E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

লোহাগড়ায় বর্ষা মৌসুমে মধুমতী নদীতে ভাঙন

পাংখারচর-চরসুচাইল এলাকায় ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন, হুমকিতে বসতবাড়ি

২০২৫ জুলাই ১৯ ১৯:০৫:০২
পাংখারচর-চরসুচাইল এলাকায় ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন, হুমকিতে বসতবাড়ি

রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইলের লোহাগড়া উপজেলার পাংখারচর ও চরসুচাইল এলাকায় মধুমতী নদীর ভাঙ্গন শুরু হয়েছে। বর্ষা মওসুমে টানা বৃষ্টিপাত ও নদীতে তীব্র পানির স্রোতে একের পর এক ফসলী জমি নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। অব্যাহত ভাঙনে হুমকির মধ্যে রয়েছে নদী তীরের মানুষেরা।গত ২০২৩ সালে নদী ওই ভাঙ্গন কবলিত এলাকায় পানি উন্নয়ণ বোর্ড বালির বস্তা দিলেও আবারো উক্ত এলাকায় ভাঙন শুরু হয়েছে।

খোঁজ খবর নিয়ে জানা গেছে , ১৯৭১ সালে লোহাগড়া উপজেলায় মধুমতী নদী ভেঙ্গে গতিপথ পরিবর্তন করে বিরাট একটি বাক সোজা হয়ে যায়। এতে উপজেলার পাংখারচর, লংকারচর, চরসুচাইল, চরঘোনাপাড়া ও চরপাচাইল এলাকায় বড় একটি বাওড়ের সৃষ্টি হয়। বাওড়ের এক মুখ মূল মধুমতী নদীর সাথে যুক্ত থাকায় জোয়ার ভাটার সময় মধুমতী নদীর স্রোত চলাচল করে। বর্ষা মওসুমে এই পানির স্রোত অধিকতর বেগবান হয়ে ওই এলাকায় প্রতি বছর নদী ভাঙ্গন দেখা দেয়।

নদী ভাঙ্গন এলাকার বাসিন্দা কামাল ফকির জানান, 'বর্ষা আসার আগেই যেভাবে নদী ভাঙ্গছে তাতে কয়েক দিনের মধ্যেই আমার বাড়ি ভেঙ্গে যাবে।’

আজিজুর ফকির জানান, 'আগের মত বালির বস্তা না ফেললে নদী ভাঙ্গন আরো বড় আকার ধারণ করতে পারে।’

একই গ্রামের ইয়াসিন শেখ জানান, নদীর পাড়ে আমার চাষের জমি ভেঙ্গে গেছে। আরো ভাঙলে বাড়িঘর ধরতে পারে।

মিলন ফকির জানান, চর সুচাইল এলাকায় নদী ভাঙনের খবর পানি উন্নয়ণ বোর্ড অফিসে জানানো হয়েছে। তারা সরেজমিনে দেখে গেছে। তবে নদী ভাঙন রোধে এখনো কোন পদক্ষেপ দেখছি না।

পানি উন্নয়ণ বোর্ড নড়াইলের নির্বাহী প্রকৌশলী অভিজিত সাহা জানান, ভাঙন এলাকা সরেজমিনে পরিদর্শন করে নিয়মিত তালিকায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য মন্ত্রনালয়ে প্রেরণ করা হবে।

(আরএম/এসপি/জুলাই ১৯, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩০ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test