E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সুন্দরনে প্রাণপ্রকৃতি সুরক্ষায় শুরু ড্রোনের ব্যবহার, মিলছে সুফল 

২০২৫ জুন ১৩ ১৬:৫২:৫৭
সুন্দরনে প্রাণপ্রকৃতি সুরক্ষায় শুরু ড্রোনের ব্যবহার, মিলছে সুফল 

সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : ওয়ার্ল্ড হ্যারিটেজ সাইড সুন্দরবনের বন্যপ্রানী শিকার, নিষিদ্ধ সময়ে মাছ আহরণ বন্ধ করাসহ প্রাণপ্রকৃতি সুরক্ষায় ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহার শুরু করেছে বন বিভাগ। ঈদ উল আযহার ছুটিতে বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের আওতাধীন শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আকাশে আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন উড়িয়ে বন অপরাধ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে বাঘ হরিণসহ বন্যপ্রাণী ও মাছের প্রজনন মৌসুমে সব নদ-নদী খালে মাছ ও মধু আহরণ বন্ধসহ দেশী-বিদেশী পর্যটক প্রবেশ নিষিদ্ধ সময়ে ড্রোন ব্যবহারে ধরা পড়ছে বন অপরাধীরা। 

সুন্দরবন বিভাগ জানায়, সুন্দরবনে ড্রোন প্রযুক্তির ব্যবহারের সুফল মিলতে শুরু করেছে। বুধবার বিকালে চাঁদপাই রেঞ্জের ঝাপসী বন টহল ফাঁড়ির আওতাধীন গহীন অরণ্যের বয়ারশিং ও শিসা খালে ড্রোন উড়িয়ে দুটি নৌকাসহ কয়েকজন জেলেকে সনাক্ত করে। এরপর সুন্দরবনের স্মার্ট পেট্রোলিং টিমের সদস্যরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছালে অবৈধ অনুপ্রেবেশকারী জেলেরা দুটি নৌকা ফেলে গহীন অরণ্যে পালিয়ে যায়। নৌকা দুটিতে তল্লাশি করে বনে প্রবেশ নিষিদ্ধ সময়ে আহরণ করা বিপুল পরিমান মাছ ও একটি বিষের বোতল জব্দ করে বনরক্ষীরা। অবৈধ উপায়ে ম্যানগ্রোভ এই বনে মাছ আহরণ করতে ঢোকা এসব জেলেদের আটকে এখন চিরুনি অভিযান শুরু করা হয়েছে।

বাগেরহাটের পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা (ডিএফও) মো. রেজাউল করিম চৌধুরী এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, ঈদ উল আযহার ছুটি থেকে প্রথমবার পূর্ব সুন্দরবন বিভাগের শরণখোলা ও চাঁদপাই রেঞ্জের আকাশে আধুনিক প্রযুক্তির ড্রোন উড়িয়ে বন অপরাধ পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। জলযান ও পায়ে হেটে ড্রোন উড়িয়ে বন অপরাধ পর্যবেক্ষণে সুফলও মিলেছে। ড্রোন ব্যবহারে সুফল পাওয়া গেলেও নিষিদ্ধ সময় শেষ হবার পর খালে বিষ দিয়ে মাছ আহরণ বন্ধ ও চোরা শিকারিদের তৎপরা বন্ধে কঠিন চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে, গত এক মাসে বিপুল পরিমান হরিণ শিকারের ফাঁদ উদ্ধার করা হয়েছে। চোরা শিকারিদের লাগাম টানা সম্ভব হলেও বছরের পর বছর ধরে সুন্দরবনে বিষ দিয়ে মাছ আহরণের বিষয়টি ক্যান্সারে পরিনত হয়েছে। সুন্দরবন সন্নিহিত এলাকার যেসব মৎস্য আড়ৎদার দাদন দিয়ে দরিদ্র জেলেদের হাতে কার্টুন ভর্তি বিষের বোতল তুলে দেয়াদের চিহ্নিত করা ও এসব আড়ৎদার মাছ ল্যাবে পাঠিয়ে টেষ্ট করে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিলেই বিষ দিয়ে মাছ আহরণ নিয়ন্ত্রনে আসবে বলেও জানান এই বন কর্মকর্তা।

(এস/এসপি/জুন ১৩, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test