E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ফরিদপুর-৩ আসনে ভোটের মাঠে যারা

২০২৫ অক্টোবর ২৮ ১৪:২০:০৯
ফরিদপুর-৩ আসনে ভোটের মাঠে যারা

রিয়াজুল রিয়াজ, বিশেষ প্রতিনিধি : আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনে প্রায় ডজনখানেক প্রার্থীর নাম শোনা যাচ্ছে। গোপনে বা প্রকাশ্যে প্রার্থী ও প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে দেখা মিলছে।

যাদের মধ্যে রয়েছেন- বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও দলটির ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব, ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (স্বতন্ত্র) ও এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ), ফরিদপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক, বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং ফরিদপুর জেলা বিএনপি সুদীর্ঘ পরীক্ষিত, সাংগঠনিক ও ত্যাগী নেতা এড. সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সাংসদ, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক কেন্দ্রীয় বিএনপি অন্যতম প্রভাবশালী নেতৃত্ব, ফরিদপুরের গণ মানুষের প্রাণের নেতা প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসূফের সুযোগ্য কন্যা ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক চৌধুরী নায়াব ইউসুফ, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি, সাবেক মন্ত্রী কামাল ইবনে ইউসূফের এপিএস, বিএনপি'র আরেক ত্যাগী নেতা মাহবুবুল হাসান পিংকু এবং নীরবে ফরিদপুরের অবহেলিত ও গণমানুষের সেবাব্রত তরুণ সমাজসেবক ও সংগঠনক শক্তি ডি. গুপ্তা প্রমুখ। এছাড়া, এসসিপি, গণঅধিকার পরিষদ, জাতীয় পার্টি, জাকের পার্টি ও একাধিক বাম দল এবং আরও একাধিক ইসলামিক দলের প্রার্থীরা নিজেদের মতো কাজ করে যাচ্ছেন। জোট ও নির্বাচনের তারিখ বিষয়ক চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত না আসা পর্যন্ত এবং নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পূর্ব পর্যন্ত, নিজেদের মতো কাজ করলেও নিজেদের তুড়ান্ত প্রার্থী ঘোষণায় অনিহা প্রকাশ করেছেন এদের মধ্যে কয়েকজন।

রাজনৈতিক দলগুলোর দলীয় মনোনীত প্রার্থীর নাম ঘোষণা হওয়ার আগ পর্যন্ত, মনোনয়ন প্রত্যাশায় নিজেদের মতো করে বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা তুলে ধরে ধানের শীষ প্রতীকের পক্ষে গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন বিএনপি'র তিন নেতা- এড. সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা, চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ও মাহবুবুল হাসান পিংকু। পরে এদের মধ্যে যে মনোনয়ন পাবেন তাঁর পক্ষে কাজ করার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির তৃণমূলের নেতৃবৃন্দ।

এদিকে, এখন পর্যন্ত স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে দু'জন প্রার্থী তাদেড প্রার্থীতা ঘোষণা করে জনসংযোগের কাজ করে যাচ্ছেন। যাদের মধ্যে একজন সদ্য সাবেক সংসদ সদস্য, দেশবরেণ্য ব্যবসায়ী ও সমাজসেবক আব্দুল কাদের আজাদ ওরফে এ কে আজাদ। এবং অপরজন শক্তি ডি. গুপ্তা, যিনি দীর্ঘদিন প্রবাসে থেকে গণমানুষের সেবা করে চলেছেন, এলাকায় বেশ বড় একটি যুবক কমিউনিটির মাধ্যমে মানুষের সেবামুলক কাজ করে যাচ্ছেন প্রতিনিয়ত। এবার ফরিদপুর সদর আসনে গণমানুষের বৃহত্তর পরিসরে সেবা করার সুযোগ প্রার্থণা করে জনগণের কাছে তার শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা পৌঁছে দিচ্ছেন সমাজসেবক ও তরুণ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব শক্তি ডি. গুপ্তা।

এছাড়া, গণসংযোগের ক্ষেত্রে সবচেয়ে ব্যাতিক্রম ও দীর্ঘদিন যাবত নিঃশব্দে নীরব প্রচার প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন ফরিদপুর-৩ আসনে জামায়াতের দলীয় মনোনীত প্রার্থী অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব।

এবার, পাঠকদের জন্য আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফরিদপুর-৩ আসনের মনোনয়ন প্রত্যাশী উপরোক্ত প্রার্থীদের সংক্ষিপ্ত পরিচয় তুলে ধরা হলো:

শক্তি ডি. গুপ্তা
প্রবাসজীবন শেষে জনকল্যাণে আজীবন কাজ করার মহান ব্রত নিয়ে ও নতুন প্রজন্মের নেতৃত্বকে রিপ্রেজেন্ট করে নিজের এলাকা ফরিদপুরের গণ মানুষের পাশে থাকতে চান শক্তি ডি. গুপ্তা। সেই লক্ষ্যে দীর্ঘদিন যাবত তার প্রতিনিধিদের মাধ্যমে এলাকার মানুষের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছেন তরুন প্রজন্মের এ রাজনৈতিক নেতা। ফরিদপুরে একটি সুনির্দিষ্ট জনসাধারণ ও গণ মানুষের নিকট পেয়েছেন বেশ গ্রহণযোগ্যতাও। দীর্ঘ প্রবাস জীবনের পর এবার মাতৃভূমির টানে দেশে ফিরে জনকল্যাণমূলক কর্মকাণ্ডে অংশ নিতে আগ্রহ প্রকাশ করেছেন শক্তি ডি. গুপ্তা।

পড়াশোনার জন্য বিদেশে গিয়ে ক্রিমিনাল জাস্টিসে উচ্চশিক্ষা অর্জনের পর তিনি সেখানে একটি প্রাইভেট ডিটেকটিভ ফার্ম সফলভাবে পরিচালনা করে আসছেন দীর্ঘদিন এবং সেই সাথে প্রবাসে বাঙালি কমিউনিটিতে নিজেকে সুপ্রতিষ্ঠিত করেছেন তিনি।

জীবনের নানান উত্থান-পতনের মধ্য দিয়ে গড়া জীবনের অভিজ্ঞতা এবার তিনি মাতৃভূমির কল্যাণে কাজে লাগাতে চান। জনসেবাকে উদ্দেশ্য করে রাজনৈতিক অঙ্গনে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানিয়েছেন শক্তি ডি. গুপ্তা। তিনি ফরিদপুরের সকল শ্রেনী পেশার মানুষের নিকট এ ব্যাপারে আন্তরিক সহযোগিতা ও আশীর্বাদ কামনা করেছেন।

এ্যাড. সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা
তিনি ১৯৭৯ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, ফরিদপুর জেলা শাখার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য, ১৯৮৪- ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র থাকাকালীন বৃহত্তর ফরিদপুর জেলা ছাত্র কল্যাণ সমিতির সভাপতি, ১৯৮৫ সালে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় কমিটির ঢাকা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৬ সালে ফরিদপুর জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক, ১৯৮৮ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত মোট ৩১ বছর ফরিদপুর জেলা বিএনপির নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। বর্তমানে এড. সৈয়দ মোদাররেস আলী ইছা জেলা বিএনপির আহবায়ক কাজ করছেন। এছাড়াও এড. মোদাররেস আলী ইছা ২০০৯ সাল থেকে চলমান বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য। দীর্ঘ প্রায় ৪৬ বছরের রাজনৈতিক জীবনে এরশাদ বিরোধী আন্দোলন ও শেখ হাসিনার আমলে অসংখ্য মামলার শিকার হন ও কারাবরণ করেন। এছাড়াও ৯৬ সালের হাসিনার আমলে রাজপথে গুলিবিদ্ধ হন। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর বেয়াই ও সাবেক এলজিইডি মন্ত্রী খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ক্ষমতায় থাকাকালীন ওই রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ দ্বারা বেশ একাধিকবার এ্যাডভোকেট ইছা হামলা স্বীকার হয়ে রক্তাত্ব জখম হন। তিনি একজন জিয়াউর রহমানের পরীক্ষিত রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে ফরিদপুরেট জনমনে করে নিয়েছেন। এড. মোদাররেস আলী ইছা ফরিদপুর সদর আসন থেকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন, তাই সাংগঠনিক কাজের পাশাপাশি পুরোদমে গণসংযোগের কাজটিও অব্যাহত রেখেছেন বিএনপির এই পরিশ্রমী রাজনীতিবিদ।

আব্দুল কাদের আজাদ (এ কে আজাদ)
বাংলাদেশের একজন বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, সমাজসেবক ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদের ফরিদপুর-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি দেশের শীর্ষস্থানীয় ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান হা-মীম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবং এফবিসিসিআইয়ের সাবেক সভাপতি।

আব্দুল কাদের আজাদ ৭ জানুয়ারি ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ১ লক্ষ ৩৪ হাজার ৯৮টি ভোট পান, তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ মনোনীত শামীম হক পেয়েছিলেন ৭৫ হাজার ৮৯টি ভোট। ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন জাতীয় সংসদ বিলুপ্ত করলে তিনি সংসদ সদস্য পদ হারান। এ কে আজাদ ফরিদপুর সদর এলাকার মানুষের কর্মসংস্থান, চিকিৎসা, শিক্ষা, বিভিন্ন ধরণের সাহায্য সহযোগিতা ও সেবামূলক কাজে বিশেষ অবদান রেখেছেন। এজন্য ফরিদপুরে রাজনৈতিক মতাদর্শের বাইরে এ কে আজাদের একটা নিজস্ব ভোট ব্যাংক রয়েছে। যারা কোনো দল মত নয়, শুধুমাত্র এ কে আজাদকে চিনেন এবং তাকেই ভোট দিতে চান। তাই, তিনি নিজেকে জনগণের প্রার্থী ঘোষণা করে ফরিদপুর সদর আসন জুড়ে জনসংযোগের কাজ করে যাচ্ছেন।

চৌধুরী নায়াব ইউসুফ
চৌধুরী নায়াব ইউসুফ ফরিদপুর- ৩ আসনে বিএনপি'র মনোনয়ন প্রত্যাশা করে সেই লক্ষ্যে এ এলাকায় গণসংযোগ করে আসছেন দীর্ঘদিন। ফরিদপুরের খ্যাতনামা রাজনৈতিক পরিবারের এ কৃতি সন্তান ঢাকা ও কেন্দ্রীয় রাজনীতির পাশাপাশি ফরিদপুরের রাজনীতিতে এক বড় অবস্থান নিয়ে নিয়েছেন। নায়াব ইউসুফ বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ সভাপতি, সাবেক সংসদ সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের সুযোগ্য কন্যা। তিনি রাজনৈতিক জীবনে বর্তমানে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী মহিলা দল (কেন্দ্রীয় কমিটি) -এর যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও ঢাকা মহানগর মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করে আসছেন। চৌধুরী পরিবারের উত্তরসূরী হিসেবে ফরিদপুর-৩ আসন থেকে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বিএনপির দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশা করে ফরিদপুর ৩ আসনের ১২ টি ইউনিয়নে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন তিনি। চৌধুরী নায়াব ইউসুফ রাজনৈতিক পরিচয়ের বাইরে শুধুমাত্র পারিবারিক ঐতিহ্যের কারণে অনেক সাধারন জনগণের ভালোবাসা পেয়ে থাকেন। তিনি ফরিদপুরের অন্যতম জমিদার ও সাবেক মন্ত্রী চৌধুরী ইউসুফ আলী ওরফে মোহন মিয়ার নাতনী এবং এলাকার গণমানুষের নেতা সাবেক মন্ত্রী প্রয়াত চৌধুরী কামাল ইবনে ইউসুফের কন্যা, এই পরিচয়টি-ই এলাকার সাধারণের কাছে আগ্রহের অন্যতম উপাদান হিসেবে কাজ করছে চৌধুরী নায়াব ইউসুফের ভোটের মাঠে।

প্রফেসর আব্দুত তাওয়াব
ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে নিজের দলীয় মনোনয়ন চুড়ান্ত করে পুরোদমে মাঠ ঘাট চষে বেড়াচ্ছেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় মজলিসের শুরা সদস্য, শিক্ষানুরাগী ও সমাজসেবক অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব। ফরিদপুর জেলায় জামায়াতের টার্গেট যে দুইটি আসন তার মধ্যে অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াবের এ আসনটি অন্যতম। স্থানীয় জামায়াতের একাধিক নেতা ফরিদপুর-৩ ও ফরিদপুর-১ আসনে জয়লাভ করার ব্যাপারে বেশ জোর গলায় আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। সেই লক্ষ্যে এই আসনের সকল ইউনিয়নে অব্যাহতভাবে গণসংযোগ করে যাচ্ছেন আব্দুত তাওয়াব ও স্থানীয় জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা।
জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও ফরিদপুর অঞ্চল টিম সদস্য অধ্যাপক আব্দুত তাওয়াব বোয়ালমারী সরকারি ডিগ্রি কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ ও ফরিদপুর শহরের লক্ষীপুর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। আব্দুত তওয়াব এর আগে ফরিদপুর পৌরসভা নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছিলেন।

মাহাবুবুল হাসান পিংকু
মাহবুবুল হাসান পিংকু একজন জাতীয়তাবাদী যুবদলের পরীক্ষিত সাবেক নেতা ও বিএনপির এক নীতিবান শহীদ জিয়ার সৈনিক হিসাবে পরিচিত। পিংকুর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে নীতি আদর্শ ত্যাগ করে সে চাইলেই বিশাল অর্থকড়ির মালিক হতে পারতেন। দলের দু:সময়ে বিশেষ করে বিগত প্রায় ১৮ বছর হাসিনা সরকার বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণ ও বিগত সরকারের অত্যাচারে ফরিদপুরের বিএনপির অনেক নেতা যখন আন্দোলন যুদ্ধের মাঠে লাপাত্তা ঠিক সেই সময়ে এই মাহাবুবুল হাসান পিংকু মাঝে মধ্যেই হাজার হাজার নেতাকর্মীদের নিয়ে শহরে বিশাল বিশাল বিক্ষোভ মিছিল করে আওয়ামী নেতাকর্মীদের দুঃচিন্তায় রাখতেন। রাজনীতি করতে গিয়ে ১৯৯৫ সালে তার আপনভাই সায়েখকে হারাতে হয়েছে তাকে। ২০১৪ সালে শেখ হাসিনার বেয়াই খন্দকার মোশাররফ হোসেন এর শাসনামলে বিএনপি দলীয় মনোনয়ন নিয়ে মোশাররফের আপন ভাই মোহতেশাম হোসেন বাবরের বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন তিনি। এছাড়া ফরিদপুরের প্রতিটি ইউনিয়নে ঈদ, পূজা, শীত ও করোনাকালীন সময়ে তিনি সাধাসারণ মানুষের পাশে ছিলেন। মাহাবুবুল হাসান পিংকু ফরিদপুর সদর আসন থেকে বিএনপির হয়ে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন প্রত্যাশী হয়ে গণসংযোগ অব্যাহত রেখেছেন।

(আরআর/এএস/অক্টোবর ২৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৮ অক্টোবর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test