E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

গোপালগঞ্জে অনুমোদনহীন ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারে প্রসূতির মৃত্যু 

২০২৫ আগস্ট ২৮ ২৩:১০:৩১
গোপালগঞ্জে অনুমোদনহীন ক্লিনিকে অস্ত্রোপচারে প্রসূতির মৃত্যু 

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি : গোপালগঞ্জে অনুমোদনহীন নিউ পপুলার ক্লিনিকে চিকিৎসকের ভুল অস্ত্রপচারে ফরিদা বেগম (৩০) নামে এক প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।

কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া বাজারের ওই ক্লিনিকে অস্ত্রপচারের ২ ঘন্টার পর ওই গৃহবধূ রক্তক্ষরণ শুরু হয়। তাকে সংকটজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বুধবার (২৭ আগস্ট) রাত ৮ টার দিকে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়।

নিহতের স্বজনরা মরদেহ নিয়ে ক্লিনিকের সামনে গেলে ক্লিনিকে কর্মরতরা পালিয়ে যান । পরে নিহত গৃহবধূর পরিবারকে আড়াই লাখ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বিষয়টি আজ বৃহস্পতিবার মিমাংসা করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ।

নিহতের স্বজনরা অভিযোগ করেছেন, ডাক্তারের ভুল অস্ত্রেপচারে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে প্রসূতির অকাল মৃত্যু হয়েছে।

নিহত ওই গৃহবধূর নাম ফরিদা বেগম। তিনি কাশিয়ানী উপজেলার ওড়াকান্দি ইউনিয়নের মাঝকান্দি গ্রামের ইমরান হোসেনের স্ত্রী।

স্বজনরা জানান, গত সোমবার (২৬ আগস্ট) সকালে প্রসব ব্যাথা উঠলে ফরিদা বেগমকে নিউ পপুলার ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। বেলা ১১ টায় ডা. ফজলুর রহমান আকবার আলীর তত্ত্বাবধানে অস্ত্রোপচারের একটি পুত্র সন্তান জন্ম নেয়। কিন্তু এর দুই ঘন্টা পর থেকে প্রসূতির রক্তক্ষরণ শুরু হয়। উন্নত চিকিৎসার জন্য ওই দিন রাত ১১টায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করা হয়। পরের দিন রাত ৮টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে ওই প্রসূতির মৃত্যু হয়। তবে নবজাতক সুস্থ আছে।

এদিকে, বুধবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টায় নিহতের মরদেহ ও নবজাতককে নিয়ে স্বজনরা ক্লিনিকের সামনে উপস্থিত হলে গেটে তালা লাগিয়ে পালিয়ে যায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ । বৃহস্পতিবার নিহতের পরিবারের সাথে গোপনে বিষয়টি আড়াই লাখ টাকায় মিমাংসা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক নিহতের এক স্বজন।

স্থানীয় একটি সূত্র জানিয়েছে, এরআগে এ ক্লিনিকটি ‘এমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’ নামে পরিচালিত হয়ে আসছিল। গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ওই ক্লিনিকের কার্যক্রম বন্ধ করে দেন। এরপর নাম পরিবর্তন করে ‘নিউ পপুলার ক্লিনিক’ নামে এটি পরিচালিত হয়ে আসছে। এটির কোন ধরণের সরকারি অনুমোদন নেই।

এ ঘটনায় ক্লিনিক কর্তৃপক্ষের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করে বন্ধ পাওয়া যায়। যে কারণে তাদের বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি।

গোপালগঞ্জের সিভিল সার্জন ডা. আবু সাইদ মো. ফারুক বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এরআগে ওই বাজারে ‘ইমা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনষ্টিক সেন্টার’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান আমরা বন্ধ করে দিয়ে আসছিলাম।’

(টিবি/এএস/আগস্ট ২৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৯ আগস্ট ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test