E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সাপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে কাঁচা চিবিয়ে খেলো আরেক সাপুড়ে

২০২৫ জুলাই ৩১ ২০:২২:২৭
সাপুড়ের প্রাণ নেয়া সাপটিকে কাঁচা চিবিয়ে খেলো আরেক সাপুড়ে

প্রহলাদ মন্ডল সৈকত, কুড়িগ্রাম : সাপ ধরতে গিয়ে সাপের ছোবলে প্রাণ গিয়েছিল এক সাপুড়ের। সাপুড়ের প্রাণনাশী সেই সাপকে আবার কাচায় চিবিয়ে খেয়ে নিলো আরেক সাপুড়ে। এরকম চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার বল্লভের খাষ ইউনিয়নে।

বুধবার (৩০ জুলাই) সকালে বল্লভের খাষ ইউনিয়নের ডাক্তার পাড়ার সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন পাশের ইউনিয়ন কালিগঞ্জের কাপালিপাড়ার ইমরান আলীর বাড়িতে সাপ ধরতে যান। ইমরান আলীর বাড়ির রান্না ঘরে একটি ইদুরের গর্তে বাসা বাধে একটি কিং কোবরা সাপ। সাথে ছিলো ১৫-১৬টি সাপের বাচ্চাও। খাল খুড়ে সাপের বাচ্চাগুলো ধরার পর বড় সাপটি ধরে ফেলেন সাপুড়ে বয়েজ উদ্দিন। সাপটি বস্তায় ঢোকানের আগেই হাতে ছোবল দেয় সেটি। প্রথম দিকে সাপের বিষে কিছু না হলেও বাড়িতে এসে বিষক্রিয়ায় নিস্তেজ হতে থাকেন তিনি। দ্রুত ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে তাকে মৃত্যু ঘোষনা করেন চিকিৎসক।

মরদেহ বাড়িতে আনার পর একে একে আসতে থাকে কয়েকজন ওঝা ও সাপুড়ে। তারাও এসে বলেন রুগি মারা গেছে। মোজাহার নামক একজন ওঝা বড় সাপসহ বাচ্চাগুলো নিয়ে নেন। পরে গাবতলা বাজারে এসে বড় সাপটি কাচায় চিবিয়ে খান তিনি। এসময় গাবতলা বাজারে তার সাপ খাওয়ার দৃশ্য দেখতে প্রচুর লোক ভির জমান। মোজাহারের বাড়ি ভূরুঙ্গামারী উপজেলার বলদিয়া ইউনিয়নের বলদিয়া বাজার এলাকায়। এলাকায় মোজাহার সাপ খাওয়া মোজাহার নামে পরিচিত। তিনিও সাপ ধরেন ও সাপে কাটা রোগীর চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

মোজাহার জানান, বয়েজ উদ্দিনকে হাসপাতালে নেয়ার আগে তিনি খবর পান এবং সাপের পরিচয় পাওয়ার পর বলেছিলেন যে তিনি বাঁচবেন না। হাসপাতাল থেকে তাকে ফেরত আনার পর মোজাহারকে ফোনে ডেকে আনেন বয়েজ উদ্দিনের স্বজন। এখানে এসে তিনি মারা গেছেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। পরে বয়েজ উদ্দিনের ধরা সাপের বচ্চাসহ বড় সাপটি তারা আমাকে দেন। এগুলো নিয়ে এসে এই বাজারে বড় সাপটি মেরে রক্ত মাংস খাই। আর ছোট বাচ্চাগুলো ছেড়ে দিবো। তিনি আরোও জানান, কাচা সাপ খাওয়া তার পুরোনো অভ্যাস।

এদিকে চিকিৎসক মৃত্যু ঘোষনা করার পরও বয়েজ উদ্দিন বেচে আছে সন্দেহে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঝাড়ফুক চলছে বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে ভূরুঙ্গামারী স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এস.এম.আবু সায়েম জানান, সাপে কাটলে ঝাড়ফুকে কোন কাজ হওয়ার কথা না। সাপে কাটার সাথে সাথে হাসপাতালে আনতে হবে। আমাদের কাছে এন্টি ভেনম মজুদ আছে। লোকজনকে আরোও সচেতন হতে হবে। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে সাপের উপদ্রপ বেশী। সাপে কাটলে সাথে সাথে হাসপাতালে আনতে হবে। নইলে বিপর্যয় ঘটতে পারে যে কোন ক্ষেত্রে।

(পিএস/এসপি/জুলাই ৩১, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০১ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test