E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্যানেল চেয়ারম্যানের অবস্থান

২০২৫ সেপ্টেম্বর ০৭ ১৮:৩৫:২২
সরকারি অর্থ আত্মসাৎ করতেই চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্যানেল চেয়ারম্যানের অবস্থান

রাজবাড়ী প্রতিনিধি : রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কসবামাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে অন্যান্য ইউপি সদস্যদের হুমকি দিয়ে স্বাক্ষর নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে।

জানা যায়, সর্বশেষ গত বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) সুনির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়াই কসবমাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে মৌখিক অভিযোগ করে।

এর আগে গত ২০ আগস্ট জিল্লুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কাছে ইউপি চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদের বিরুদ্ধে ইউপি সদস্যদের স্বাক্ষর নকল করে অভিযোগ দিয়েছিলেন।

বিষয়টি জানাজানি হলে কসবমাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহরিয়ার সুফল মাহমুদের উপস্থিতিতে গত ৪ সেপ্টেম্বর কয়েকজন ইউপি সদস্য উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে উপস্থিত হয়ে অভিযোগ প্রত্যাহার করে। এসময় ইউপি সদস্যরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে বলেন, জিল্লুর রহমান তাদের কাছ থেকে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয় প্রভাব খাটিয়ে। তবে সেটা যে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা অভিযোগ তারা তা জানতেন না।

গত শুক্রবার দুপুরে কসবমাজাইল ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য চম্পা খাতুনের সাথে কথা হলে, তিনি অভিযোগ করেন জিল্লুর রহমান প্রভাব খাটিয়ে আমার স্বাক্ষর নিয়েছে। তার কথায় কাগজে স্বাক্ষর না দিলে আমার স্বামী ও আমাকে এলাকায় থাকতে দিবে না। তবে চেয়ারম্যান অনেক ভালো মানুষ। সে সব সময় আমাদের খোঁজ খবর রাখে, আমাদের বিপদ আপদে পাশে থেকে সাহায্য সহযোগিতা করেন। সে শিক্ষিত মানুষ তার পরিবার আমাদের ইউনিয়ন সব থেকে বেশি শিক্ষিত ও সম্মানী পরিবার। তার মতো চেয়ারম্যান পাওয়া আমাদের ভাগ্যের ব্যাপার।

তবে জিল্লুর রহমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে পরিষদে নিয়মিত উপস্থিত না থাকার অভিযোগ তোলে। এতে ইউনিয়নের কাজকর্ম স্থবির হয়ে পড়ছে এবং সাধারণ মানুষ ভোগান্তিতে আছে বলে দাবী করেন তিনি। তবে এই অভিযোগে কোন সত্যতা পাওয়া যায় নাই।

পক্ষান্তরে জিল্লুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে আগামীতে ৪০ দিনের কর্মসূচি, টি আর কাবিখা, কাবিটাসহ নানা কাজের অর্থ আত্মসাৎ করতে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রভাব খাটিয়ে স্বাক্ষর নকল করে অনাস্থা দিয়েছে। এতে করে তিনি চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করবে আর সরকারি কাজের অর্থ একাই আত্মসাৎ করবেন।

এ বিষয়ে মুঠোফোনে জিল্লুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে তেমন কোন অভিযোগ নাই। তবে চেয়ারম্যান নিয়মিত পরিষদে আসেন না। স্থানীয়দের অভিযোগ আপনি (জিল্লুর রহমান) আগামী ৪০ দিনের কর্মসূচি, টি আর কাবিখা, কাবিটার অর্থ আত্মসাৎ করতে কয়েকজন ইউপি সদস্য নিয়ে চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনছেন এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী চেয়ারম্যান না থাকলে আমি ওই স্থানের দায়িত্ব পালন করব। এইজন্য মানুষ বাজে মন্তব্য করতে পারে।

পাংশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম আবু দারদা বলেন, অনাস্থা পত্র ও অনাস্থা প্রত্যাহার- দুটিই পেয়েছি। এটি তদন্তের ব্যাপার তদন্ত শেষে বলা যাবে সঠিক ঘটনা। তবে আমার কাছে ওই ইউনিয়ন পরিষদের কোন মানুষ ভোগান্তির ব্যাপারে লিখত কিংবা মৌখিক অভিযোগ করে নাই।

(একে/এসপি/সেপ্টেম্বর ০৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test