E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

এনজিও ম্যানেজার ও মাঠকর্মী বরখাস্ত, তদন্ত কমিটি গঠন

বদনা, নাকফুল ও আংটি ফিরে পেয়ে খুশি গৃহবধূ শ্রাবণী

২০২৫ নভেম্বর ১২ ১৮:৫৬:০৪
বদনা, নাকফুল ও আংটি ফিরে পেয়ে খুশি গৃহবধূ শ্রাবণী

সরদার শুকুর আহমেদ, বাগেরহাট : বাগেরহাটের চিতলমারীতে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরার বদনা, নাকফুল ও আংটি ফেরত দিয়েছে এনজিও ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি)। নিজের শখের জিনিসগুলো ফিরে পেয়ে খুশি ঋণ গ্রহীতা গৃহবধূ শ্রাবণী হীরার। এ ঘটনায় ডিএফইডি কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্ট শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ ও মাঠকর্মী নেওয়াজ শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। পাশাপাশি তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নাকফুল, আংটি ও বদনা ফেরত পেয়ে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা জানান, বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হওয়ায় মঙ্গলবার ডাম এনজিওর কয়েকজন কর্মকর্তা আমার বাড়িতে আসেন। তাঁরা আমার শিশু কন্যাসহ পরিবারের খোঁজখবর নেন। পরে অফিসে নিয়ে গিয়ে আমার শখের দুটি বদনা, নাকফুল, আংটি ও দুটি ফাঁকা স্ট্যাম্প ফেরত দেন। স্যারদের ব্যবহারে আমি।

ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্টের নরসিংদীর জোনাল ম্যানেজার তৌহিদুল ইসলাম বলেন, প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আমি, বরিশালের জোনাল ম্যানেজার মো. মহসিন হোসাইন এবং বাগেরহাটের এরিয়া ম্যানেজার মো. কবির হোসেন শ্রাবণীর বাড়িতে যাই। শ্রাবণীর বদনা, নাকফুল ও আংটি ফেরত দেওয়া হয়েছে। তিনি নিজের সুবিধামতো সময়ে খেলাপি ঋণ পরিশোধ করবেন বলে আমাদের জানিয়েছেন। কোনো জোরজবরদস্তি ছাড়াই গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা অভাবের কারণে স্বেচ্ছায় কিস্তির টাকার পরিবর্তে বদনা, নাকফুল ও আংটি দিয়েছিলেন।

তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় কর্তৃপক্ষ চিতলমারী শাখার ম্যানেজার বাসুদেব দেবনাথ ও মাঠকর্মী নেওয়াজ শরীফকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে। প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার সাহিদুল কবীর তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন। এ তদন্ত কমিটির সদস্যরা হচ্ছেন সহকারী ব্যবস্থাপক মো. মনিরুল ইসলাম, নারায়ণগঞ্জ জোনাল ম্যানেজার মুহাম্মদ খায়রুল ইসলাম এবং এমআইএস কো-অর্ডিনেটর মো. আব্দুর রাজ্জাক। কমিটিকে সাত কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, ডাম ফাউন্ডেশন ফর ইকোনমিক ডেভেলপমেন্ট (ডিএফইডি) চিতলমারী শাখা থেকে গৃহবধূ শ্রাবণী হীরা ৫০ হাজার টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। তাঁর স্বামী রিপন রায় কাজের জন্য এলাকা ছেড়ে গেলে কিস্তি বাকি পড়ে যায়। গত ২৯ অক্টোবর সকালে এনজিও কর্মীরা তাকে বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে দুটি ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করিয়ে তার হাতের আংটি, নাকফুল ও পিতলের বদনা নিয়ে গেলে বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যাপক সমালোচনা হয়।

(এস/এসপি/নভেম্বর ১২, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

১২ নভেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test