E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সালথায় কমেছে পেঁয়াজের দাম, লোকসান চাষিদের

২০২৫ জুন ২৫ ১৭:১৭:০৮
সালথায় কমেছে পেঁয়াজের দাম, লোকসান চাষিদের

আবু নাসের, সালথা : ফরিদপুরের সালথায় পেঁয়াজের দাম কমে যাওয়ায় লোকসান হচ্ছে চাষিদের। কয়েকদিনের ব্যবধানে প্রতিমণ পেঁয়াজে ২০০ টাকা কমে গেছে। উৎপাদন ও সংরক্ষণের খরচের তুলনায় বাজারে পেঁয়াজের দাম কম হওয়ায় দুশ্চিন্তায় ভাঁজ চাষিদের কপালে।

বুধবার উপজেলার আটঘর ইউনিয়নের নকুলহাটি ও গট্টি ইউনিয়নের ঠেনঠেনিয়া হাটে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হয় সাড়ে ১৪০০ টাকা থেকে ১৬০০ টাকা দরে। সপ্তাহে শনিবার ও বুধবার বসে নকুলহাটি পেঁয়াজের হাট। আর রবি ও বুধবার বসে ঠেনঠেনিয়া পেঁয়াজের হাট। এদিকে রবিবার ও বৃহস্পতিবার বসে সালথা সদরে বৃহত্তর পেয়াজের হাট, শুক্রবার ও সোমবার বসে বালিয়া গট্টি পেঁয়াজের হাট। এছাড়াও উপজেলার কাগদি, জয়কাইল, মোন্তার মোড়, মাঝারদিয়া, বাউষখালী ও যদুনন্দীতে বসে পেঁয়াজের হাট। এসব হাটে স্থানীয় ব্যবসায়ীদের পাশাপাশি দুরদুরান্ত থেকে আসে শত শত পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা পেঁয়াজ কিনতে। প্রতি সপ্তাহে শত শত গাড়ি পেঁয়াজ কিনে দেশের বিভিন্ন শহরে নিয়ে যান তারা।

চাষিরা জানান, এবছর পেঁয়াজ উৎপাদনে ব্যয় বাড়লেও সেই তুলনায় দাম বাড়েনি। শুরু থেকে লোকসান গুনতে হচ্ছে তাদের।

নকুলহাটি বাজারে পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা আখের আলী জানান, পেঁয়াজ উৎপাদন খরচ ও পেঁয়াজ সংরক্ষনের ঘাটতি মিলিয়ে প্রতিমণ পেঁয়াজের যে খরচ চাষিদের হয়। সেই তুলনায় বর্তমান বাজারে দাম অনেক কম। আজকে নকুলহাটি বাজারে প্রতিমণ পেঁয়াজ বিক্রি হয় সাড়ে ১৪০০ টাকা থেকে সাড়ে ১৫০০ টাকা দরে। এতে প্রতিটি চাষির লোকসান গুনতে হচ্ছে। পেঁয়াজ যদি ২২০০ টাকা থেকে ২৫০০ টাকা দাম হয় তাহলে চাষিরা লাভবান হতো।

ঠেনঠেনিয়া বাজারের পেঁয়াজ বিক্রি করতে আসা চাষি আকমল হোসেন বলেন, পেঁয়াজের মৌসুমে বাজারে দাম ছিলো প্রতিমণ এক হাজার টাকা। ভালো দামের আশায় পেঁয়াজ ঘরে রেখে ৩০% ঘাটতি হয়েছে। কিছু পঁচে গেছে, কিন্তু এখন হাটে পেঁয়াজের যে দাম, তাতে চালান থেকে ঘাটতি পড়বে।

তিনি আরো বলেন, বর্তমান হাটে যদি পেঁয়াজের দাম দুই হাজার টাকা থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকা দাম থাকতো, তাহলে লোকসান গুনতে হতো না। বরং কিছু লাভ হতো।

পেঁয়াজ ব্যবসায়ীরা জানান, ঈদের পর হঠাৎ করে পেঁয়াজের সরবরাহ বেড়ে যাওয়ায় দাম কিছুটা কমে গেছে। তবে দাম বাড়বে কিনা, এটা ধারনা করতে পারছেন না তারা।

উপজেলা অতিরিক্ত কৃষি অফিসার সুদীপ বিশ্বাস বলেন, পেঁয়াজের মৌসুমে সালথা উপজেলায় ১২ হাজার ৩০০ হেক্টর জমিতে পেঁয়াজের আবাদ হয়। ফলন ভালো হওয়ায় এ উপজেলায় ১লাখ ৬৮ হাজার মেঃটন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে।

এদিকে উপজেলা কৃষি অফিসার সুদর্শন সিকদার বলেন, কৃষিপণ্যের দাম অস্থিতিশীল। কয়েকদিন বৃষ্টি ছিলো, তারপর আবার বাজারে পেঁয়াজের আমদানী বেশি হওয়ার কারণে দাম কিছুটা কমে গেছে। আশা করি আবার দাম বাড়বে।

(এএন/এএস/জুন ২৫, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test