E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

টাঙ্গাইলে এইচএসসিতে শতভাগ অকৃতকার্য কলেজ ৭টি 

২০২৫ অক্টোবর ১৭ ১৮:২৪:৫৫
টাঙ্গাইলে এইচএসসিতে শতভাগ অকৃতকার্য কলেজ ৭টি 

টাঙ্গাইল প্রতিনিধি : সম্প্রতি এইচএসসি ফলাফলে টাঙ্গাইল জেলার ১০৭টি কলেজের মধ্যে সাতটি কলেজের শিক্ষার্থীদের কেউ উত্তীর্ণ হয়নি। বৃহস্পতিবার (১৬ অক্টোবর) ফলাফল প্রকাশের পর আজ শুক্রবার থেকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে জেলা শিক্ষা অফিস। নিয়মিত ক্লাস না হওয়ার ফলে শিক্ষার্থীরা অকৃতকার্য হয়েছে- বলছেন অভিভাবকগণ।

শতভাগ অকৃতকার্য কলেজগুলো হলো- সদর উপজেলার আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ, টাঙ্গাইল কলেজ, টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ, মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ, মধুপুরের মধুপুর মহিলা কলেজ ও গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ।

জানা যায়, জেলার ১০৭টি কলেজ থেকে ২৫ হাজার ১৩০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১১ হাজার ১১৯ জন শিক্ষার্থী কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হার ৪৪.২৫ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ৫৭৩ জন। এছাড়াও আলিম পরীক্ষায় এক হাজার ৪৯০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯ শত ৯৭ জন পাশ করেছে। পাশের হার ৬৬.৯১ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে ২৩ জন। বিএম পরীক্ষায় দুই হাজার ২৬৫ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে এক হাজার ৩৯৫ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হাজার ৬১.৫৯ শতাংশ। জিপিএ ৫ পেয়েছে পাঁচ জন। এইচএসসি (ভোক) পরীক্ষায় ৫৩৮ জন অংশ নিয়ে ২৪০ জন কৃতকার্য হয়েছে। পাশের হারা ৪৪.৬১ শতাংশ। জিপিএ পাঁচ পেয়েছে একজন।

জেলা শিক্ষা অফিস থেকে জানা যায়, গত এইচএসসি পরীক্ষায় আল্লামা ইয়াকুব আলী কলেজ ও গোপালপুরের হাদিরা বাধুরিরচর কলেজ থেকে ১৬ জন করে শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে শতভাগ অকৃতকার্য হয়েছে। টাঙ্গাইল কলেজ থেকে ৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ৯ জনই অকৃতকার্য হয়েছে। টাঙ্গাইল কমার্স কলেজ, শাহীন কলেজ ও মধুপুর মহিলা কলেজ থেকে দুজন শিক্ষার্থী করে অংশ নিয়ে সবাই অকৃতকার্য হয়েছে। মির্জাপুরের ফতেপুর ময়নাল হক স্কুল অ্যান্ড কলেজ থেকে ১৮ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ১৮ জনই অকৃতকার্য হয়েছে।

এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কলেজ কর্তৃপক্ষের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তাদের পাওয়া যায়নি।

টাঙ্গাইলের মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশ বিজ্ঞান ও সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধ্যাপক এসএম সাইফুল্লাহ বলেন, অভ্যুত্থানের পর শিক্ষা ব্যবস্থাকে অনেক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের আরও সচেতন হতে হবে। কলেজ না গিয়ে বাসায় নামমাত্র পড়াশোনা করলে পাশ করা যায় না। নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে গিয়ে ক্লাস করতে হবে। কলেজ বা শ্রেণিকক্ষে শিক্ষার পরিবেশ সৃষ্টির পাশাপাশি শিক্ষাদানের আমূল পরিবর্তন আনতে হবে।

এ বিষয়ে জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা রেবেকা সুলতানা বলেন, বিষয়টি নিয়ে জেলা প্রশাসনসহ উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

(এসএম/এসপি/অক্টোবর ১৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১৯ অক্টোবর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test