E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

টুঙ্গিপাড়া মহিলা বিষয়ক দপ্তর

পুরো দপ্তর সামলাচ্ছেন কর্মকর্তা একাই 

২০২৫ নভেম্বর ২০ ১৮:৪১:১৮
পুরো দপ্তর সামলাচ্ছেন কর্মকর্তা একাই 

* জনবল সংকটে ভোগান্তিতে উপকারভোগীরা 

তুষার বিশ্বাস, গোপালগঞ্জ : গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরে দীর্ঘদিন জনবল সংকট তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওই অফিসে ১ জন কর্মকর্তা কর্মরত রয়েছেন। এছাড়া আর কোনো নিয়মিত কর্মচারী নেই। তাই নারী উন্নয়ন, ভাতা, প্রশিক্ষণ ও মাঠ পর্যায়ের কার্যক্রম ব্যাহত হচ্ছে।উপকারভোগীদের অভিযোগ অফিসে গিয়ে প্রায়ই বন্ধ পাওয়া যায়। তালা সেবা না পেয়ে ফিরে আসতে হচ্ছে। 

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, অফিস সহকারী রশিদ গত ২৮ সেপ্টেম্বর ও একমাত্র এমএলএসএস আমিনুল ইসলাম গত ৬ ফেব্রুয়ারি অন্যত্র বদলি হন। এরপর থেকে পদ ২টি ফাঁকা হয়ে যায়। এরপর মুকসুদপুর উপজেলা মহিলা বিষয়ক দপ্তরের অফিস সহকারী প্রভাতী রানীকে টুঙ্গিপাড়া অফিসে অতিরিক্ত দায়িত্বে দেওয়া হয়। তিনি সপ্তাহে ২ দিন দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু এতে ওই দপ্তরের কাজের গতি আসেনি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা শ্রীময়ী বাগচী দপ্তরটি একাই চালিয়ে নিচ্ছেন। তিনি ২০২১ সালের ৪ এপ্রিল এ অফিসে যোগদান করেন। পাশাপাশি দুই বছরেরও বেশি সময় ধরে কোটালীপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার অতিরিক্ত দায়িত্ব পালন করছেন। ফলে সপ্তাহের অন্তত ৩ দিন তাকে কোটালীপাড়ায় অবস্থান করতে হয়। সে সময় টুঙ্গিপাড়ার দপ্তরে উপকারভোগীরা সেবা পান না।

জনবল সংকটের বিষয়ে শ্রীময়ী বাগচী বলেন, অফিসের তালা খোলা থেকে ফিল্ডে কাজ সব এখন আমার একা করতে হয়। আমি এ অফিসে একাই কাজ করি। এমএলএসএস ও অফিস সহকারী দুজনই বদলি হয়ে গেছেন। সপ্তাহে দুইদিন অতিরিক্ত জনবল পেলেও তাতে কাজের চাপ কমে না।

কোটালীপাড়ায় অতিরিক্ত দায়িত্ব রয়েছে। যেদিন সেখানে যেতে হয়, সেদিন টুঙ্গিপাড়ার উপকারভোগীরা আমাকে পায় না। অফিসের খোলা থেকে বন্ধ কারা, কাগজপত্র, মাঠপর্যায়ের কাজ সবই এখন আমার একা করতে হয়। এতে শারীরিক ও মানসিকভাবে খুব কষ্ট হচ্ছে।

তিনি আরও জানান, জেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা (ডিডি), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এবং জেলা প্রশাসক (ডিসি)-স্যার কে বিষয়টি জানানো হয়েছে।

পাটগাতি মধ্যপাড়ার উপকারভোগী সালমা বেগম বলেন, অনেক সময় অফিসে এসে কর্মকর্তাকে পাই না। তিনি কোটালীপাড়ায় থাকেন। যেদিন থাকেন, খুব সহযোগিতা করেন, কিন্তু সেবা পেতে দেরি হয়।

আরেক উপকারভোগী রোকেয়া বেগম বলেন, প্রায় ১০ দিন ধরে আবেদন জমা দিতে অফিসে আসছি। অনেক সময় এসে দেখি অফিসে তালা ঝুলছে। শুনি ম্যাডাম কোটালীপাড়ায়, এ অফিসে আর কেউ নেই। তাই ম্যাডামের আসা যাওয়ার তথ্য জানতে পারি না। দ্রুত নতুন জনবল দিলে আমাদের ভোগান্তি লাঘব হবে।

টুঙ্গিপাড়া গ্রামের নারী উদ্যোক্তা দিলরুবা খানম বলেন, নারী দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণ, ভাতা বিতরণ, উদ্যোক্তা সহায়তাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম জনবল সংকটে ঝিমিয়ে পড়েছে। আমরা কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছিনা। জরুরী ভিত্তিতে এটি সমাধানের উদ্যোগ নেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।

টুঙ্গিপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার বলেন, মহিলা বিষয়ক দপ্তরে জনবল সংকট রয়েছে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। আশা করছি খুব শিগগিরই এই সমস্যা সমাধান হবে।

(টিবি/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২০ নভেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test