E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

শ্রীনগরে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে চলছে স্বাস্থ্য সেবা 

২০২৫ জুলাই ৩০ ১৯:২৯:১৭
শ্রীনগরে অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও হাসপাতালে চলছে স্বাস্থ্য সেবা 

আমিনুল ইসলাম, শ্রীনগর : মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অনুমোদনহীন ডায়াগনস্টিক সেন্টার, হাসপাতালে স্বাস্থ্য সেবা প্রদানের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এসব প্রতিষ্ঠানের ট্রেড লাইসেন্স থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবেশ অধিদপ্তর, পরমাণু শক্তি কমিশন, ড্রাগ প্রশাসনের (DGDA) প্রয়োজনীয় লাইসেন্স ও নিবন্ধন নেই। এ ধরনের প্রতিষ্ঠান লাইসেন্স প্রাপ্তির আবেদন করলেও নির্ধারিত সব শর্ত না মানায় তাদের ডায়াগনস্টিক বা হাসপাতালের লাইসেন্স ইস্যু করা না হলেও তারা ডায়াগনস্টিক এবং হাসপাতালের কার্যক্রম সাইনবোর্ড সাটিয়ে নিয়মিত চালিয়ে যাচ্ছেন। 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব প্রতিষ্ঠানে ভুয়া ডাক্তার, টেকনিশিয়ান,নার্স দিয়ে মানুষকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।

সরেজমিনে গিয়ে আরও জানা যায়, উপজেলার বাড়ৈখালী ইউনিয়নের দেশ মেডিকেল হলের চিকিৎসকের সহকারী মোঃ পারভেজ নামের একজন ব্যক্তি চর্ম রোগসহ জটিল রোগীদের চিকিৎসা দিচ্ছেন। এছাড়া বালাশুর চৌরাস্তার মোল্লা টাওয়ারে অবস্থিত মোল্লা ডায়াগনস্টিক সেন্টার দায়িত্ব প্রাপ্ত ব্যক্তি বলেন, আমাদের সব কাগজ ঠিকঠাক আছে। তবে এখন দেখানো যাবে না।

নিউ পপুলার ডায়াগনস্টিকের ম্যানেজার মোঃরুবেল বলেন, হাসপাতালের মালিকানা পরিবর্তন হয়েছে। বর্তমানে প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের কোনটাই নবায়ন করা হয়নি। আর ট্রেড লাইসেন্সও করতে দেয়া হয়েছে। বর্তমানে কোন প্রকার কাগজ পত্র (অনুমোদন) না থাকলেও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম চালাচ্ছেন কিভাবে? এ প্রশ্নের কোন সদুত্তর অত্র প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার মো. রুবেল দিতে পারেননি।

ভাগ্যকূল ইউনিয়নের কামারগাঁওয়ের রাজ্জাক হাসপাতালে সিজারের অনুমোদন আছে কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে প্রতিষ্ঠানের দায়িত্বে থাকা কাজী সবুজ বলেন, আমাদের কাগজপত্র আছে কি না, সেটা সিভিল সার্জন অফিসে দেখবে। তাছাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সঙ্গে আমার পরিচয় আছে।

আল-আমিন দিশারী ক্লাবের বিপরীতে গড়ে উঠেছে জনসেবা মেডিকেল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এর চেয়ারম্যান পরিচয়দানকারী মুনসুর বলেন, আমার প্রতিষ্ঠান চালু আছে তবে ট্রেড লাইসেন্স ও ভ্যাটের কাগজ আছে, হাসপাতাল চালু করেই অন্য কাগজপত্র করবো। আর এই ফার্মেসীর ড্রাগ লাইসেন্স কিছু দিনের মধ্যেই করে ফেলব। আমার প্রতিষ্ঠান চালু আছে। ধীরে ধীরে সব দপ্তরের কাগজ করা হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মোঃ জসিম উদ্দীন বলেন, আমি দুই দিন যাবৎ কয়েকটা প্রতিষ্ঠানে ভিজিট করেছি। অননুমোদিত কোনো প্রতিষ্ঠান স্বাস্থ্যসেবা দিতে পারে না। আমরা তালিকা করছি, অভিযান চলবে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার বলেন, আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

(এআই/এসপি/জুলাই ৩০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

৩১ জুলাই ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test