E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

প্রাথমিক শিক্ষকদের কর্মবিরতি

কোটালীপাড়ায় ১৮৭ বিদ্যালয়ে ক্লাস হয়নি  

২০২৫ নভেম্বর ১০ ১৭:৫৭:৫৪
কোটালীপাড়ায় ১৮৭ বিদ্যালয়ে ক্লাস হয়নি  

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ায় দশম গ্রেডে বেতনসহ ৩ দফা দাবি বাস্তবায়ন ও শাহবাগে শিক্ষকদের ওপর পুলিশি হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা।

আজ সোমবার বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি ছিল। কিন্তু কোনো শিক্ষকরা ক্লাসে যাননি। ১৮৭টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ের শিক্ষক মিলনায়তনে বসে কর্মবিরতি পালন করছেন। রবিবার (৯ নভেম্বর) সকাল থেকে কোটালীপাড়া উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে শিক্ষকদের এ কর্মবিরতি শুরু হয়।

বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শাহবাগে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ‘কলম বিরতি’ কর্মসূচিতে পুলিশ লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড, টিয়ারশেল ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে বহু শিক্ষক আহত হন। এর প্রতিবাদে এবং দীর্ঘদিনের তিন দফা দাবির বাস্তবায়নের দাবিতে তারা এ কর্মবিরতিতে অংশ নিয়েছেন।

৪৯ নং উত্তরপাড়া মাদ্রাসা সংলগ্ন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৌসুমী আক্তার স্বর্ণা বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে বেতন বৈষম্যের শিকার। প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন দিতে হবে। চাকরিতে যোগদানের ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং বিভাগীয় পদোন্নতিতে শতভাগ নিশ্চয়তা নিশ্চিত করতে হবে। দাবি না মানা পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চলবে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক প্রধান শিক্ষক বলেন, সারাদেশের মতো আমাদের বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরা কর্মবিরতি পালন করছেন। শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ে এলেও শিক্ষকরা পাঠদান থেকে বিরত রয়েছেন। আমরা তাদের ন্যায্য দাবির প্রতি মৌন সমর্থন জানিয়েছি।

বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারি শিক্ষক সমিতির কোটালীপাড়া উপজেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক ওলিউল্লাহ হাওলাদার বলেন, বিশ্বের কোনো দেশেই শিক্ষকদের এত কম বেতন দেওয়া হয় না। একই শিক্ষাগত যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও অন্য সরকারি কর্মকর্তারা দশম গ্রেড পাচ্ছেন, কিন্তু আমরা বঞ্চিত। এই বৈষম্য দূর করাই আমাদের আন্দোলনের মূল লক্ষ্য। আমরা উপজেলার সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ঐক্যবদ্ধ হয়ে আন্দোলন সফল করার জন্য শ্রেণিকক্ষে পাঠদান বিরতিতে রয়েছি।

কোটালীপাড়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা শেখর রঞ্জন ভক্ত শিক্ষকদের পাঠ বিরতির সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ঢাকার আন্দোলনের সাথে সংহতি প্রকাশ করে কোটালীপাড়ায় সব প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মবিরতি রেখেছেন শিক্ষকরা। তবে শিক্ষকেরা বিদ্যালয়ে উপস্থিত আছেন বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
উল্লেখ্য কোটালীপাড়া উপজেলায় ১৮৭ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ১০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১০ নভেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test