E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

আগৈলঝাড়ায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য

২০১৫ জুলাই ০৫ ১৫:১০:২৫
আগৈলঝাড়ায় অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনষ্টিক সেন্টারের রমরমা বাণিজ্য

আগৈলঝাড়া (বরিশাল) প্রতিনিধি : বরিশালের আগৈলঝাড়ায় অবৈধভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাতুড়ে টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে চলছে ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের রমরমা বানিজ্য। জুলাই মাস থেকে এসব অবৈধ ক্লিনিকের বিরুদ্ধে উপজেলা পরিষদ ও পুলিশ প্রশাসন যৌথ অভিযানের কথা জানালেও এখন পর্যন্ত কোন অভিযান পরিচালিত হয়নি। এব্যাপারে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষেরও কোন মাথা ব্যথা নেই।

সংশ্লিষ্ট সূত্র মতে, আগৈলঝাড়া উপজেলা সদর ও হাসপাতালের সংলগ্ন এলাকাসহ বিভিন্ন স্থানে কমপক্ষে ২৮টি ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকের মালিকরা সরকারী নিয়ম নীতিকে উপেক্ষা করে বছরের পর বছর অবৈধভাবে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে হাতুড়ে টেকনিশিয়ানদের মাধ্যমে ব্যবসা চালিয়ে রোগিদের সাথে বড় রকমের প্রতারনা করে আসছে। টেকনিশিয়ানদের দক্ষতা না থাকায় ভুল রিপোর্টের কারণে প্রতারিত হচ্ছে ভুক্তভোগীরা। উপজেলা সদরের গ্রামীণ প্যাথলজী ও দুশুশমিরহাটের বিএম মেটারনিটি হাসপাতালের সরকারী অনুমোদন ছাড়া বাকী ২৬টি ডায়াগনিষ্টিক সেন্টারের কোন সরকারী অনুমোদন নেই।

তারপরেও তারা প্রভাব দেখিয়ে বছরের পর বছর অবৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। এসব প্রতিষ্ঠানে প্রশিক্ষন প্রাপ্ত কোন টেকনোলজিষ্ট না থাকায় অনেক সময় রোগীদের হয়রানীর শিকার হতে হয়। অনেক সময় রোগীরা ভূল রিপোর্টের কারনে চিকিৎসককেরাও ভুল চিকিৎসা করায় রোগিকে চিরদিনের জন্য অভিশপ্ত জীবন নিয়ে বাচতে হচ্ছে। হাসপাতালের সামনে ডায়াগনস্টিক সেন্টারে হাসপাতালের ডাক্তাররা বিভিন্ন ধরনে পরীক্ষার জন্য তাদের নিজস্ব সেন্টারে পাঠান।

এসব পরীক্ষা থেকে ডাক্তারা ৫০-৬০% পর্যন্ত অর্থ নিয়ে থাকেন। উপজেলা সদরে চেম্বার করা ডাক্তাররাঅবৈধ ওই ডায়াগনস্টিক সেন্টারেই পরীক্ষার জন্য রোগীকে পাঠান। বিনিময়ে ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে তাদের দেয়া হয় বড় ধরনের কমিশন। অবৈধ ডায়াগনস্টিক সেন্টার জেনেও ডাক্তারা ওইসব সেন্টারে পরীক্ষার জন্য রোগীকে পাঠান।

এসব ডায়াগনস্টিক ও ক্লিনিকগুলো বরিশাল সিভিল সার্জন ও বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিবছর পরিদর্শনের নিয়ম থাকলেও তারা তাদের লোক পাঠিয়ে বড় অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়ে নিশ্চুপ থেকেছের বছরের পর বছর।

এব্যাপারে উপজেলা পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা.সেলিম মিয়া জানান উপজেলায় ২৮টি ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ক্লিনিক রয়েছে। যার মধ্যে ২/১টির সরকারী অনুমোদন রয়েছে। বাকীদের সরকারী কোন অনুমোদন নেই। তারা অবৈধভাবে এসব পরিচালনা করছেন। তবে তাদের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নেয়ার কথা প্রসংগে তিনি বলেন, উর্ধতন কর্তপক্ষকে অভিযান চালানোর জন্য বার বার চিঠি দেয়া হলেও তার অভিযান পরিচালনা করছেন না।

(টিবি/এএস/জুলাই ০৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test