E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

বাগেরহাটে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী পালিত 

২০২৫ জুন ২১ ১৮:০০:৪৬
বাগেরহাটে কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র মৃত্যুবার্ষিকী পালিত 

সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : শ্রদ্ধা, গান, কবিতা, স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিলের মধ্য দিয়ে শুক্রবার একুশে পদকপ্রাপ্ত তারুণ্যের কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ’র ৩৪তম মৃত্যুবার্ষিকী তার গ্রামের বাড়ী বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার মিঠাখালীতে পালিত হয়েছে। সকালে রুদ্র স্মৃতি সংসদ ও বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের প্রতিনিধিসহ নানা শ্রেনিপেশার মানুষ কবির সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর রুদ্রের বাড়িতে দোয়া মাহফিল শেষে  স্মরণসভার আয়োজন করা হয়। 

রুদ্র স্মৃতি সংসদের সভাপতি ও রুদ্রের অনুজ সুমেল সারাফাতের সভাপতিত্বে স্মরণসভায় মোংলা উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নূর আলম শেখ, চালনা বন্দর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সাবেক প্রধান শিক্ষক আফজাল হোসেন, রামপাল সরকারি কলেজের প্রভাষক নজরুল ইসলাম, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হক, রুদ্র স্মৃতি সংসদের সাংগঠনিক সম্পাদক আসাদুজ্জামান টিটো প্রমুখ। স্মরণসভা শেষে রুদ্রের লেখা কবিতা ও গান পরিবেশন করেন রুদ্রের গড়া সংগঠন অন্তর বাজাও।

স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, রুদ্র ছিলেন তারুণ্য ও সংগ্রামের দীপ্ত প্রতীক। সমাজের সকল বৈষম্য, সাম্প্রদায়িকতা ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে তিনি কলম ধরেছেন। দেশ ও জাতির সংকটে রুদ্রের কবিতা হয়ে উঠেছে তারুণ্যের হাতিয়ার। ২৪ এর গণঅভ্যূথানে স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর যে বৈষম্যহীন সমাজের স্বপ্ন ছাত্রজনতা দেখেছিল সেই সময়ে রুদ্রকে দেশের জন্যে খুব প্রয়োজন ছিল। যতদিন বাংলাদেশ থাকবে ততদিন রুদ তার কবিতা, গান নিয়ে বেঁচে থাকবেন।

প্রসঙ্গত, মাত্র ৩৫ বছরের নাতিদীর্ঘ জীবন-সীমায় রুদ্র রচনা করেন সাতটি কাব্যগ্রন্থ-‘উপদ্রুত উপকূল’ (১৯৭৯), ‘ফিরে চাই স্বর্ণগ্রাম’ (১৯৮১), ‘মানুষের মানচিত্র’(১৯৮৪), ‘ছোবল’ (১৯৮৭), গল্প’ (১৯৮৭) ‘দিয়েছিলে সকল আকাশ’ (১৯৮৮) এবং ‘মৌলিক মুখোশ’(১৯৯০)। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ ও পরবর্তী পরিস্থিতিকে অবলম্বন করে তিনি ‘বিষ বিরিক্ষের বীজ’ নামে একটি কাব্যনাট্যও রচনা করেন।

এছাড়া তিনি বেশ কিছু গল্প লিখেছেন। তার রচিত ও সুরারোপিত ‘ভালো আছি ভালো থেকো, আকাশের ঠিকানায় চিঠি লিখো’- গানটি দুই বাংলায় অসম্ভব জনপ্রিয়। ১৯৮৭ সালে তসলিমা নাসরীনের সাথে বিচ্ছেদের পর মোংলায় বসে তিনি এই গানটি রচনা ও সুরারোপ করেন। পরবর্তীকালে এ গানটির জন্য তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সাংবাদিক সমিতি প্রদত্ত ১৯৯৭ সালের শ্রেষ্ঠ গীতিকারের (মরণোত্তর) সম্মাননা লাভ করেন। সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট ও জাতীয় কবিতা পরিষদ গঠনে তিনি গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেন কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ।

(এসএসএ/এএস/জুন ২১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test