E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

নড়াইলে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষকের নামে মামলা, শিক্ষক লাপাত্তা 

২০২৫ অক্টোবর ২৭ ১৭:২৩:০৭
নড়াইলে শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণ চেষ্টার অভিযোগে শিক্ষকের নামে মামলা, শিক্ষক লাপাত্তা 

রূপক মুখার্জি, নড়াইল : নড়াইল সদর উপজেলায় শিশু শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে এবার বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এর আগে একই অভিযোগে পৃথক আরেকটি মামলা দায়ের করে ভুক্তভোগী পরিবার। এ ঘটনার পর অভিযুক্ত শিক্ষককে বরখাস্ত করা হয়েছে।

গতকাল রবিবার রাতে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম।

অভিযুক্ত শিক্ষক মো. তরিকুল ইসলাম মাগুরা কালুখালী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ২০১১ সালের ৬ সেপ্টেম্বর যোগদান করেন৷ আর চলতি বছরের আগস্ট মাস থেকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে দায়িত্ব পালন করছিলেন। তার বাড়ি নড়াইল সদরের বোড়ামারা গ্রামে।

জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার স্বাক্ষরিত বরখাস্তের চিঠিতে বলা হয়েছে, তরিকুল ইসলাম অর্থের বিনিময়ে নিয়মিত শিক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ে কোচিং করাতেন। চলতি মাসের ১৫ অক্টোবর কোচিং শেষে পঞ্চম শ্রেণির এক শিক্ষার্থীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হয়। এ কারণে ‘সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮’-এর আলোকে ২২ অক্টোবর থেকে তাকে সরকারি চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।

জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুল ইসলামের বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ে ছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ তদন্তে প্রমাণিত হওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলাও করা হয়েছে।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ১৫ অক্টোবর বিকেলে স্কুল ছুটির পর চার শিক্ষার্থীকে শ্রেণিকক্ষে প্রাইভেট পড়াচ্ছিলেন তরিকুল ইসলাম। এসময় কৌশলে তিন শিক্ষার্থীকে বাইরে পাঠিয়ে দিয়ে এক শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টা চালান।

এদিকে শিক্ষার্থীকে ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগে পৃথক একটি মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী পরিবার। তবে মামলার পাঁচদিনেও আসামি গ্রেপ্তার না হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন তারা। এ ঘটনায় সর্বশেষ গত ২১ অক্টোবর নড়াইল সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয় বলে জানিয়েছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা।

ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর পরিবারের এক সদস্য বলেন, সবকিছু উপেক্ষা করে, সামাজিক সম্মানহানিকে তুচ্ছ করে মামলা করেছি। কিন্তু পাঁচ দিনেও অভিযুক্ত শিক্ষককে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

এ বিষয়ে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা নড়াইল সদর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মাসুদ রানা বলেন, অভিযুক্ত শিক্ষক তরিকুলকে এখনও গ্রেপ্তার করা যায়নি। তবে তাকে আটক করতে আমাদের চেষ্টা অব্যাহত আছে।

(আরএম/এসপি/অক্টোবর ২৭, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৭ অক্টোবর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test