E Paper Of Daily Bangla 71
World Vision
Walton New
Mobile Version

শিরোনাম:

ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আত্মহত্যার প্রচারণা

২০১৫ নভেম্বর ২৫ ১৬:২৮:০২
ধর্ষণের পর হত্যার অভিযোগ, আত্মহত্যার প্রচারণা

গৌরীপুর (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি : মেঘশিমূল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী লিপি আক্তার (১০) কে ধর্ষণের পর হত্যা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। নানার বাড়ির ঘরের ছোট্ট পিলারে ঝুলে থাকা মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। লাশের নিচে জমেছিলো রক্তের ছোপ ছোপ দাগ। তার বাড়ি ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার সদর ইউনিয়নের শাহবাজপুর গ্রামে। মঙ্গলবার রাতে নিজগ্রামে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে চিরনিদ্রায় শায়িত হয়েছে লিপি।

পুর্বধলা উপজেলার মেঘশিমূল গ্রামের মৃত আরফান আলী শেখের স্ত্রী বেগম আক্তার জানায়, নাতি লিপি আক্তার ৬বছর যাবৎ তাঁর নিকট থাকে।

গত রবিবার তিনি রোগী নিয়ে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গেলে লিপি বাড়িতে একাই ছিলো। পরের দিন সোমবার সকালে বাড়ি থেকে ফোন করে জানানো হয় লিপি আত্মহত্যা করেছে। খবর পেয়ে সকাল ৮টায় বাড়িতে আসলে ঘরের সিমেন্টের খুটির সাথে লিপিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরে পুলিশ এসে লিপির লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করে। ময়নাতদন্ত শেষে মঙ্গলবার রাতে লিপির নিজ গ্রামে শাহবাজপুরে জানাযা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।

লিপির মা শামছুন্নাহার ও পরিবারের লোকজন অভিযোগ করে বলেন, রবিবার সন্ধ্যায় লিপি পাশের বাড়ি থেকে টিভি দেখে ঘরে ফেরার পর প্রতিবেশী শহীদ ফকিরের ছেলে তামিম লিপির ঘরে প্রবেশ করে ভিতর থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ির অন্যান্য লোকজন দরজা খোলার জন্য ডাকাডাকি করলেও তামিম দরজা খোলেনি। পরে বিষয়টি তামিমের মা কামরুনা নাহারকে জানালে তিনি এসে দরজা খোলে তামিমকে চর-থাপ্পড় মেরে নিয়ে যান। এ ঘটনার পর লিপি ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘুমিয়ে পড়ে। পরের দিন সোমবার সকালে লিপির ঘরের দরজা বন্ধ দেখে প্রতিবেশীরা ডাকাডাকি করলেও ভেতর থেকে কোনো কোনো সাড়া না পাওয়ায় প্রতিবেশীরা বেড়ার ফাঁক দিয়ে লিপিকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান। পরিবারের অভিযোগ, প্রতিবেশী তামিম ও রানা তাদের মেয়েকে রবিবার রাতে ধর্ষণের পর হত্যা করে ঝুলিয়ে রেখেছে। এবং তাদের পরিবার বিষয়টি আত্মহত্যা হিসাবে প্রচারণা চালিয়ে মূল ঘটনা আড়াল করার চেষ্টা চালাচ্ছে।

লিপির চাচা শফিকুল ইসলাম বলেন, লিপির আত্মহত্যার খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে দেখতে পাই লিপি তার নানুর ঘরের সিমেন্টের খুঁটির সাথে গলায় ওড়না জড়ানো অবস্থায় ঝুলে আছে। তার পা মাটির সাথে লাগানো ছিলো এবং পায়ে রক্তের ছোপ ছোপ দাগ ছিলো।

পূর্বধলা থানার অফিসার ইনচার্জ আব্দুর রহমান বলেন, ঘটনায় মামলা হয়েছে, ময়না তদন্তে হত্যাকাণ্ডের রহস্য বেরিয়ে আসবে। আসামীদের গ্রেফতারে অভিযান চলছে।

(এসআইএম/এএস/নভেম্বর ২৫, ২০১৫)

পাঠকের মতামত:

০২ জুন ২০২৪

এ পাতার আরও সংবাদ

উপরে
Website Security Test