E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সাবেক ফ্যাসিবাদের মাস্তানদের নিয়ে চলছে ত্রিশাল বালিপাড়া বিএনপি?

২০২৫ জুলাই ১৪ ১৮:১১:৩১
সাবেক ফ্যাসিবাদের মাস্তানদের নিয়ে চলছে ত্রিশাল বালিপাড়া বিএনপি?

নীহার রঞ্জন কুন্ডু, ময়মনসিংহ : ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলা বালিপারা ইউনিয়নের বিএনপি কাদের ছত্রছায়ায়  চলছে? সাবেক ফ্যাসিবাদের নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ, যুবলীগ, সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য হয়ে পূ্র্বের চেহারায় ফিরে এসেছে। জনমনে এখন প্রশ্ন? তবে কি এরাই ক্ষমতায় আবার? বালুদস্যুতা-চাঁদাবাজি, আর ইটভাটার উপর মাস্তানি আর বখড়া আদায়কারীদের দিয়েই বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি। 

আকরাম হোসেন কাঞ্চন, যার নামেই আগে এলাকায় সন্ত্রস্ত মানুষ। আগের সেই বালুদস্যু, ভূমি খেকো, ইটভাটার চাঁদাবাজ কুখ্যাত বালিপাড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের ভয়ংকর জনগণের রক্ত চোষা ফ্যাসিবাদের চেয়ারম্যান বাদল আর তার সমাজবিরোধী দুই ছেলে। যাদের নামে এলাকায় ত্রাসের রাজত্ব চলতো। এমন কি সেই রাজত্ব টিকিয়ে রাখতে এখন দল বদলের নামে বিএনপির কথিত ইউনিয়ন আহবায়কের ডান বামে আশ্রয় নিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে, সেই ভূমি দস্যুতা, বালুমহল দখল সহ নানা অসামাজিক কাজকর্ম। সেই নির্যাতন নিপীড়ন চাঁদাবাজির বিভৎস কাহিনী ভেসে ওঠে আজও। সেই আওয়ামী লীগের কুৎসিত মূর্তমান আতংকের নাম আকরাম হোসেন কাঞ্চন। রং পাল্টে এ দেশের লক্ষকোটি মানুষের হ্নদয়ে স্থান নেওয়া শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শের গড়া জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শ কে জলাঞ্জলী দিয়ে বিএনপি নাম ভাঙ্গিয়ে তারা এখন নব্য বিএনপি।

জানা গেছে, বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দুস ছাত্তারের ছত্রছায়ার সাবেক চাঁদাবাজ, বালুদস্যু আওয়ামী লীগের অপসাংস্কৃতিতে জোগানদাতা লুন্ঠনকারী সেই ভয়ানক চেয়ারম্যান বাদলের দুই কুপুত্র এহসানুল হক রুমেল ও আদনান হোসেন সম্প্রতি দুর্নীতির অভিযোগে জেল খেটে বের হয়ে এসে ইউনিয়ন বিএনপির নেতৃত্বের ছত্রছায়ায় পুনরায় বালুমহল দখল থেকে বেশীরভাগ ইটভাটা তাদের দখলে নিয়ে রমরমা অবৈধ্য চাঁদাবাজির ব্যাবসায় লিপ্ত থেকে নিজেদের স্বার্থসিদ্ধি করছে। এখন সেই সব ফ্যাসিবাদের নিয়েই চলছে বালিপাড়া বিএনপি।

তথ্য নিয়ে জানা যায়, সাবেক আওয়ামী ফ্যাসিবাদের জন্ম নেওয়া ছাত্রলীগের নিয়ামূল হক গফরগাঁও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কুখ্যাত চোরাকারবারি খায়েলা কাশের চাদাবাজ, নারীলোলুপ কুখ্যাত ছাত্রলীগের নেত্রীত্বের জন্মদাতা সন্তান লিংকন, সাবেক বালিপাড়া ছাত্রলীগের সভাপতি রাসেল আহমেদ সহ ফ্যাসিবাদের প্রায় সদস্য ও চাঁদাবাজদের নিয়ে এখন সংগঠিত হচ্ছে অত্র ইউনিয়ন বিএনপি, যার মূল আশ্র‍্যদাতা ইউনিয়ন বিএনপির আহবায়ক আব্দুস ছাত্তার। এলাকায় যারা সত্যিকারের বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের জন্য নিবেদিত প্রাণ, যারা ১৭ বছর ফ্যাসিস্ট সরকারের রোষানলে পড়ে একের পর এক মিথ্যা মামলা, জেল জুলুম নির্যাতন, নিপীড়ন সহ্য করে শুধুমাত্র দেশ ও দলের জন্য শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে ধারন করে আজ পর্যন্ত বেঁচে আছেন, তাদের এখন মুল্যায়ন নাই। দল থেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন কতিপয় সার্থন্নেষী ও সুবিধাভোগী নেতা।

এলাকায় সরেজমিনে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, বালিপাড়া ইউনিয়ন ব্রম্মপুত্র নদীর থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন যে কয়টি পয়েন্ট আছে তার সবগুলোই সাবেক নিষিদ্ধ ছাত্রলীগের চাঁদাবাজদের নিয়ে নবোউদ্দোমে বালু উত্তোলন ও বিক্রী সাথে বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের টি আর কাবিখা, কাবিটা, ভি জিএফ সব কিছুই দেখভালের দায়দায়িত্ব এই সব সুবিদাভোগীদের। আকরাম হোসেন কাঞ্চনের নেতৃত্বে বালিপাড়া গড়ে উঠেছে বিশাল সিন্ডিকেট্য। এতে ছাত্রলীগের রাসেল, নিয়ামুল, কুদ্দুস, লিংকন সাবেক চেয়ারম্যান বাদলের দি কুপুত্র এহসানুল হক রুমেল ও আদনান হেসেন সহ প্রায় সবই সাবেক ফ্যাসিবাদের দোষর, সুবিধাবাদী এসব ব্যক্তি এখন বিএনপির আহবায়ক আব্দুস ছাত্তার এর নিয়ন্ত্রণে থেকে এসব সিন্ডিকেট সহ সকল অবৈধ্য বাণিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে।

জানা যায়, সাবেক সময়ে যারা ফ্যাসিবাদের রোষানলে ছিল তারা এখন বিএনপির স্থানীয় নেতৃত্বের অপছন্দের তালিকায়?

এরকম একজন নিবেদিত প্রাণ কর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বালিপাড়া ইউনিয়নের কালিরবাজার হতে গফরগাঁও পর্যন্ত প্রায় ১১টি স্পটে অবৈধ্য বালু উত্তোলন ও প্রতিদিন প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার বালু বিক্রী হয়, সব কিছু নিয়ন্ত্রন করে উক্ত সব সন্ন্ত্রাসী বাহিনী দ্বারা। এবং ইউনিয়ন যত সরকারী সুযোগ সুবিধা / অনুদান আসে, তার দায়দায়িত্ব এখন আকরাম হোসেন কাঞ্চনের উপর, আর এরই জন্য পুর্বের সন্ত্রাসী চাঁদাবাজদের নিয়ে বালিপাড়া ইউনিয়ন বিএনপি পুর্নগঠিত।

এ ব্যাপারে বিএনপি নেত্রীত্বদানকারীদের কাউকে খুজে পাওয়া যায় নাই।

এলাকায় অনেক নির্যাতন ভোগকারী অসহায় বিএনপির সদস্য আমাদের কাছে অভিযোগ দিয়ে বলেছেন, ময়মনসিংহ হতে গোপনে কমিটি নিয়ে এসেই এখন বালুমহল, ইউপি এবং ইটখোলার দায় দায়িত্ব এই সিন্ডিকেট চালাচ্ছে। কেউ এদের ভয় মুখ খুলে না, এলাকায় দূ্র্ধষমাদক ব্যাবসায়ী পাতলা খান এদের অনুসারী বলে জানা যায়।

উল্লেখ্য, বর্তমানে বিএনপির হাইকমান্ডের নির্দেশ- কোনো চাদাবাজ, দূর্নীতিবাজদের দলে আশ্রয় দেওয়া যাবে না। তবে এই আওয়ামী লীগের কুখ্যাত সন্ত্রাসী আকরাম হোসেন কাঞ্চন যিনি কিনা সাবেক এমপি ও বালিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যানের ছত্র ছায়ায় বালুদস্যুতা/ভূমি দস্যুতা, ইটখোলার চাঁদাবাজি সহ এহেন অপকর্ম নাই যা তিনি করেন নাই। এই রকম একজন কুখ্যাত সমাজ বিরোধী চাঁদাবাজ কে কার বা কিসের স্বার্থে বিএনপি আশ্রয় পোশ্রয় দিচ্ছে। তা সাধারণ জনগণ জানতে চায়। তবে কি ত্রিশালের এই বালিপাড়া বিএনপিতে অবক্ষয়ের অপেক্ষায়, সাধারণ বিএনপির কর্মী ও স্থানীয় সাধারণ জনগণের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে, যা বিস্ফোরণের অপেক্ষায়।

(এনআরকে/এসপি/জুলাই ১৪, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test