E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

চাঁদপুরে মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, হামলাকারী আটক

২০২৫ জুলাই ১১ ১৭:৪১:২৯
চাঁদপুরে মসজিদের খতিবকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা, হামলাকারী আটক

উজ্জ্বল হোসাইন, চাঁদপুর : চাঁদপুর শহরের প্রফেসর পাড়া মোল্লা বাড়ি জামে মসজিদে জুমার নামাজ শেষে এক উম্মাদ মুসল্লি খতিবকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে। এতে হামলাকারীকে সাথে সাথে অন্য মুসল্লিরা আটক করে এবং তার হাতে থাকা চাপাতি উদ্ধার করা হয়। রক্তাক্ত জখম অবস্থায় আহত খতিব মাওলানা আনম. নূরুর রহমান মাদানীকে (৬০) চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার রেফার করেন। আজ শুক্রবার দুপুরে নৃশংস এই ঘটনাটি ঘটানো হয়।

খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের এসআই নাজমুল সঙ্গীও ফোর্স উত্তেজিত মুসল্লিদের হাত থেকে হামলাকারী বিল্লাল হোসেনকে (৫০) আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

মো. বিল্লাল হোসেন পিতা মৃত আইয়ুব আলী,চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের মনোহরখাদি গ্রামের মৃত আয়ুব আলির ছেলে। বর্তমানে শহরের বকুলতলা রেলওয়ে এলাকায় চায়ের দোকানদারি করছিলো সে।

আহত খতিব নূরুর রহমান মাদানী মদিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক মোবাল্লেগ এবং বর্তমানে চাঁদপুরের একেক মসজিদে জুমার নামাজের সময় খতিবের দায়িত্ব পালন করছেন। তাঁর বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ গুনরাজদী এলাকায়।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, নামাজ শেষে হঠাৎ করেই মোঃ বিল্লাল হোসেন (৫০) নামের এক তরকারি বিক্রেতা মসজিদের ভেতরে প্রবেশ করে খতিবকে চাপাটি দিয়ে কানের গোড়ালিতে কুপিয়ে গুরুতর আহত করে। হামলাকারী বিল্লাল হোসেনের বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার মনোহরখাদি, বিষ্ণুপুর ৭ নম্বর বকুলতলা রোড এলাকায়।

আহত খতিবকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. সৈয়দ আহমদ কাজল জানান, আহত স্থানে ১০ থেকে ১২টি সেলাই লেগেছে। তিনি বর্তমানে ওসেক ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন।

স্থানীয়রা জানান, হামলাকারী বিল্লাল হোসেন কিছুদিন আগে খতিবের একটি খুতবায় নবী করীম (সা.) কে "ইসলামের বার্তাবাহক" বলার বিষয়টিকে অপমান হিসেবে ধরে নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন। হামলার সময় চাপাতির সঙ্গে একটি নোটও ছিল, যাতে লেখা ছিল, আমার নবীজিকে অপমান করার কারণে তাকে হত্যা করা হলো।

তবে স্থানীয় ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা বলেন, খতিব কোনোভাবেই এমন বক্তব্য দেননি যা ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত করে। বরং এটি ছিল উদ্দেশ্যপ্রণোদিত একটি উগ্র কর্মকাণ্ড।

এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন স্থানীয় মুসল্লি ও এলাকাবাসী। তারা দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।

এ বিষয়ে তার ছেলেরা বলেন, আমরা অবশ্যই মামলা করবো। মসজিদ কমিটিসহ আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শেষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।

এ বিষয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ বাহার মিয়া বলেন, আসামিকে ঘটনাস্থল থেকেই আটক করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় পুরো এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।

(ইউএইচ/এসপি/জুলাই ১১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test