E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

নওগাঁ হানাদার মুক্তদিবস আজ

২০১৪ ডিসেম্বর ১৮ ০৯:১৫:১৭
নওগাঁ হানাদার মুক্তদিবস আজ

নওগাঁ প্রতিনিধি : স্বাধীনতার লাল সূর্য্য ছিনিয়ে আনতে ৭১’ এর মহান মুক্তিযুদ্ধে নওগাঁ জেলার ভুমিকা ছিল অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পাক হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে জেলার মুক্তিযোদ্ধাদের বীরত্বপূর্ণ লড়াই এবং জেলার অধিবাসিদের সাহসিকতা ছিল অবিস্মরনীয়। ৭১’এর ১৬ ডিসেম্বর দেশের বিজয় অর্জিত হলেও উত্তরের সীমান্ত ঘেঁষা নওগাঁ জেলা হানাদার মুক্ত হয় ১৮ ডিসেম্বর।

দেশ স্বাধীনের দু’দিন পর জেলাবাসী প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পায়। সেই ৭১’এর ১৬ ডিসেম্বর বেতার তরঙ্গ মারফত খবর আসে ঢাকায় পাকি হানাদার বাহিনী আত্মসমর্পন করেছে। বাঙ্গালী জাতি পায় বহু আকাঙ্খিত স্বাধীনতা। ওই রাতেই নওগাঁর দায়িত্বপ্রাপ্ত পাকিস্তানী মেজরের সঙ্গে মুক্তিবাহিনীর কমান্ডার জালাল হোসেন চৌধুরীর কথা হয়। আলাপ আলোচনার মধ্যদিয়েই সিদ্ধান্ত হয়, স্থানীয় পাকি সেনারা মুক্তিবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে। কথামত পরেরদিন ১৭ ডিসেম্বর সকাল আনুমানিক সাড়ে ৭টায় কমান্ডার জালাল হোসেন চৌধুরীর নেতৃত্বে মুক্তিবাহিনী ফতেপুর থেকে সড়কপথে নওগাঁ শহরের দিকে অগ্রসর হতে থাকে। পথিমধ্যে তারা কাদোয়া ও খলিশাকুড়ি গ্রামের মাঝামাঝি পৌঁছলেই পাক সেনারা সন্ধি ভঙ্গ করে মুক্তিবাহিনীকে লক্ষ করে গুলি চালায়। পাক সেনারা সে সময় সদর হাসপাতালের পানির ট্যাঙ্কের ওপর থেকে গুলি করতে থাকে। জালাল হোসেন চৌধুরী রাস্তার দু’পাশে অবস্থান নিয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অগ্রসর হবার নির্দেশ দেন। মুক্তিবাহিনী যতই অগ্রসর হতে থাকে, পাক হানাদার বাহিনী গুলি বর্ষনের মাত্রা ততই বাড়িয়ে দেয়। এক সময় মুক্তিবাহিনী জগৎসিংহপুর ও খলিশাকুড়ি গ্রামে অবস্থান নিলে দুই বাহিনীর মধ্যকার দূরত্ব একেবারে কমে যায়। মাঝখানে শুধু মাত্র ছোট যমুনা নদীটুকু। এঅবস্থায় পাকি সেনারা মুক্তিবাহিনীর ওপর শেলের গোলা নিক্ষেপ করলে মুক্তিবাহিনীও পাল্টা গুলি শুরু করে। বেঁধে যায় উভয় পক্ষে প্রচন্ড লড়াই।

১৮ ডিসেম্বর শনিবার সকালে ভারতীয় মেজর চন্দ্র শেখর মিত্রবাহিনী ও মুক্তিবাহিনী সঙ্গে নিয়ে নওগাঁয় প্রবেশ করেন। পাকি বাহিনীর তখন আর কিছুই করার ছিলনা। ফলে প্রায় ২ হাজার পাকি সেনা নওগাঁ কেডি স্কুল থেকে পিএম গার্লস স্কুল ও সরকারী বালিকা বিদ্যালয় থেকে শুরু করে থানা চত্বর (বর্তমান এসপির বাংলো) এবং এসডিও অফিস (বর্তমান ডিসির বাংলো) চত্বর পর্যন্ত রাস্তার দু’পাশে সারি বেঁধে অবনত মস্তকে আত্মসমর্থন করে। ৭১’ এর ১৮ ডিসেম্বর শনিবার।

(বিএম/পি/ডিসেম্বর ১৮, ২০১৪)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test