। কামরুল হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম বাদি হয়ে ২৩ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করেন গত বছরের ১০ নভেম্বর।# সাতক্ষীরা প্রতিনিধি। তাংÑ ২০.০৫.২৫ ছবি আছে, আহত মর্জিনা, আব্দুল ওহাব ও ভাঙচুর করা মজিদের বাড়ি।

(আরকে/এএস/মে ২০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test