E Paper Of Daily Bangla 71
Sikdar Dental Care
Walton New
Mobile Version

ঈশ্বরদীতে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত অর্ধ শতাধিক

২০২৫ নভেম্বর ২৮ ১১:৫৬:৪১
ঈশ্বরদীতে বিএনপি-জামায়াতের সংঘর্ষ, আহত অর্ধ শতাধিক

ঈশ্বরদী (পাবনা) প্রতিনিধি : ঈশ্বরদীতে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ, গুলিবর্ষণ ও মোটর সাইকেলে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে। এসময় পাবনা-৪ (ঈশ্বরদী-আটঘরিয়া) আসনে জামায়াতের প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলসহ জামায়াতে ইসলামী ও বিএনপির অর্ধশতাধিক নেতা ও কর্মী আহত হয়েছেন।

এদের মধ্যে মক্কেল মৃধা নামে বিএনপির একজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে দাবি করা হয়েছে। এ ঘটনায় মক্কেল মৃধা, মনিরুল ইসলাম, লালন মৃধা, আলীম হোসেন বাঁধনসহ কয়েকজনের নাম পাওয়া গেলেও তাৎক্ষনিকভাবে আহত সকলের নাম পরিচয় জানা যায়নি। আহতদের ঈশ্বরদী, পাবনাসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বৃহস্পতিবার (২৭ নভেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড় এলাকায় এসব ঘটনা ঘটে। এর আগেরদিন বুধবার ওই এলাকায় স্থানীয় জামায়াতে ইসলামীর ওয়ার্ড সভাপতি হাফেজ ইকবাল হোসেনসহ দুইজনকে সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক মক্কেল মৃধার লোকজন মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। সে ঘটনার জের ধরে বৃহস্পতিবার দফায় দফায় বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।

জামায়াতে ইসলামীর দাবি বৃহস্পতিবার চরগড়গড়ি আলহাজ্ব মোড়ে পাবনা-৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী ও জেলা জামায়াতের আমির অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডলের নেতৃত্বে নির্বাচনী প্রচারনায় যায় জামায়াতের নেতা-কর্মীরা। নির্বাচনী প্রচারনা চলাকালীন সময়ে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের অনুসারী বিএনপি নেতা-কর্মীরা তাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালিয়ে জামায়াতের প্রার্থী আবু তালেব মন্ডলকে বহনকারী গাড়িসহ ২০-২৫টি মোটর সাইকেল ভাংচুর করে। এসময় কয়েকটি মোটর সাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের লোকজন এসে আগুন নেভায়।

তবে বিএনপির নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন এ ঘটনা জামায়াতে ইসলামীর লোকজন পরিকল্পিতভাবে ঘটিয়ে বিএনপির ওপর এককভাবে দায় চাপানোর চেষ্টা করছে।

পাবনা জেলা জামায়াতের আমীর ও পাবনা-৪ আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল বলেন, আমাদের পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী চরগড়গড়ির আলহাজ্ব মোড়ে গেলে সেখানে বিএনপির প্রার্থী হাবিবুর রহমান হাবিবের সমর্থক মক্কেল মৃধার নেতৃত্বে আমাদের ওপর অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা ও গুলিবর্ষণ করা হয়। তিনি বলেন, আমার গাড়িসহ আমাদের শতাধিক মোটরসাইকেল ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করে তারা।

সাহাপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি হামিদুর রহমান হামদু মেম্বার বলেন, জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা বিএনপির নেতাকর্মীদের ওপর হামলা ও গুলিবর্ষন করেছে। তিনি দাবি করেন, জামায়াতে ইসলামীর হামলায় সাহাপুর ইউনিয়ন কৃষকদলের আহবায়ক মক্কেল মৃধা, তার ছেলে মনিরুল ইসলাম, যুবদলের সদস্য লালন মৃধা, স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য আলীম হোসেন বাঁধনসহ বিএনপি'র ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়েছেন। আহতদের ঈশ্বরদী ও পাবনার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় রাতে জামায়াতে ইসলামীর নেতা-কর্মীরা ঈশ্বরদী শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে হামলার ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়েছে।

এসব বিষয়ে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আ.স.ম. আব্দুন নূর বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছালে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। ঈশ্বরদী থানার পুলিশ, পাকশী ফাঁড়ির পুলিশ সদস্যরা ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা যৌথভাবে ঘটনাস্থলে রয়েছি। অভিযোগ বা মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এবিষয়ে বিএনপি নেতা হাবিবুর রহমান হাবিবের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তাঁকে পাওয়া যায়নি।

(এসকেকে/এএস/নভেম্বর ২৮, ২০২৫)

পাঠকের মতামত:

২৮ নভেম্বর ২০২৫

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test