E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

রাজবাড়ীতে নোটিশ ছাড়াই সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি ভেঙে দিলেন পৌর প্রশাসক

২০২৫ জুলাই ১০ ১৮:৩০:১২
রাজবাড়ীতে নোটিশ ছাড়াই সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যানের বাড়ি ভেঙে দিলেন পৌর প্রশাসক

বিশেষ প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে নোটিশ ছাড়াই সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা রব্বানীর বাড়ী ভেঙে দিয়েছেন পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমান।

আজ বৃহস্পতিবার দুুপুরে গোয়ালন্দ পৌরসভার আড়তপট্রিতে থাকা সাবেক মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান আফরোজা রব্বানীর বাড়িটি পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমান ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী, থানা পুলিশের উপস্থিতিতে ভেঙ্গে দেওয়া হয়।

প্যানেল চেয়ারম্যান আফরোজা রব্বানী অভিযোগ করে বলেন, গোয়ালন্দ পৌরসভার আড়তপট্রিতে ২০১৫ সালে ৩শতাংশ জমি ক্রয় করে বাড়ি নির্মাণ করি। জমিটি ক্রয়ের পর মিউটিশন সম্পন্ন করে সেখানে বাড়ী করে ভাড়া প্রদান করি। জমির পাশ দিয়ে রাস্তা নির্মাণ কাজ শুরু করে পৌরসভা। আমাকে একটি নোটিশ প্রদান করলে আমি দাবী করি, আমার জমিটি পরিমাপ করে বুঝে দিয়ে কাজ করতে। বুধবার পৌর প্রশাসকের অফিসে গেলে তিনি ঘর ভেঙ্গে দিতে চায়। আমি পরিমাপ করার পর আমি সরিয়ে নিতে চাইলে তিনি বলেন, আমি ভেঙ্গে দিবো। আমি আইনের আশ্রয় নিতে চাইলে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত লোকজন নিয়ে কোন নোটিশ প্রদান ছাড়াই ঘরটি ভেঙ্গে দেয়।

তিনি বলেন, এক মাস আগে আমার ভাড়াটিয়াকে হুমকি দিয়ে তাড়িয়ে দেয়। পৌরসভার নাগরিক হিসেবেও তো অধিকার রয়েছে। আমি রাস্তার জমি দিতে রাজি ছিলাম, কিন্তু জোরপুর্বক দখল নিয়েছে। আমি আইনের আশ্রয় নিবো।

গোয়ালন্দ উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান গোলাম মাহবুব রব্বানী বলেন, প্রথম নোটিশ প্রদানের পরই পৌর প্রশাসকের সাথে দেখা করে বলি, রাস্তার জন্য জমি ছেড়ে দিতে আমি রাজি আছি। পরিমাপ করে আমার জমিটি বুঝে দেন। তারপর আর কোন নোটিশ প্রদান না করেই আমার স্ত্রীর নামীয় বাড়ীটি ভেঙ্গে ক্ষতি সাধন করেছে। আমি রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার। কার কাছে বিচার দিবো। আইনের আশ্রয় নিবো।

গোয়ালন্দ পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ নাহিদুর রহমান বলেন, নিয়ম অনুযায়ী ৩টি নোটিশ দেওয়া হয়েছে। সড়ক নির্মাণের স্বার্থে বাড়ীর ঘরটি সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। যে জায়গায় ঘর ছিল, সেটি সরকারী খাস জমি। আগের মালিকের নামে বেশি জমি রেকর্ড হয়েছিল। তবে জমি পরিমাপ করে কাজ করা হয়েছে।

(একে/এসপি/জুলাই ১০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০১ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test