E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

শ্যামনগর হাসপাতাল

চিকিৎসকের ওপর হামলার ২৩ দিনেও গ্রেপ্তার নেই, আসামিরা প্রকাশ্যে

২০২৫ নভেম্বর ২০ ১৯:৪৬:১৩
চিকিৎসকের ওপর হামলার ২৩ দিনেও গ্রেপ্তার নেই, আসামিরা প্রকাশ্যে

রঘুনাথ খাঁ, সাতক্ষীরা : সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকের ওপর হামলার ঘটনার ২৩ দিনেও কোনো হামলাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় হাসপাতালের চিকিৎসক  ও স্বাথ্যকর্মীদের মধ্য হতাশার সৃষ্টি হয়েছে। 

ভুক্তভোগীসহ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকরা জানান, সড়ক দুর্ঘটনায় যুবদলের এক কর্মীর শিশুপুত্র নিহত হওয়ার জেরে গত ২৮ অক্টোবর রাত ৮ টার দিকে সাতক্ষীরার শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে তাণ্ডব চালায় একদল লোক। এতে জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত অবস্থায় হাসপাতালের সহকারী সার্জন ডা. মোঃ মিলন হোসেনসহ চারজন আহত হন।

এ ঘটনায় ২৯ অক্টোবর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. মোঃ মিলন হোসেন বাদি হয়ে আব্দুল্লাহ আল মামুন সরদার (৩৫), মোঃ শহিদুল ইসলাম টিটু (৩৮), আবুল হোসেন (২৩), মোঃ বাইজিদ গাজী (২২), সাগর (২৩) ও নাহিদের (২২) নাম উল্লেখসহ ১৫ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে শ্যামনগর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, পুলিশ কার্যকরী পদক্ষেপ না নেওয়ায় ২৩ দিনেও কোনো হামলাকারী গ্রেপ্তার হয়নি। এতে অনেকটাই আশঙ্কায় রয়েছে হামলার শিকার চিকিৎসারা।

শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সহকারী সার্জন ডা. মোঃ মিলন হোসেন বলেন, মামলার পর থেকে অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে। হাসপাতালের আশপাশেও দেখা যাচ্ছে অভিযুক্তদের মধ্যে কয়েকজনের। তবে দুঃখের বিষয় এখন পর্যন্ত কোনো অপরাধীকে পুলিশ গ্রেপ্তার করতে পারেনি। তিনিসহ তার সহকর্মীরা শঙ্কায় রয়েছেন। অপরাধীরা গ্রেপ্তার না হলে তারা যেকোনো মুহূর্তে তাদেরকে ক্ষতি করতে পারে। দ্রুত অপরাধীদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান তারা।

বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে শ্যামনগর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. জিয়াউর রহমান বলেন, চিকিৎসকসহ হাসপাতালে অবস্থিত কয়েকজনের ওপর প্রকাশ্য জরুরী বিভাগের মধ্যে সঙ্ঘবদ্ধভাবে হামলা করা হয়। যার ভিডিও ফুটেজ ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রচার হয়েছে। কিন্তু এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারছে না। অদৃশ্য কোনো কারণে তাদের গাফিলতি আছে কিনা সেটা আমাদের প্রশ্ন থেকে যায়। তার দাবি, আসামিদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনা হোক।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা শ্যামনগর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আনজির হোসেন আসামিদের প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়ানোর অভিযোগ অস্বীকার করেই বলেন, গত চারদিন যাবৎ তিনি নির্বাচনী প্রশিক্ষণে রয়েছেন। আগামিকাল রাতে কর্মস্থলে ফিরবেন। আসামিদর
অবস্থান নিশ্চিত করে তাকে অবহিত করলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

প্রসঙ্গত, হামলার প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের দাবিতে গত ৩০ অক্টোবর দুপুরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মূল ফটকের সামনে মানববন্ধনও করেন উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কর্তব্যরত চিকিৎসক ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

(আরকে/এসপি/নভেম্বর ২০, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২০ নভেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test