মহম্মদপুরে হোটেল কর্মচারী গৃহবধূকে ধর্ষণ, থানায় মামলা

মহম্মদপুর প্রতিনিধি : মাগুরার মহম্মদপুরে বেতনের টাকা দেওয়ার কথা বলে ডেকে নিয়ে ২১ বছরের এক হোটেল কর্মচারী গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে হারুন (৪৫) নামের এক খাবারের হোটেল মালিকের বিরুদ্ধে। 

গত শুক্রবার বিকালে উপজেলা সদরের পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে (অবসরপ্রাপ্ত) এক পুলিশ কর্মকর্তার ভাড়া দেওয়া বাড়িতে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।

এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত গৃহবধূর পরিবার।

অভিযুক্ত হারুন উপজেলা সদরের ধোয়াইল পূর্বপাড়া এলাকার তফেজ ফকিরের ছেলে। ধর্ষক স্থানীয় একটি খাবার হোটেলের ব্যবসায়ী।

ভুক্তভোগী গৃহবধূ, তার পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে,মহম্মদপুর পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের সামনে হারুনের হোটেলে কাজ করতো ওই গৃহবধূ।

ঘটনার দিন শুক্রবার বিকালে বেতনের টাকা দেওয়ার কথা বলে হারুন তার ভাড়া নিয়া বাড়িতে হোটেল কর্মচারী গৃহবধূকে আসতে বলে।

বাড়িতে অন্য কোন লোকজন না থাকায় ফাঁকা বাড়িতে ঘরের ভেতরে নিয়েই মুখ চেপে ধরে জোর পূর্বক ধর্ষণ করে হোটেল মালিক হারুন।

ধস্তাধস্তি করেও ধর্ষণের হাত থেকে নিজেকে বাঁচাতে পারেনি বলে জানায় ওই গৃহবধূ। গৃহবধূর হাতে ও শরিরের একাধিক স্থানে ক্ষতের চিহ্ন রয়েছে।

ঘটনাটি কাউকে জানালে তাকে প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ভীতি দেখায় হারুন। পরবর্তীতে ওই গৃহবধূ বাড়ি পৌছে তার পরিবারকে বিষয় টি অবহিত করে।

পুলিশ সংবাদ পেয়ে হোটেল মালিকের ভাড়া বাড়িতে গিয়ে উপস্থিত হয়ে ঘটনার তদন্ত করেন।

এ ব্যাপারে (অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশ কর্মকর্তার শ্যালক মোঃ একরামুল ইসলামমত ধর্ষণের বিষয়ে বলেন, হোটেল ব্যবসায়ী হারুনকে বাড়ির একটি ঘর ভাড়া দেওয়া হয়েছিল। ঘটনার দিন শুক্রবার তিনি জুম্মার নামাজ পড়ে দুপুরে খাবার খেয়ে ঘুমিয়ে পড়েন।পরে পুলিশ তদন্তের জন্য তার বাড়িতে উপস্থিত হলে তখন ধর্ষণের বিষয়টি জানতে পারেন।গ্রামের ওই বাড়িতে (অবসরপ্রাপ্ত) পুলিশের ওই কর্মকর্তা ছিলেন না। তার পরিবার ঢাকায় থাকেন বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে মহম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ আব্দুর রহমান,বলেন,এ ঘটনায় মহম্মদপুর থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করা হয়েছে।এ ঘটনার সাথে জড়িত আসামিকে আটকের চেষ্টা চলছে।

(বিএস/এসপি/জুলাই ১৩, ২০২৫)