E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

কর্মক্ষেত্রে বাধা দিতে মানহানিকর অভিযোগের তদন্ত দাবি করছেন প্রধান শিক্ষক

২০২৫ জুলাই ১৮ ০০:২৭:২৩
কর্মক্ষেত্রে বাধা দিতে মানহানিকর অভিযোগের তদন্ত দাবি করছেন প্রধান শিক্ষক

সমরেন্দ্র বিশ্বশর্মা : কর্মক্ষেত্রে বাধা সৃষ্টির লক্ষে ও মানহানিকর অভিযোগের তদন্ত দাবি করছেন এক প্রধান শিক্ষক। তিনি ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সুমল চন্দ্র শীল। বৃহস্পতিবার তদন্ত দাবি করে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান ও আপীল এ্যান্ড আরবি স্ট্রেশন কমিটির সভাপতি বরাবর লিখিত অভিযোগ পাঠিয়েছেন। 

অভিযোগে তিনি দাবি করেন, ওই বিদ্যালয়ের এক সহাকারী শিক্ষিকা (গ্রন্থাকার ও তথ্য বিজ্ঞান) এনডেক্স নং-১৫৫৬৬০, গত ১৬ জুলাই অনুষ্ঠিত আপিল এ্যান্ড আরবি স্ট্রেশন সভায় উপস্থিত হয়ে তার বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির এনে মানহানি, আপত্তিকর ও ষড়যন্ত্রমূলক বক্তব্য উপস্থাপন করেন। প্রধান শিক্ষক ওই বক্তব্যের তীব্র নিদ্ধা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন, সামাজিক ভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্য করা এবং কর্মক্ষেত্রে আমাকে বাধা সৃষ্টির লক্ষে পরিকল্পিতভাবে অসত্য বক্তব্য উপস্থাপন করা হয়েছে । তিনি ওই শিক্ষিকার আপত্তিকর বক্তব্যের সুষ্ঠ তদন্ত দাবি করেন। প্রধান শিক্ষক আরও বলেন, ওই নারী শিক্ষক শ্লীলতাহানির কথা উল্লেখ করে গত ২০২৩ সালের ৩০ জানুয়ারী এবং ২০২৩ সালের ৭ ফেব্রয়ারী মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড এবং মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা ময়মনসিংহ অঞ্চল উপ-পরিচালক বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন। পরবর্তীতে তার স্বামী ও অন্যান্য বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষদের নিয়ে আলোচনায় বসলে ২০২৪ সালের ৮ আগস্ট তার অভিযোগ প্রত্যাহার করে নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন।

প্রধান শিক্ষক জানান, এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির আলোচ্য সূচিতেও আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক সুমল চন্দ্র শীল বলেন, গত ৫ আগস্টের পর একটি বিশেষ মহলের সহায়তায় আমাকে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে সরানোর জন্য আমার বিরুদ্ধে নামাজ ঘর ভাঙ্গা এবং বোরকা পরতে বাধাসহ বিদ্যালয়ের তহবিলের টাকা আত্মসাতের অভিযোগ এনে ময়মনসিংহ বিভাগীয় কমিশনার বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমার বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও নামাজ ঘর ভাঙ্গাসহ বোরকা পরার ক্ষেত্রে বাধা নিষেধের তথ্য সত্যতা না পেয়ে এবার সহকারী শিক্ষিকাকে দিয়ে নতুন করে শ্লীলতাহানির অভিযোগ এনে আমাকে হয়রানি করা হচ্ছে। মূলত আমাকে আমার কর্মক্ষেত্র থেকে বিতাড়িত করার জন্যই এসব ষড়যন্ত্র চলছে। আমি একজন সনাতন ধর্মের লোক। রাষ্ট্রের নিকট আমি আমার জীবনের নিরাপত্তাসহ আমার বিরুদ্ধে আনিত মানহানিকর উদ্দেশ্য মূলক অভিযোগের সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। তদন্ত না করে আমার বিরুদ্ধে যেন কোন অবিচার না করা হয় সে দাবিও রাখছি। এদিকে ওই নারী সহকারী শিক্ষিকার সাথে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাকে পাওয়া যায়নি।

(এসবিএস/এএস/জুলাই ১৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test