E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

টুঙ্গিপাড়ায় ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়ার অভিযোগ

২০২৫ জুলাই ০৪ ১৭:৩৫:৩৬
টুঙ্গিপাড়ায় ইন্স্যুরেন্স কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়ার অভিযোগ

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির এক কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও পরকীয়ার অভিযোগ তুলে পৃথক সংবাদ সম্মেলন করেছেন দুই ভুক্তভোগী পরিবার। আজ শুক্রবার সকালে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা প্রেসক্লাবে আয়োজিত ওই সম্মেলনে এসব অভিযোগ আনেন তারা।

প্রথম সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী নারী শারমিন আক্তার অভিযোগ করেন, দীর্ঘদিন ধরে তিনি রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে সাইদুর রহমানের অধীনে কাজ করছেন। মাঠ পর্যায় থেকে উত্তোলন করা টাকা সাইদুর রহমানের হাতে তুলে দিলেও তিনি অফিসে জমা দেননি। পরবর্তীতে অফিস কর্তৃপক্ষ মূলধন গরমিলের জন্য তাকেই দায়ী করে চাপ সৃষ্টি করে। এতে বাধ্য হয়ে তাকে এক লাখ সাত হাজার টাকা পরিশোধের প্রতিশ্রুতি দিতে হয়।

শারমিন আরও জানান, সাইদুর রহমান শুধু আর্থিক প্রতারণাই করেননি, বরং তার ড্রয়ার থেকে নথিপত্র সরিয়ে নিয়ে তাকে জোরপূর্বক চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করানো হয়েছে। এমনকি নির্যাতনের কথাও তুলে ধরেন তিনি। এসব ঘটনায় টুঙ্গিপাড়া থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন বলেও জানান তিনি।

একইদিন অপর সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী তাবাসসুম খান অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী হালিমা খানম রূপালী লাইফ ইন্স্যুরেন্সে মাঠ কর্মী হিসেবে কাজ করার সময় সহকর্মী সাইদুর রহমানের সঙ্গে অবৈধ সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন। এ সম্পর্কের কারণে দাম্পত্য জীবনে ফাটল ধরে। অভিযোগ করেন, তার স্ত্রী প্রভাবশালী এই কর্মকর্তার কাছ থেকে ৩০ লাখ টাকা লেনদেনের কথা বলে তাকে হত্যার হুমকি পর্যন্ত দিয়েছেন।

তাবাসসুম আরও জানান, হালিমা স্থানীয়ভাবে ৪০টি পরিবারে বিধবা, বয়স্ক, প্রতিবন্ধী ও স্বামী পরিত্যাক্তা নারী ভাতা দেওয়ার প্রলোভনে ৪ টাকা আদায় করে। ওই চার লাখ টাকা সাইদুরের হাতে তুলে দেয় হালিমা। বর্তমানে ওই পরিবারগুলো তার কাছে টাকা ফেরত চাচ্ছে। ফলে তিনি মানসিক চাপ ও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন বলে সংবাদ সম্মেলনে দাবি করেন।

অভিযুক্ত সাইদুর রহমান অভিযোগ মিথ্যা দাবি করে বলেন, শারমিন আক্তার গ্রাহকের টাকা আত্মহত করেছে। এ নিয়ে কোম্পানি ও তার মধ্যে চিঠি চালাচালি হয়েছে। তিনি আত্মসাৎকরা টাকা প্রতি মাসে ২০ হাজার টাকা করে ফেরত দিতে চেয়েছেন। তা দিচ্ছেন না। সম্প্রতি টুঙ্গিপাড়া আমাদের কোম্পানির এমডি এসেছিল। তার কাছে তিনি টাকা দেওয়ার অঙ্গীকার করেন। এখন টাকা না দিয়ে বিভিন্ন টালবাহানা করছেন।

বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক সম্পর্কে ওই ইন্সুরেন্স কর্মকর্তা বলেন, মিথ্যা অভিযোগ। আমাকে হয়রানি করতেই এমন অভিযোগ করা হয়েছে।

টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, অভিযোগ তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(টিবি/এসপি/জুলাই ০৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test